পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বঙ্গের গৌরব-বিভব । &p? বর্ণনার প্রকাশ,—‘গৌড়ের রাজপথে এতই লোক-সমাগম হয় যে, সে জনসভ্য তেজ করিয়া অগ্রসর হওয়া যায় না। নগরের অধিকাংশ বাসভবন জাকজমকপূর্ণ এবং সুদৃঢ় ' * ১৫৬৬ খৃষ্টাব্দে তাঙ্গা ( তাড়া ) নগরে রাজধানী পরিবর্তিত হয়। সোলিমান সা গৌড় হইতে ঐ নগরে রাজধানী উঠাইয়া আনেন। ইংলণ্ডের বণিক রালফ ফীচ, এই (༔་།) নগরে বাণিজ্যের প্রাধান্ত দেখিয়াছিলেন। এই নগর হইতে কাপাস ও কপাল-বস্ত্র প্রচুর পরিমাণে বিদেশে রপ্তানী হইত। ফীচ যখন তাঙ্গ৷ হইতে গৌড়ের পথে দক্ষিণ বঙ্গের অভিমুখে প্রত্যাবৃত্ত হন, তখনই গৌড় ধ্বংস-প্রায় । ১৫৮৮ খৃষ্টাব্দে গৌড় সম্বন্ধে তিনি লিখিয়া গিয়াছেন,—‘অমর। যখন গৌড়ের পথে অগ্রসর হই, তখন কয়েকখানি ক্ষুদ্র গ্রাম এবং ভীষণ জঙ্গল মাত্র দেখিতে পাইয়াছিলাম। মধ্যে মধ্যে মহিষ, শূকর ও হরিণ দেখিতে পাই। ঘাসগুলা মানুষের অপেক্ষ বড় বড় হইয়াছিল । অনেক ব্যাঘ্রকেও ঐ স্থানে বিচরণ করিতে দেখিয়াছিলাম ।’ গৌড়ের এই শোচনীয় অবস্থার দিনে যে তান্দ-নগর কিছুদিনের জন্য বাঙ্গালার রাজধানী হইয়া দাড়াইয়াছিল, তাহার চিহ্ন এখন অতি কষ্ট করিয়া অনুসন্ধান করিতে হয় । মেজর রেনেল বলেন,তাণ্ডা, তাড়া বা তাড়া রাজমহল যাইবার পথে গৌড়ের অতি নিকটেই অবস্থিত ছিল। ঐ নগরের প্রাচীন হুগের প্রাচীর ভিন্ন এখন আর কোনও চিহ্নই খুজিয়া পাওয়া যায় না। কোন সময় এই নগর পরিত্যক্ত হয়, তাহাও জানিবার উপায় নুই। মিষ্টার উইলফোর্ড আবার তাঙ্গার অন্তরূপ স্থান নির্দেশ করেন । র্তাহার মতে, গৌড়ের পরপারে বাগমতী নদীর ধারে ঐ নগর বিদ্যমান ছিল । আইন-ই-আকবরী গ্রন্থে ‘খোয়াসপুর তোণ্ড’ বিভাগের পরিচয় পাওয়া যায়। কেহ কেহ উহাকেই তান্দা নগরের অংশ বলিয়া মনে করেন। } গৌড়ের বাণিজ্য-প্রভাব হ্রাস প্রাপ্ত হইয়া আসিলে, মালদহ ( পুরাতন মালদহ ) বাণিজ্যের কেন্দ্র-স্থল হইয়। দাড়ায় । এই নগর মহানন্দ এবং কালিন্দীর সঙ্গম-স্থলে অবস্থিত ছিল । নদীর গতি পরিবর্তিত হওয়ায়, গৌড়ের রাজধানী পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে, গৌড় ও পাণ্ডুয়ার মধ্যৱৰ্ত্তী মালদহ ব্যবসা-বাণিজ্যে জী-সম্পন্ন হয়। এই নগর তখন তোরণ-স্বার দ্বার। মুরক্ষিত ছিল ; এবং মূল্যবান পণ্যদ্রব্যাদির সুরক্ষার উদ্বেপ্তে এই নগরের অভ্যস্তরে উচ্চপ্রাচীর-বিশিষ্ট ‘কাটুরা’ বা পান্থশালা প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। পুরাতন মালদহ কেবল যে এই সময়েই বাণিজ্য-স্থান হইয়া দাড়াইয়াছিল, তাহা নহে। প্রাচীনকাল হইতে এই স্থান রেশমের এবং তুলার বস্ত্রের ব্যবসায়ের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল । সার উইলিয়াম হান্টার তৎপ্রণীত ‘ষ্ট্যাটিসটিক্যাল য়্যাকাউণ্ট অব বেঙ্গল’ গ্রন্থে ১৮৭২ খৃষ্টাব্দে প্রাচীন মালদহের প্রাচীন বাণিজ্য-বিষয়ে একটা কৌতুকাবহ ঘটনার উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন । তিনি বলেন,–‘লিখিত আছে, প্রায় তিন শত বৎসর পূর্বে সেখ ভিক নামক জনৈক বণিক কাতার মুসরি প্রভৃত্তি পুরাতন भाँलझ ॥

  • পর্তুগীজ ঐতিহাসিকগণের এই সকল বিবরণ নিম্নলিখিত পুস্তকে দ্রষ্টব্য -(t) Green's collection of Voyages and Travels, vol. I., (2) Portuguese Asia by Manuel đe Fariay Sousa translated by John Stevens, (3) Journal of the Asiatic Society of Bengal. 1909.

t Rannell's Memoir of a Map of Hindoota", and 4sistic Researches Vol. v.