পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য । డి శిసి অর্ণব-পোত-সমূহ উপনীত হইলে মোগলগণের এবং কুবলাই খার আনন্দের অবধি থাকিত না । ভারতবর্ষ হইতে পণ্যদ্রব্য-সমূহ চীনের বন্দরে উপস্থিত হইলে একট প্রকাও মেল। বসিয়া যাইত এবং সেখান হইতে সেই সকল সামগ্রী পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বিক্রয়ার্থ বণিকগণ লইয়া যাইত । 'জেটন’ বন্দর হইতে সমুদ্র-পথে পারস্তে গমন-কালে মার্কোপোলে। দক্ষিণ-ভারতের ও গুজরাটের বহু বাণিজ্য-বন্দর দর্শন করিয়াছিলেন । র্ত হার গ্রন্থে সেই সকল বন্দরের .... অনেকগুলির পরিচয় আছে। তাহার পরিদৃষ্ট একটা প্রদেশের নাম— মীবার ‘মাবার’ ( Maabar ) । এই প্রদেশ সে সময় বাণিজ্যে বিশেষ সমৃদ্ধিবন্দর। সম্পন্ন ছিল। এই প্রদেশকে তিনি পৃথিবীর মধ্যে সৌন্দৰ্য্য-সম্পন্ন ও সমুন্নত রাজ্য বলিয়। উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন মাবার-রাজ্যের মধ্যে একটা প্রধান বন্দর BBB S BBBB BBB SBBBSLLLLSS BBBBB BBBB BBBB BB BB BB ‘কৈল’ বন্দর বলিয়। নির্দেশ করেন, এবং বর্তমান তাঞ্জেীর প্রদেশ ‘মাবার’ রাজ্য বলিয়। BBBB BBB BB S BB BB BBBBBS BBBB BBBS BBBBB BBBBS উপকূল বলিয়। অনুমান করিয়া গিয়াছেন । কিন্তু বাস্তব তাহা নহে। মার্কোপোলোর গ্রন্থে ‘মেলিবায়’ ( Melibar ) নামে আর এক প্রদেশের উল্লেখ আছে । মেলিবার— মালবার বলিয়। প্রতিপন্ন হয। কুমারিক অন্তরীপ হইতে নেল্লোর পর্য্যন্ত যে ভূমিখণ্ড অর্থাৎ অধুনা যাহা করোমণ্ডল উপকুল বলিয়। পরিচিত হয়, মুসলমানগণের শাসনসময়ে সেই প্রদেশ ‘মাবার’ নামে পরিচিত ছিল। ১২৮০ খৃষ্টাব্দে এই মাবার-রাজ্য হইতে চীনদেশে দুত প্রেরিত হইয়াছিল। চীনাদিগের রাজকীয় বিবরণীতে দক্ষিণ-ভারতের অন্তর্গত ‘মা-পা-র’ ( Ma-pa-rh ) রাজ্য হইতে চীন-সম্রাটের দরবারে দূতগমনের প্রসঙ্গ লিখিত আছে । ১২৮৬ খৃষ্টাব্দে সম্রাট কুবলাই খার দরবারে ‘মাবার’ হইতে উপঢৌকনাদি গিয়াছিল,—প্রোক্ত রাজকীয় বিবরণীতে তাহার ও উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায় । যে সকল বৈদেশিক রাজ্য হইতে চীনে উপঢৌকনাদি গিয়াছিল, তাহার মধ্যে ‘মাবার’ রাজ্যের পরিচয় একটু বিশেষভাবে লিখিত আছে । রাজকীয় বিবরণীতে প্রকাশ,— মাবার-রাজ্য পঞ্চ-ভ্রাতার শাসনাধীন ছিল ; আর র্তাহীদের প্রতিনিধিরূপে 'চামালেটং? ( Chamalating ) চীনে মোগল-দরবারে উপস্থিত হইয়াছিলেন । ‘মাবার’-প্রদেশের সমৃদ্ধি-সময়ে আরবের ও পারস্যের মুসলমান ঐতিহাসিকগণ ঐ প্রদেশের বাণিজ্য-সম্পদের বিষয় শতমুখে কীৰ্ত্তন করিয়া গিয়াছেন । পারস্তের অন্তর্গত সিরাজ-সহরের অধিবাসী আবচুল্ল এন ওয়াসেফ ১৩০০ খৃষ্টাব্দে পারস্ত ভাষায় এক ইতিহাস প্রণযন করেন । সেই গ্রন্থের নাম—“তাজিয়াতুল আমসার ওয়া তাজরিয়াতুল আসার।’ ? সাধারণতঃ এই গ্রন্থ ‘তারিখ De Guigne's-Historac Generałe des runs * The finest and noblest province in the world.”—The book of Ser Marco Polo. Tazjiyatul Amsar wa Tazriyatu? Asar means-A Ramble through the Regions and the Passing of Ages.