পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - অষ্টম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

89 ভারতবর্ষ প্রত্নতত্ত্ববিদগণের সিদ্ধান্ত-মৌৰ্য্যসম্রাট চন্দ্ৰগুপ্ত দক্ষিণ-ভারতে জীবনের শেষ ভাগ অতিবাহিত করেন। মহীশূর-রাজ্যের ‘শ্রাবণ ও বেলগোলায়’ তাহার বসবাসের পরিচয় পাওয়া যায়। মৌৰ্য্য-সম্রাট চন্দ্ৰগুপ্ত যখন দাক্ষিণাত্যে আগমন করেন, সেই সময় তঁহার ধৰ্ম্মগুরু, ভদ্রবাহু তঁহার সহিত দক্ষিণ-ভারতে অবস্থান করিয়াছিলেন। দক্ষিণ-ভারতের পুনর্নাড়, জনপদে उदांछद्म 6यांकiरुद्ध श् । চন্দ্ৰগুপ্ত যে দক্ষিণ-ভারতে অবস্থান করিয়াছিলেন, সে প্রমাণের অসদ্ভাব দেখি। তবে, সিদ্ধপুরায় আবিষ্কৃত রাজচক্ৰবৰ্ত্তী অশোকের প্রস্তরী-লিপি হইতে তাহার সামান্য নিদর্শন প্ৰাপ্ত হই। মৌৰ্য-বংশের রাজ্য-সীমা যে দক্ষিণ-ভারতে বিস্তৃত হইয়াছিল, উক্ত লিপি হইতে তাহা নিঃসন্দেহে সপ্রমাণ হয়। খৃষ্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীর শেষভাগে। জৈন-পুরোহিত সিংহনন্দী মহীশূরের অন্য এক জনপদে বসতি স্থাপন করেন। ঐতিহাসিকগণের সিদ্ধান্ত-মহীশূরের রাজকুমার সুৰ্য্য-বংশীয় দাগিদা এবং মাধব, সিংহনন্দীর শিষ্যত্ব গ্ৰহণ করিয়াছিলেন এবং তঁহারই মতানুবৰ্ত্তী হইয়া রাজ্য-শাসনে প্ৰবৃত্ত হইয়াছিলেন। * দক্ষিণ-ভাবতের যে সকল নৃপতি বৌদ্ধধৰ্ম্ম গ্ৰহণ কবিয়াছিলেন, তাহদের নাম অপরিজ্ঞাত। কিন্তু র্যাহারা জৈনধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিয়াছিলেন, তাহদের কতক পরিচয় প্ৰাপ্ত হওয়া যায়। কাঞ্চী প্রদেশে পহ্লব বংশের এবং পাণ্ড্য-রাজ্যের কয়েক জন নৃপতি এবং চালুক্য, গাঙ্গ্য ও রাষ্ট্রকুট রাজগণ-সকলেই জৈনধৰ্ম্মাবলম্বী ছিলেন। তঁহাদের মধ্যে কেহ কেহ ভিন্নমতাবলম্বীর প্রতি অত্যাচার-উৎপীড়নেও বিরত হন নাই। তাৎকালিক নৃপতিগণের এইরূপ ভিন্ন নীতির অনুসরণই ধৰ্ম্মের অধঃপনের মূলীভুত। বিজয়াদিত্য, দ্বিতীয় পুলিকেশি ও দ্বিতীয় বিক্ৰমাদিত্যের লিপি হইতে বুঝিতে পারি, র্তাহারা জৈনধৰ্ম্মেরই প্ৰধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন । তঁহারা ধৰ্ম্মের নামে কতকগুলি গ্রাম জনপদ ও মন্দির উৎসর্গ কবিয়াছিলেন । পহুলব্য-রাজ মহেন্দ্ৰবৰ্ম্মণ, প্ৰথমে জৈনধৰ্ম্মাবলম্বী ছিলেন। রাষ্ট্রকূট রাজগণেরও জৈনধৰ্ম্ম-গ্ৰহণের পরিচয় গ্ৰন্থ-পত্রে পাওয়া যায়। অমোঘবৰ্ষ স্বয়ং জৈনধৰ্ম্মাবলম্বী হইলেও বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রতি যথেষ্ট সম্মান প্ৰদৰ্শন করিতেন। তিনি প্ৰসিদ্ধ প্রচারক জিনসেনের শিষ্য ছিলেন। দক্ষিণ-ভারতে জৈনধৰ্ম্মের প্রভাবের মূলে, এক সমবেত শক্তির ক্রিয়া বৰ্ত্তমান ছিল, বুঝিতে পারি। সে প্রসঙ্গে কয়েকজন জৈনধৰ্ম্ম-প্রচারকের নাম বিশেষভাবে উল্লিখিত হয় ; যথা,- (১) সামন্তভদ্র-কাঞ্চী-দেশে ধৰ্ম্ম-প্রচারে প্রবৃত্ত হন ; (২) অকলঙ্ক-ধৰ্ম্ম-মীমাংসায় বৌদ্ধKBDEBD BBBBBD BBDDS SSSSSS BBDDBDD D DBBDBBBD S0S LTDLuDuSSG DDBDDJS রাষ্ট্ৰকুট-রাজ প্রথম অমোঘবর্ষের ধৰ্ম্মগুরু ছিলেন ; (৬) গণভদ্র ; (৭) মণ্ডনপুরুষ প্রভৃতি। ইহারা সকলেই জৈনধৰ্ম্মের শ্ৰীসম্পাদনে জীবন উৎসর্গ করিয়াছিলেন। ‘জীবকচিন্তামণি’ গ্রন্থোক্ত প্ৰসিদ্ধ জৈনধৰ্ম্ম প্রচারক অজানন্দীও অল্প প্ৰসিদ্ধিসম্পন্ন নহেন। মাদুর-জেলার অন্তর্গত মেলুর, পেরিয়াকুলম, পাললি এবং মাদুরা তালুকের বিভিন্ন স্থানে যে সকল লিপি উৎকীর্ণ হইয়াছে, তাহাতে বহু বিস্তৃত রাজ্যখণ্ডে অজানন্দীর প্রভাব-প্ৰতিপত্তি ও 幣 Imperial Gaeeteer, Mysore & Coorg, Page 9.