পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - অষ্টম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুপ্ত-প্ৰাধান্যের প্রাকালে ভারতের বাণিজ্য । ܘܘ݂ܲ ত্বং দৃষ্ট নিম্প্রতিকারকোপব্যাকুলমানসম৷ ইন্দ্ৰে নামা ব্ৰবীদ ভিক্ষুঃ ষড়ভিজ্ঞঃ স্থিতোহস্তিকে ৷ নাগানাং রত্নচোরাণাং ত্বৎপ্ৰতাপাগ্নিসূচকঃ । তাম্রপট্টাপিতো লেখঃ প্ৰেষ্যতাং পৃথিবীপতে ॥ ইতি ভিক্ষুবচঃ শ্রুত্ব লেখং রাজা বিসৃষ্টবান। ক্ষিপ্তমেব তময়ূধৌ নাগাষ্ঠীরে প্রচিক্ষিপুঃ ॥ অথ রাজ্ঞা পুনলেখে প্রহিতে নাগপুঙ্গবাঃ।। স্কন্ধাৰ্পিতাখিলবণিগ্রত্নভারাঃ সমাযায়ুঃ ॥ তদশেষং নরপতির্বিস্তীৰ্য্য বাণিজাং ধনং। বিসৃজ্য নাগানভিবজিজনশাসনসাদেরঃ ৷” কবি ক্ষেমেন্দ্রের গ্রন্থে মৌৰ্য-বংশের রাজত্বকালে ভারতের বাণিজ্য-সংক্রান্ত কি উজ্জল চিত্ৰই প্রকটত রহিয়াছে। বণিকগণ রাজচক্ৰবৰ্ত্তী অশোককে বুঝাইতেছেন,-“সম্রাট যদি কোনও প্ৰতিকার না করেন, তাহা হইলে তাহাদিগকে বণিক-বৃত্তি পরিত্যাগ করিয়া অন্য বৃত্তি অবলম্বন করিতে হইবে। তাহা হইলে, বৈদেশিক বাণিজ্য-লোপে, সম্রাটের রাজস্ব-পরিমাণ হ্রাস প্ৰাপ্ত হইবে। অধুনা আমদানি রপ্তানি প্রভৃতি স্বদেশীয়-বিদেশীয় - বাণিজ্যে যেমন রাজকোষের আয় পরিমাণ বৃদ্ধি করে ; সে সময়েও বাণিজ্যাদি-জনিত আয়ে রাজকোষে বহু অর্থের সমাগম হইত, বুঝিতে পারি। রাজা ধৰ্ম্মপ্ৰাণ। অৰ্ত্তের আৰ্ত্তিবিমোচন-রাজধৰ্ম্ম তাই রাজধৰ্ম্ম পরিপালনে বদ্ধপরিকর হইয়া রাজচক্ৰবৰ্ত্তী অশোক আৰ্ত্তের আৰ্ত্তি নিবারণ করিয়াছিলেন ;-দসু্য-দমনে বণিকগণের ভীতি-নিবারণে বাণিজ্য-প্রসার বৃদ্ধি করিয়াছিলেন। 米 米 骼 কুশন ও অন্ধ, রাজত্বে বাণিজ্যোন্নিতির পরিচয়। যেমন মৌৰ্য-বংশের অভু্যদয়ে, তেমনি অন্ধ, ও কুশন বংশের প্রতিষ্ঠায় ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যের শ্ৰীবৃদ্ধির বিবিধ নিদর্শন প্ৰাপ্ত হই। ২৫০ পূর্ব-খৃষ্টাব্দ হইতে ১৫০ খৃষ্টাব্দ পৰ্যন্ত ভারতের দক্ষিণাংশে অন্ধ রাজগণ এবং উত্তবাংশে কুশন বা শকগণ প্ৰতিষ্ঠান্বিত ছিলেন। তখন রোমের ও গ্রীসের সহিত বাণিজ্য-সম্বন্ধ বিশেষভাবে স্থাপিত হইয়াছিল। এই সময়ে ভারতে রোমীয় প্রভাব বিস্তৃত হয়। তখন বোমের সহিত অন্ধ বংশের নৃপতিগণের সম্বন্ধ-সুত্র প্রতিষ্ঠিত। তার পর অন্ধগণ কর্তৃক উত্তর-ভারত বিজয়ের সঙ্গে সঙ্গে যখন রোম-সাম্রাজ্যের সহিত বাণিজ্য-সম্বন্ধ দৃঢ় রূপে প্রতিষ্ঠিত হইল, তখন ভারতজাত রেশম, মশলা, বহুমূল্য প্রস্তরাদি এবং রং প্রভৃতি রোম-সাম্রাজ্যে রপ্তানি হইতে লাগিল। আর তদ্বিনিময়ে রোমের স্বর্ণমুদ্রা ভারতে আনীত হইল। দক্ষিণ ভারতে রোমের বহুবিধ মুদ্রা প্ৰাপ্ত হওয়া যায়। তাহা হইতেই রোমের সহিত ভারতের বাণিজ্য-সম্বন্ধের পরিচয় পাই। উত্তর ভারত অপেক্ষা দক্ষিণ ভারতে ঐ সকল মুদ্রার প্ৰাচুৰ্য্য ও বাহুল্য অত্যন্ত অধিক। এতদ্ভিন্ন, প্রচীন সংস্কৃত ও পালি গ্ৰন্থাদিতে ‘রোমক’ ও