পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y 88 ভারতবর্ষ । সেই কাল-বর্তমান সময়ের বিংশ-সহস্ৰ বৎসর পূর্বের কাল ; অর্থাৎ, যে সময়ে গ্লেসিয়াল’ (তুষারসমাচ্ছন্ন অবস্থ ) অতীত হইয়া পোষ্ট-গ্লেসিয়াল (তুষার-পাতের পরবর্তী অবস্থা ) চলিতেছিল, সেই সময়ে এই ‘অরিগনাশিয়ান’ কাল বিদ্যমান ছিল । * ১৯১৩ খৃষ্টাব্দের শীতকালে পাতিলাও কেভ গহবরে পুনরস্তুসন্ধান-ফলে, কতকগুলি অ্যুৎপাদক যন্ত্র পাওয়া গিয়াছে ; তন্মধ্যে র্যাদ। করিবার যন্ত্র, খোদিবার যন্ত্র, ছিদ্র করিবার যন্ত্র প্রভৃতিও আছে । ঐ সকল দ্রব্যের অনেকগুলি ‘আরিগনাশিয়ান’ কালের বলিয়া প্রতিপন্ন হয় । ঐ গহবরে পূৰ্ব্বোক্ত অস্থি-পঞ্জরের সঙ্গে গজদন্ত-বিনিৰ্ম্মিত কতকগুলি সামগ্রী পাওয়া যায় ; সেগুলিও পূৰ্ব্বোক্ত কালের সামগ্রী । গজদন্ত-নিৰ্ম্মিত সেই সামগ্রীগুলির মধ্যে একটা পদক আছে। ভারতবর্ষে ষেরূপ রৌপ্য-বলয় দৃষ্ট হয়, সে পদক সেইভাবে সেই আকারে সংগঠিত। গজদন্তের ছড়ি, লোম পরিষ্কার করিবার উপযোগী যন্ত্র, স্থচের ন্যায় বেধক প্রভূতি আর আর যে সকল সামগ্ৰী ঐ সঙ্গে পাওয়। গিয়াছে, সেগুলি ‘ম্যামোথ’ নামক পুরাকালীন বৃহত্তম জন্তুর দস্ত হইতে ঐ সকল প্রস্থ ত হইয়াছিল বলিয়। সিদ্ধান্ত হইতেছে । যাহা হউক, বিংশসহস্ৰ বৎসর পূৰ্ব্বে, ঐ সকল অস্ত্র-শস্ত্র ও গজদন্ত-বিনিৰ্ম্মিত দ্রব্যাদি প্রস্তুতে পারদর্শী, (সুতরাং সুসভ্য) জনগণ ইউরোপের ঐ অংশে যে বাস করিয়াছিলেন,"পাভিলাও কেভের এই আবিষ্কারে তাহা সপ্রমাণ হইতেছে। কোথায় খৃষ্ট-জন্মের চারি-সহস্ৰ বৎসর পূৰ্ব্বে মকুন্ত-স্মৃষ্টির কল্পনা, আর কোথায় তাহারও আঠার-সহস্রাধিক বৎসরের পূর্বে, সুসভ্য মনুষ্য-সমাজের অস্তিত্ব ! কয়েক বৎসরের মধ্যেই পাশ্চাত্য-দেশের চিন্তাব গতি এইরূপভাবে পরিবর্তিত হইতে চলিয়াছে! দৃষ্টান্ত আর একট। উল্লেখ করি। অধ্যাপক কিথ বিলাতের বিজ্ঞান-সভার বক্তৃতায়, এইরূপ আর এক অভিনব-তত্ত্ব আবিষ্কারের সংবাদ প্রচার করিয়াছেন। কিছুকাল পূৰ্ব্বে ইংলণ্ডের টেমসূ-নদীর গহবরে মৃৎ-স্তবের আভ্যন্তবে আর একটা মকুন্যের অস্থি-পঞ্জর পাওয়া যায়। সেই অস্থি-পঞ্জর যে মন্তন্তের, সে মন্ত্রয় অনূন ১ লক্ষ ৭০ হাজার বৎসর পূৰ্ব্বে বিদ্যমান ছিল বলিয়া প্রতিপন্ন হয। অধ্যাপক কিথ বলেন, —‘টেমস-নদী অধুন যে অবস্থায় অবস্থিত, পূর্বে উহ। তদপেক্ষ। অনুন প্রায় এক শত ফিট উচ্চ ছিল। কাল-বশে স্তরের পর স্তর অপস্থত হওয়ায়, উহা অবস্থান্তর প্রাপ্ত হইয়াছে । যে অস্থি বহু নিম্ন-স্তরে প্রোথিত ছিল, এখন তাহ বাহির হইয়। পড়িয়াছে।’ যাহ। হউক, যে কারণেই হউক, টেম্স নদী-গর্ভে প্রাপ্ত প্রোক্ত অস্থি-পঞ্জর যে ১ লক্ষ ৭০ হাজার বৎসরের পূর্ববৰ্ত্তিকালের মকুস্থ্যের, অধুনা তাহা তারস্বরে ঘোষিত হইতেছে। এবম্বিধ আরও বহু দৃষ্টান্তের উল্লেখ করা যায়। সার চালর্স লায়েল নিৰ্দ্ধারণ করিয়াছেন,—মিসিসিপি নদী এখন যে পথে প্রবাহিত, লক্ষাধিক বৎসর পূৰ্ব্বে উহ। সেই পথে প্রবাহিত হইয়াছে। কতকগুলি মৃৎ-পাত্র, কবর-স্থান এবং বৃক্ষ পরীক্ষা করিয়া, ডক্টর ডাউলার প্রতিপন্ন করিয়াছেন যে, ঐ নদীর অধিত্যকপ্রদেশে অনুন পঞ্চাশ সহস্ৰ বৎসর পূৰ্ব্বে ময়ূন্যের বসবাস ছিল। ভূতত্ত্ববিদগণ অধুনা যে সকল তত্ত্ব আবিষ্কার করিতেছেন, তাহাতে গ্লেসিয়াল অর্থাৎ তুষার-পাতের কাল

  • প্লেসিয়াল ও পোষ্ট্রপ্লেসিয়াল কালের আলোচনা পৃথিবীর ইতিহাস', তৃতীয় খণ্ড, তৃতীয় পরিচ্ছেদে ؛ 3۹ t itچک با ۹ طرفه با