পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - অষ্টম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৩৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বাধীনতার শেষ স্মৃতি। N88) প্রতি দৃষ্টি সঞ্চালন করেন। দেবপাড়ার শিলালিপিতে প্ৰকাশ,-বিজয়সেন গৌড়ের অধিপতিকে পরাজিত করেন। পাবিপাশ্বিক জনপদ-সমুহেও তঁাহার আধিপত্য বিস্তৃত হয়। পূৰ্ব্বোক্ত দেবপাড়ার লিপিতে আরও প্রকা ণ-বিজয়সেন পরবৰ্ত্তিকালে কলিঙ্গ-রাজ্য ও কামরূপ রাজ্য জয় করিয়াছিলেন। বঙ্গেব প্ৰভুত্ব প্রতিপত্তি সুদূর দক্ষিণাপথে পৰ্যন্ত বিস্তৃত হইয়া পড়িয়াছিল। অতঃপব । নান্য, বীর, রাঘব ও বদ্ধন প্ৰভৃতি নৃপতিগণ পরাজিত হন । বিজয়সেনের বীরদৰ্পে বঙ্গের গৌরৰ দিগিদান্তে বিস্তৃত হইয়৷ পড়ে। পরাজিত পূর্বোক্ত চারি জন নৃপতির মধ্যে নান্যদেব মিথিলায় প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। তদ্ভিন্ন অন্য কাহারও প্ৰকৃত পরিচয় পাওয়া যায় না । কথিত হয়,-“এই নান্যদেবীই মিথিলার কর্ণাটক রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা । নেপাল-রাজবংশাবলিতে কর্ণাটক রাজবংশেব তালিকায় সর্বপ্রথম নান্যদেবের নামই দেখিতে পাওয়া যায়। নান্যদেবের রাজত্ব-কালে, ১০১৯ শকাব্দে ( ১০৯৭ খৃষ্টাব্দে ), লিখিত একখানি গ্ৰন্থ, বার্লিনের ‘ওরিয়েণ্টাল সোসাইটাির’ পুস্তকাগারে ংরক্ষিত আছে। পণ্ডিতগণ বলেন,-সেই গ্রন্থে নিথিলার অধিপতি নান্যদেব, বঙ্গেশ্বর বিজয়সেনের সমসাময়িক বলিয়া উল্লিখিত হইয়াছেন । 米 崇 崔 বল্লালসেন । ১১৫৮ খৃষ্টাব্দে বিজয়সেনের লোকান্তরে তৎপুত্ৰ বল্লালসেন স্বাধীন বঙ্গের রাজসিংহাসন সমলস্কৃত কবেন। উপযুক্ত পিতার উপযুক্ত সন্তান-বল্লালসেন বংশগৌরব পিতৃগৌরব অক্ষুন্ন রাখিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। বল্লালসেন পিতৃস্থ্যস্ত বিশ্বাসের অপলাপ করেন নাই ;-বরং তঁহার রাজত্বে বঙ্গেব সেনরাজগণের মুখ অধিক তব উজ্জল হইয়াছিল। বঙ্গের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হইয়া বল্লালসেন সমাজ-সংস্কারে মনোনিবেশ করেন। বঙ্গের কৌলীন্য-প্ৰথা তাহার রাজত্বকালেই প্ৰবৰ্ত্তিত হয়। বল্লালসেনই এই প্রথা প্ৰবৰ্ত্তন করেন। কথিত হয়,-তিনি ব্ৰাহ্মণ বৈদ্য এবং কায়স্থ-তিন জাতির মধ্যে সেই কৌলীন্য-প্ৰথা প্ৰবৰ্ত্তন কবিয়ছিলেন। ঐ তিন শ্রেণীবি মধ্যেই কৌলীন্য প্ৰবৰ্ত্তিত হইয়াছিল । 米 叔 毒 কৌলিন্যেরা প্ৰবৰ্ত্তক কে ? বল্লালসেন কর্তৃক বঙ্গদেশে কৌলীন্য-প্ৰথা প্রবর্তন বিষয়ে নানা মতান্তর দেখিতে পাই। এক শ্রেণীর আপত্তিকারী আপত্তি তুলেন,-কৌলীন্য-প্ৰথা প্ৰবৰ্ত্তন বিষয়ে বঙ্গে নানাবিধ প্রবাদের বিষয় শুনিতে পাই। কিন্তু তৎসম্বন্ধে কোনও ঐতিহাসিক প্রমাণ পাওয়া যায় না। কুলশাস্ত্ৰ প্ৰভৃতিতে বল্লাল কর্তৃক কৌলীন্য প্ৰবৰ্ত্তনের সমর্থন আছে বটে ; কিন্তু তঁহার শাসন বা দান-লিপিতে তাহার কোনই উল্লেখ নাই। এমন কি, বল্লালের পুত্ৰ লক্ষ্মণসেন এবং তঁাহার পুত্ৰ কেশবসেন ও বিশ্বরূপসেন যে সকল তাম্রশাসনাদি প্ৰবৰ্ত্তন করিয়াছিলেন, তাহাতেও তাহার নাম-গন্ধ পৰ্যন্ত নাই। “সেনবংশের ঐ সকল নৃপতির বিবিধ দানেব পবিচয় পাওয়া যায়। কিন্তু তাহারা যে সকল শাসনাদি বা দানপত্ৰাদি প্ৰদান করিয়াছিলেন, তাহাতে শাসন বা দানগ্ৰহণকারীর নাম ধাম