পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বঙ্গের গৌরব-বিভব । $ 82 পরিদৃষ্ট বঙ্গরাজ্যান্তর্গত সান-মো-তা-চ’ রূপে উচ্চারিত এবং আধুনিক পণ্ডিতগণের BBBBSBBBB BBBBS B BBS SLLLLLLLLS B BBBBS BBBBB BBDS সমুদ্রগড় বলিয়। মনে হয় না কি ? আমরা তে তাহাই সিদ্ধান্ত করি। এরূপ সিদ্ধান্তের আরও কয়েকটি বিশিষ্ট কারণ আছে। হুয়েন-সাং যে যে স্থান হইতে যে যে স্থানে গমন করিয়াছিলেন, তাহাদের পরস্পরের ব্যবধানের বা দুরত্বের বিষয় অনুধাবন করিলেও ঐ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়। দূরত্বের পরিচয়ে এবং দিঙ-নির্ণয়-বিষয়ে হুয়েন-সাংয়ের বর্ণনায় ( অন্ততঃ তাহার গ্রন্থের অনুবাদে ) অনেক ভ্রম-প্রমাদ দৃষ্ট হয় । কিন্তু, তাহ। হইলেও, মোটামুটী দেখিতে গেলে, তিনি যেস্থান হইতে যাত্রা করিয়া সমতটে ব। ‘সমুদ্রগড়ে আসেন এবং সেখান হইতে যাত্রা করিয়া যেস্থানে গমন করেন, তাহার দুরত্বাদির বিষয় অনুধাবন করিলে, আমাদের সিদ্ধান্তে কোনও সংশয় থাকিতে পারে মা । কামরূপ রাজ্য হইতে সমতট’ নগরের ব্যবধান, হুয়েন-সাংয়ের মতে, বার শত হইতে তের শত লি? অর্থাৎ প্রায় সওয়া দুই শত মাইল । তখন কামরূপ-রাজ্যের সীমানা যে পর্য্যন্ত ছিল, সেই সীমানা হইতে সমুদ্রগড়ের দূরত্ব এইরূপই হইতে পারে। তাতার পর, সমুদ্রগড় তে তাম্রলিপ্তের দূরত্ব অনুধাবন করুন। পরিব্রাজকের বর্ণনায় ঐ দুরত্ব নয় শত লি’ ব। প্রায় দেড় শত মাইল । সমুদগড় হইতে, জলপথেই হউক বা স্থলপথেই হউক, প্রাচীন তাম্রলিপ্ত নগরীর দুরত্ব ঐরুপ হওয়াই সম্ভবপর। পরিব্রাজক কোন পথে কোথায় গিয়াছিলেন, তাহার ঠিক নিদর্শন নাই। সুতরাং দুরত্বের সম্বন্ধে অনেকটা অকুমানের উপরই র্তাহীকে নির্ভর করিতে হইয়াছিল । এ অবস্থারও তাহার বর্ণিত ‘সান-মো-তা-চা’ নগরের সহিত সমুদ্রগড়ের যে সাদৃশু দেখা যায়, তাহ নিশ্চয়ই বিবেচনার বিষয়। তবে এখানে আর দু’একটা সংশয়-প্রশ্ন উত্থাপিত হইতে পারে। প্রথম প্রশ্ন,--যদি সমুদ্রগড়ই পরিব্রাজকবর্ণিত বঙ্গের অন্যতম প্রধান নগর হয়, তাহ হইলে তাহার পরিদৃষ্ট সঙ্ঘারাম প্রভৃতির নিদর্শন কৈ ? দ্বিতীয়তঃ—হুয়েন-সাংয়ের বর্ণিত নগরে অর্ণবপোতাদির গতিবিধি ছিল ; সে লক্ষণই বা সমুদ্রগড়ে এখন কি অবশিষ্ট রহিয়াছে ? প্রথম প্রশ্নের উত্তরে, নবদ্বীপের ও সমুদ্রগড়ের পূর্ব-পারস্থিত ‘সুবর্ণবিহার’ পল্লীর ধ্বংসাবশেষের প্রতি লক্ষ্য করিতে পারি। ঐ পল্লীতে এক সময়ে যে বৌদ্ধগণের সঙ্ঘারাম-সমূহ বিদ্যমান ছিল, তাহার বিশিষ্ট প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া যায়। ঐ পল্লীতে এখনও অনেক ভগ্ন-অট্টালিকার ভূপ দৃষ্ট হয়। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের পূর্বপুরুষগণ ঐ স্থান হইতে অনেক প্রস্তর ও ইষ্টক সংগ্ৰহ করিয়া লইয়া অট্টালিক। প্রস্তুত করাইয়াছিলেন। কৃষ্ণনগর রাজবংশের ইতিহাসে—ক্ষিতীশ-বংশাবলীচরিতেএ বিষয় লিখিত আছে। নবদ্বীপ, সমুদ্রগড় যখন সমধিক শ্ৰীসম্পন্ন ছিল, তখন ভাগীরথীর উভয় তীরে পারিপার্থিক স্থান-সমূহে বহু দূর পর্য্যন্ত রাজধানীর পরিসর বিস্তৃত থাকাই সপ্রমাণ হয়। যে কোনও রাজধানীর বা প্রধান নগরের পরিসরের ৰিষয় পৰ্য্যালোচন। করিলেই এ তত্ত্ব হৃদয়ঙ্গম হইতে পারে । দিল্লী যখনই রাজধানী হয়, উহার বিস্তৃতি তখনই আট দশ ক্রোশের কম হয় নাই। মুর্শিদাবাদ যখন রাজধানী ছিল, উত্তর-দক্ষিণে পাচ ছয় LuHHH DDD DDDS BBBBB S BBBB BBBBB BBBSBBB BBBB DDD