পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

›ዓ8 ভারতবর্ষ । খৃষ্টপূৰ্ব্ব ষষ্ঠ শতাব্দী হইতে খৃষ্টীয় সপ্তম শতাব্দী পৰ্য্যন্ত তক্ষশীলার কোন-মা-কোনরূপ সমৃদ্ধির নিদর্শন দেখিতে পাই । এরিয়ান, ষ্ট্রাবো, প্লিনি প্রমুখ পাশ্চাত্য ঐতিহাসিকগণ প্রায় সকলেই তক্ষশীলার সমৃদ্ধির বিষয় উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন। এরিয়ানের বর্ণনায় প্রকাশ,—‘সিন্ধুনদের ও হাইডাস্পাসের (বর্তমান বিয়াস বা বিপাশা ) মধ্যে এই বহুজনপূর্ণ স্ববৃহৎ সমৃদ্ধি-সম্পন্ন নগর বিদ্যমান। ষ্টাব্যের বর্ণনায় প্রকাশ,—‘এই মুৱহৎ নগরে শুচারু বিধি-বিধান প্রবর্ভূিত। ইহার পারিপাশ্বিক প্রদেশ জনপূর্ণ এবং সমধিক উর্বরতাসম্পন্ন।’ প্লিনি এই নগরকে সুপ্রসিদ্ধ নগর বলিয়া অভিহিত করিয়া গিয়াছেন । রামায়ণে এবং মহাভারতে নানাস্থানে তক্ষশীলার উল্লেখ দেখা যায় । বৌদ্ধগণের ‘মুক্ত-গ্রন্থে ( মহাপরিনিব্বাণ স্বত্ত ও মহাসুদৰ্শন স্থত্ত প্রভৃতিতে ) এই নগরের অশেষ সমৃদ্ধির পরিচয় আছে । এই জনকোলাহলপূর্ণ নগরে সর্বদাই হস্তীর নিনাদ, অশ্বের হ্ৰেষারব, শকটের স্বর্থর-শবদ প্রতিধ্বনিত হইত। কোথাও ঢঙ্কার নিনাদ, কোথাও মৃদঙ্গের ধ্বনি, কোথাও বীণার ঝঙ্কার শুনা যাইত। কোথাও সঙ্গীতের স্বরলহরী প্রবহমান ছিল । কোথাও করতাল মন্দির ঘণ্টার সুরে আনন্দের কল-কল্লোল উঠিয়াছিল। কোথাও—“খাও দণও আনন্দে দিন কাটাও" নীতির অনুসরণে অনেকেই আনন্দে দিন কাটাইতেছিল । ফলতঃ, প্রধান নগরে বা রাজধানীতে যেরূপভাবে লোকের দিন কাটে, বৌদ্ধ কুত্ত’গ্রন্থের বর্ণনায় তক্ষশীলার সেই অবস্থারই পরিচয় পাই। গৌতম-বুদ্ধের বিদ্যমানকালে তক্ষশীলা গান্ধার-প্রদেশের সীমান্ত-নগর এবং ব্রাহ্মণ্যধৰ্ম্মের একতম কেন্দ্রস্থান ছিল । চন্দ্রগুপ্ত, অশোক প্রভৃতির রাজত্বকালে তক্ষশীলা বৌদ্ধদিগের লীলাক্ষেত্রে পরিণত হয় । শকগণের এবং গ্রীকদিগের প্রভাব তক্ষশীলায় অনেক পরিমাণে বিস্তৃতি লাভ করিয়াছিল । আলেকজাণ্ডার যখন ভারতবর্ষে আগমন করেন, তক্ষশীলায় তিনি তিনদিন অবস্থিতি করিয়াছিলেন । তক্ষশীলার অধিবাসিগণ র্তাহার অভিযানে অনেকক্সপ সাহায্য করিয়াছিল। ঐ তক্ষশীলার নিকটে আলেকজাণ্ডার দুইট নগর (নিকাইয়া, বুকেফালা ) প্রতিষ্ঠা করেন। গ্ৰীক ঔপনিবেশিকগণের বসবাসের জন্যই ঐ দুই নগর প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। এই সূত্রে তক্ষশীলার বিশ্ববিদ্যালয় হইতে জানার্জনে গ্রীকদিগের বিশেষ সুবিধা ঘটিয়াছিল। ফিলোষ্ট্রেটস (খৃষ্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীর ) বলেন,—“আপোলোনিয়াস জানান্বেষণে তক্ষশীলায় গমন করিয়াছিলেন । বিদেশভ্রমণে, জ্ঞানার্জনে তিনি পিথাগোরালের পদাঙ্ক অনুসরণ করেন। আপোলোনিয়াসের তক্ষশীলায় গমন-সময়ে তক্ষশীলার নৃপতি গ্ৰীকভাষায় তাহার অভ্যর্থনা করিয়াছিলেন ৷ তক্ষশীলা নগরের প্রাচীরের বহির্দেশে আপোলোনিয়াস একটা জাকজমকপূর্ণ মন্দির দেখিতে পান । সেই মন্দিরের গাত্রে চারিধারে তাম্রফলকে সুন্দর সুন্দর চিত্র অঙ্কিত ছিল । রাজা পোরসের সহিত আলেকজাণ্ডারের যুদ্ধের পৃষ্ঠাবলী সেই চিত্রে তিনি প্রকটিত দেখেন।” খৃষ্টপূৰ্ব্ব দ্বিতীয় শতাব্দীতে তক্ষশীল। ইউক্রেডাইটসের রাজ্যান্তর্ভুক্ত হয় । গ্রীস-দেশীয় ইউক্রেডাইটস বাকৃত্রিয়ার অধিপতি ছিলেন । তাহার হস্ত হইতে ঐ নগর শকগণের অধিকারে আসে । * এইরূপে “झाँष*ौत्र इंडिशण” क्रिडीब १७, *कन नबिऋग, s•* श्रेष्ठ २• • **ङ्ग छपकैण-धनच जडेरा ।