পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&>や एछiब्रॐश्वं । হইয়াছিলেন। পরিশেষে ইব্রাহিম । স্ববেদার হইয়া আসিয়া পর্তুগীজগণকে দমন-জঙ্ক বন্ধপরিকর হন। কিন্তু এসময় পর্তুগীজগণ নানাস্থানে আপনাদের প্রভাব-প্রতিপত্তি বিস্তার করিয়া বসিয়াছিল। এই সময়ে হুগলীতে পর্তুগীজগণের বাণিজ্য-কুঠ প্রতিষ্ঠিত হয়। বাণিজ্যের অছিলায় তাহার নানাস্থানে আধিপত্য-বিস্তারে প্রয়াস পায়। পর্তুগীজগণের অত্যাচারে এই সময় সমগ্র বঙ্গদেশ বিশেষভাবে উত্যক্ত হইয়া পড়িয়াছিল। পর্তুগীজগণ কেবল ব্যবসা-বাণিজ্যে লুণ্ঠ-তরাজ করিয়া নিরস্ত ছিল না ;–তাহার এদেশের বালকবালিকা স্ত্রীলোক প্রভৃতিকে চুরী করিয়া লইয়া দাসদাসী-রূপে দেশাস্তরে বিক্রয় করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছিল । অত্যাচারের রাজত্ব-অধিক দিন স্থায়ী হয় না । সুতরাং অল্পদিন মধ্যেই বঙ্গদেশ হইতে পর্তুগীজগণের বাণিজ্য ও আধিপত্য লোপ প্রাপ্ত হইয়াছিল। ১৬৩৩ খৃষ্টাব্দে বাঙ্গালার সুবেদার কাশীম খাঁ জোবানি বাঙ্গালা হইতে পর্তুগীজগণকে একেবারে বিদূরিত করেন। ঐ সময়ে মোগল-সৈন্ত হুগলীসছর আক্রমণ করায়, তিনি বৎসর কাল পর্তুগীজদিগকে অবরুদ্ধ-নগরে অবস্থিতি করিতে হইয়াছিল। ১৬৩২ খৃষ্টাব্দে পর্তুগীজগণ আত্মসমর্পণ করিতে বাধ্য হয়। পর বৎসর হইতেই বাঙ্গালার সহিত পর্তুগীজগণের সকল সম্বন্ধ ছিন্ন হইয়া যায়। যে ভীষণ অত্যাচারে পর্তুগীজগণ বঙ্গদেশকে বিপন্ন করিয়া তুলিয়াছিল, হুগলীতে তাহাদের পরাজয়-সময়ে মোগলগণের নিকট সেইরূপ প্রতিশোধই তাহারা প্রাপ্ত হইয়াছিল। বিধাতার কি নিদারুণ অভিশাপ ! আত্মসমর্পণের পূৰ্ব্বে পর্তুগীজেরা আপনাদের কতকগুলি অর্ণবপোত আপনারই অগ্নিসংযোগে ভস্মীভূত করে। সেই অর্ণবপোতে দুই সহস্ৰাধিক নরনারী বালক-বালিকা আশ্রয় লইয়া ছিল। মুসলমানগণের হস্তে আত্মসমর্পণ করা অপেক্ষা মৃত্যু শ্রেয় মনে করিয়া, জাহাজের অধ্যক্ষ অগ্নিসংযোগে জাহাজ ভস্মীভূত করেন। চৌষট্টি খানি বৃহৎ পোত এবং এক শত সাতার খানি নাতিক্ষুদ্র নাতিবৃহৎ তরুণী, নগরের পরপারে নোঙ্গর করিয়া ছিল। তাহার অধিকাংশই অনলসংযোগে ভস্মীভূত হয় । কেবল তিনখানি ক্ষুদ্র তরণী কোনরূপে পথ পাইয়া গোয়-সহরে পলায়ম করিতে সমর্থ হইয়াছিল। অধিকাংশ ধন-সম্পত্তি এবং প্রাণ এইরূপে অগ্নিদাহে ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ার পর, যাহা কিছু অবশিষ্ট ছিল, মোগলদিগের হস্তে নিপতিত হয়। সহস্ৰাধিক পুরুষ-পূর্কেই যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণদান করিয়াছিল। অবশিষ্ট চুয়াল্লিশ শত স্ত্রীপুরুষ বালক-বালিকা বন্দী হয়। তাহাদের মধ্যে পাঁচ শত বলিষ্ঠ সুন্দর যুবাপুরুষ এবং কয়েক জন ধৰ্ম্মযাজক-জাগ্রায় প্রেরিত হইয়াছিল । সুন্দরী বালিকাগণ সম্রাটের ও ওমরাহগণের হারামে জাপ্রয় লইতে বাধ্য ছয় । ইহার পর হুগলীর ব্যবসা-বাণিজ্যের তত্ত্বাবধানের জন্য মোগল-জন্তুবার হইতে একজন ফৌজদার নিযুক্ত হইয়া আসেন। তখন, ১৬৩৪ খৃষ্টাব্দে ২রা ফেব্রুয়ারীয় ফায়মান’ অনুসারে, সাতগাঁ হইতে সকল সরকারী কাৰ্য্যালয় হগলীতে উঠিয়া আসে। পর্তুগীজদিগের ভারতীগমনের অব্যবহিত পরে দিনেমারগণ, ওলন্দাজগণ, Jo ইংরেজগণ ও ফরাসিগণ তারতবর্ষে বাণিজ্য করিতে প্রলুব্ধ হন। CBBBDS gggg DDB BBBSBBB gDD BBDu DBtt BBBBBB BBB BBB BDDS DBBBB BDD BBBBBBH BB DDD DBBD