পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* : తి ভারতবর্ষ । ই-ওয়াসেফ নামে পরিচিত। ‘মাৰার’-রাজ্য সম্বন্ধে এই গ্রন্থে লিখিত আছে,-“মাবারপ্রদেশ কাউলাম হইতে নীলাওয়ার পর্য্যন্ত বিস্তৃত । কাউলাম (Kaulam) অধুন। কুইলন ( Quilon ) বলিয়া এবং নীলাওয়ার ( Nilawar) অধুনা নেল্লোর বলিয়া পরিচিত হইতেছে। সমুদ্রতীরে মাবার-রাজ্যের দৈর্ঘ্য—তিন শত প্রসং। ঐ রাজ্যের অধিপতি ‘দেবর’ অর্থাৎ সাম্রাজ্যের অধীশ্বর বলিয়া পরিচিত। চীন ও মাচীন হইতে কৌতুহলপ্রদ পণ্য-সমূহ এবং হিন্দ’ ও ‘সিন্দ হইতে তত্ত্বদেশের উৎপন্ন উৎকৃষ্ট সামগ্রী-সমূহ সৰ্ব্বদা এই বন্দরে সংবাহিত হয়। পক্ষবিশিষ্ট প্রকাও পৰ্ব্বতের ন্যায় জঙ্ক’ নামধেয় অর্ণব-পোতে সেই সকল পণ্য এই বন্দরে আনীত হইয়া থাকে। পারস্যোপসাগরস্থিত দ্বীপ-সমূহের ঐশ্বৰ্য্য এবং ইরাক’ ও ‘খোরাসান হইতে আরম্ভ করিয়া রুম-রাজ্যের (কনস্তান্তিনোপলের ) ও ইউরোপের সমৃদ্ধি-সৌষ্ঠব প্রধানতঃ ‘মাবার’-বন্দরের বাণিজ্যের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল ’ পারস্য-দেশের অন্যতর প্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক রশিদুদ্দীনের গ্রন্থেও ওয়াসেফের এই সকল কথার প্রতিধ্বনি नृठे হয় । রশিদুদ্দীন ' ) ) a খৃষ্টাব্দে আপন গ্রন্থ সম্পূর্ণ করেন । র্তাহার গ্রন্থের নাম—‘জামিউৎ-তাওয়ারিখ’ । ঐ গ্রন্থে প্রকাশ,—“মাবার হইতে রেশমী দ্রব্য, সুগন্ধ দ্রব্য ও বহু-পরিমাণ মুক্ত বিদেশে রপ্তানী হইত। স্থল-পথে ও জলপথে উভয় পথেই এখানকার পণ্য বিদেশে যাইত । রাজ্যের দৈর্ঘ্য-বিস্তৃতির বিষয়ে ও রাজার দেবর উপাধি প্রভূতি সম্বন্ধে এই গ্রন্থ—ওয়াসেফের গ্রন্থের সম্পূর্ণ অনুসারী। মাবার-প্রদেশের এক সময়ের অবস্থা বর্ণন করিতে গিয়া, ওয়াসেফ আরও যাহা লিখিয়াছেন, এতৎপ্রসঙ্গে তাহাও উল্লেখ-যোগ্য। ওয়াসেফ লিখিয়াছেন,—‘কয়েক বর্ষ পূৰ্ব্বে সুন্দর-পাণ্ডি যাবারের দেবর’ বা রাজপদে অধিষ্ঠিত ছিলেন । র্তাহার তিন ভাই । ভ্রাতৃগণ সকলেই ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশে স্বাধীন-রাজ্য প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। দেবরের ভ্রাতৃত্ৰয়ের মধ্যে তকিউদ্দিন আবদার বুহমন গুণবান ও বিশেষ কৰ্ম্মক্ষম ছিলেন । তিনি হিন্দ-প্রদেশের ‘মার্জবান’ বা শাসনকর্তা বলিয়া প্রখ্যাত। তাহার যশোগানে ও প্রশংসাবাদে দেশের অধিবাসিগণ সকলেই মুক্তকণ্ঠ ছিলেন । তিনিই দেবরের সহকারী মন্ত্রী ও প্রধান পরামর্শদাতা । সৰ্ব্ববিষয়েই র্তাহার বিজ্ঞতা প্রকাশ পাইত। চীন ও হিন্দ প্রভৃতি দুরদেশ হইতে যে সকল পণ্য-দ্রব্য মোবার’ বন্দরে আনীত হইত, আবদার রহমনের আদেশানুসারে, তাহার প্রতিনিধি ও কৰ্ম্মচারিগণ তৎসমুদায়ের সারাংশ প্রথমে গ্রহণ করিতেন। তাহাদের পছন্দমত দ্রব্যাদি গৃহীত হওয়ার পর অপরে পণ্যাদি ক্রয় করিতে পারিত। আবদার রহমন যে সকল পণ্য পছন্দ করিয়া লইতেন, তৎসমুদায় তাহার আপনার অর্ণবপোতে ‘কেজ’ দ্বীপে সংবাহিত হইত, অথবা বণিকগণকে ও পোতাধ্যক্ষগণকে তিনি তৎসমুদায় ঐ দ্বীপে লইয়া যাইতে আদেশ দিতেন। সেখানেও সাধারণ লোকে সহসা সে সকল পণ্য ক্রয় করিতে পারিত না । তত্ৰত্য ‘মালিকুল ইসলামের’ কৰ্ম্মচারিগণ প্রথমে আসিয়া আপনাদের আবশুক দ্রব্য গ্রহণ করিত । তাহারা গ্রহণ করার পর, বণিকের অবশিষ্ট দ্রব্য ক্রয় করিয়া লইয়। ‘মাবারের অধিবাসিগণের মধ্যে বিক্রয় করিত। অবশিষ্ট যাহ। কিছু থাকিত, কতক পোত-সাহায্যে পারিপাশ্বিক দ্বীপ-সমূহে ও পূৰ্ব্বপশ্চিমের বিভিন্ন দেশে বিক্রয়ার্থ প্রেরিত হইত। ঐ সকল সামগ্ৰী বিক্রয় করিয়া বিক্রয়