পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१९8 ভারতবর্ষ । কত দূরদেশে কতপ্রকার পণ্যের বিনিময়-বাণিজ্য চলিত, উদ্ধত অংশে তাই বেশ বুঝিঙে পারা যায়। চীনদেশের সহিত ভারতের বাণিজ্য-ব্যপদেশে যে উপঢৌকন-প্রদান-প্রথার BBBB BBBBBS BBBBB BBBBBB BBBB SBBS DDD eBB BBBB BB S SS ইহাতে বঙ্গদেশের বণিকগণ কর্তৃক চীনদেশে রাজন্তুষ্টির জন্ত উপঢৌকন-দামের প্রথা প্রবর্তিত হইয়াছিল অনুমান হয়। বাঙ্গালীর উপনিবেশ-প্রতিষ্ঠার ও উপঢৌকন-দানপ্রথার প্রভাবেই চীনের সহিত এ দেশের বাণিজ্য-সম্বন্ধ দৃঢ় হইয়া আসিয়াছিল। সে সময় পৃথিবীর যে সকল বিভিন্ন জাতির সহিত বাঙ্গালার বাণিজ্য-সম্বন্ধ ছিল, কবিকঙ্কণে তাহারও পরিচয় পাওয়া যায়। ভারতবর্ষের কোন কোন অংশে বাঙ্গালী বাণিজ্য করিতে যাইত, তাহারও নিদর্শন দেখিতে পাই । পুর্ব উপকুলের প্রায় সমস্ত বন্দর এবং সিংহল অতিক্রম করিয়া পশ্চিম উপকূলে গুজরাট-দেশে বাঙ্গালার অর্ণবপোত গতিবিধি করিত, —চওঁী-কাবো সে বর্ণনাও দৃষ্ট হয়। কত প্রকার স্বভৃগু ও দ্রুতগতিবিশিষ্ট পোত এদেশে প্রচলিত ছিল, বিজয় গুপ্ত প্রণীত মনসামঙ্গলে’ তাহার একটু বর্ণনা আছে। সে বর্ণনা, “প্রথম তুলিল ডিঙ্গা নাম মধুকর। শুধাই সুবৰ্ণে তার বসিবার ঘর। আর ডিঙ্গা তুলিলেক নাম দুর্গাবর । তবে তোলে ডিঙ্গাখানি নাম গুয়ারেখি । দ্বিপ্রহরের পথে যার মাথা কাঠ দেখি ॥ আর ডিঙ্গা তুলিলেক নাম শঙ্খচূড়। আসি গজপাণি ভাঙ্গি গাঙ্গে লয় কুল ৷ তবে ডিঙ্গাথান তোলে নাম সিংহমুখী । সূর্য্যের সমান রূপ করে ঝিকিমিকি । আর ডিঙ্গা তুলিলেক নাম চন্দ্রপান। তাথে ভরা দিলে কুলে হয় থান । আর ডিঙ্গা তুলিলেক নাম ছোটমুখী । তাহে চালু ভরা চাহে হাজার এক পুটী ॥ সম ধুনা দিয়া তবে গাইল সাত মায়। তড়িৎ গমনে ডিঙ্গা সাজিয়া চালায় ॥ সাতখানি ডিঙ্গা ভাসে ভ্রমরার জলে । গোজে বাধি রাখে ডিঙ্গা লোহার শিকলে ॥ তার পিছে চলে ডিঙ্গা নাম চন্দ্ৰপাট । যাহার উপরে চাদ মিলাইছে হাট ॥’ বিজয় গুপ্ত চারি শত বৎসরেরও অধিক পুৰ্ব্বে বিদ্যমান ছিলেন। তিনি যে সকল অর্ণবপেতের নাম করিয়াছেন, সেই সকল অর্ণবপোতের বিবরণ অন্যান্য প্রাচীন কবিদিগের গ্রন্থেও দৃষ্ট হয়। ‘মধুকর নামক তিনি যে প্রথম পোতের উল্লেখ করিয়াছেন, কবিকঙ্কণে ধনপতি সদাগরের সিংহল-যাত্রার কালে সেই ‘মধুকর নামধেয় অর্ণবপোতের পরিচয় পাই। তাহার ছয়খানি তরী ঝড়-ঝঞ্জাবাতে জলমগ্ন হইলে, এক ‘মধুকর" পোত অব্যাহত ছিল। যথা ;--- “হংস-ডিম্ব হেন ডিঙ্গা মধুকর ভাসে। ঝলকে ঝলকে জল লয় চারি পাশে । ঘুর্ণীয়। বড়ে ডিঙ্গা ঘন দেয় পাক। পাকে ফিরে ডিঙ্গ যেন কুম্ভারের চাক । সবেমাত্র রহিল একলা মধুকর । গাইল পাচালি মুকুন্দ কবিবর ॥” মনসার তাসান, পদ্মাপুরাণ আর আর যে যে কবি রচনা করিয়া গিয়াছেন, প্তাহাrে রচনায়ও ‘মধুকর', “মহাঙ্গন প্রভৃতি অর্ণবপোতের বর্ণমা আছে। কিবা পশ্চিমবঙ্গের কবিগণের কিবা পূর্ববঙ্গের কবিগণের সকলেরই বর্ণনায় সমুদ্ৰ-যাত্রার উপযোগ) S BBSBBBBB BB BB BB BBBBBS BBDD BB DD BBB BBB SDYS