পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిkr ভারতবর্ষ । পদস্থ কৰ্ম্মচারী ছিলেন বলিলেও অত্যুক্তি হয় না । বাণিজ্যের সুবিধা-স্থত্রে সে সময়ে বিদেশ হইতে বহু বণিক ভারতবর্ষে আগমন করিতেন, এবং বৈদেশিক বাণিজ্যের রাজস্ব প্রভৃতিতে রাজকোষে বহু অর্থ সমাগম হইত। খৃষ্ট-পূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে মৌর্য্য-বংশের প্রতিষ্ঠার ইতিহাসে এ সকল বিবরণ পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবৃত আছে। রাজ। চন্দ্র গুপ্তের রাজ্যসীমা পূৰ্ব্ব-পশ্চিমে সমুদ্র-কুল পৰ্য্যন্ত এবং উত্তরে এরিয়া, আরাকোসিয়া ও পারোপানিসাদাই প্রদেশ পর্য্যন্ত বিস্তৃত ছিল । এখন বৃটিশ-রাজত্বের যে প্রান্তসীমা, তাহ৷ অতিক্রম করিয়াও সে রাজ্য মধ্য-এসিয়ার অনেক দুব পর্য্যন্ত অধিকার করিয়াছিল । সুতরাং স্থলপথে ও জলপথে উভয় পথেই তখন ভারতের বাণিজ্যের সুবিধ ঘটিয়াছিল। চন্দ্রগুপ্তের পৌত্র রাজ অশোক যখন ভারতের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত, তখন সিরিয়া, মিশর, সাইরিণ, মসিডোনিয়া, এপিরাস প্রভৃতি গ্রীক-অধিকৃত জনপদের সহিত ভারতের বাণিজ্য-সম্বন্ধ বিশেষভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন, এক দিকে বাণিজ্যের, অন্য দিকে ধৰ্ম্মের কেন্দ্রস্থল বলিয়া ভারতবর্ষ সৰ্ব্বত্র সম্মান প্রাপ্ত হইয়াছিল। দক্ষিণে সুদুল লঙ্কাদ্বীপে অশোকের একাধিপত্য-অধিকার বিস্তৃত হয় । তদ্বিষয়ের আলোচনায় তাহার রাজত্বকালে দুব-সমুদ্রে অর্ণবপোতাদির গতিবিধির প্রকৃষ্ট পরিচয়ই পাওয় যায়। কবি ক্ষেমেন্দ্র ‘বোধিসত্ত্বাবদান কল্পলতা' গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। খৃষ্টীয় দশম শতাব্দীতে কাশ্মীর-দেশে কবি ক্ষেমেন্দ্রের বিদ্যমানতা প্রতিপন্ন হয় । ভারতের বণিকগণ, চন্দ্র গুপ্তের ও অশোকের বাজত্বকালে, সমুদ্র-পথে কেমনভাবে বাণিজ্য করিতেন, ঐ গ্রন্থে তাহার একটি চিত্র প্রকটিত আছে। ঐ গ্রন্থের BBBB B BBBB SBBB S BBB BB BBBB BBBSBBB BBBS BBB BB S BB বর্ণনায় প্রকাশ—সম্রাট অশোক তখন পাটলি-পুত্রের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত । কতকগুলি বিদেশ-প্রত্যাগত বণিক সম্ৰাট-সকাশে অভিযোগ করিতে উপস্থিত । ভারত-মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে বাণিজ্য করিতে গিয়া, জল-দসু্য কত্ত্বক তাহার। হা সৰ্ব্বস্ব হইয়াছে,-ইহাই তাহাদের অভিযোগ । সেই ঘটনা জ্ঞাপন করিষ বণিকের। বলিতেছে, –‘সম্রাট যদি প্রতিকার না করেন, তাহ হইলে তাহাদিগকে বণিক-বৃত্তি পরিত্যাগ করিয়। অন্য বৃত্তি অবলম্বন করিতে হইবে । তাহ হইলে, বৈদেশিক ধাণিজ্য-লোপে, সম্রাটের রাজস্ব-পরিমাণ যে অনেক হ্রাস-প্রাপ্ত হইবে, তাহ। বলাই বাহুল্য। যে সকল জলদসু্য বণিকগণের পোত লুণ্ঠন করিয়াছিল, কবি তাহাদিগকে নাগ’ নামে পরিচিত করিয়াছেন। ‘ড্রাগুন বা সপাকৃতি দেবতার পুজক চীনাগণ ঐ বণিকগণের উক্তিতে নাগ-দস্থ্য নামে পরিচিত হইয়াছিল বলিয়। পণ্ডিতগণ অনুমান করেন। যাহ। হউক, বণিকগণের অনুযোগের পর রাজ। অশোক সমুদ্র-পথে বাণিজ্য-বিষয়ে রাজ-ঘোষণা প্রচার করিয়াছিলেন। তাম্রপত্রে সেই ঘোষণা খোদিত হয়। যদিও সেই ঘোষণার প্রভাবে সে সময়ে দমু্যতার গতিরোধ হয় নাই ; কিন্তু পরবৰ্ত্তিকালে তাহার প্রেরিত বৌদ্ধ-ধৰ্ম্ম-প্রচারকগণের চেষ্টায় সে দসু্যতা কমিয়া আসিয়াছিল । তখন ‘নাগ’-জলদসু্যগণ রাজা অশোককে সম্মানের চক্ষে দেখিয়|ছিল এবং তাহার আদেশান্থবৰ্ত্তী হইয়। বণিকদিগের অপহৃত দ্রব্যাদি প্রত্যপণ করিয়াছিল। মৌর্য্য-বংশের শাসন-কালে, ভারতের বৈদেশিক্সবাণিজ্যের এইরূপ বিবিধ প্রমাণবিদ্যমান।