পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/২৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বঙ্গের গৌরব-বিভব । 总8为 বিমুখ, কৰ্ম্মফল অলঙ্ঘনীয় ; সুতরাং উপহার কোনও আকাঙ্ক্ষাই পূর্ণ হইল না। প্রতাপাদিত্য বন্দী ও স্বতসৰ্ব্বস্ব হওয়ার পর, তাহার নবরাজ্য সমুলে উৎপাটিত হইল। কতক বিজয়ী মোগল-সৈন্তের অত্যাচারে, কতক বা প্রাকৃতিক বিপৰ্য্যয়ে, প্রতাপের রাজ্য অরণ্যে পরিণত হয় । সে জনপদ, কি পরিতাপের বিষয়, এখন সুন্দরবনের অস্তনিবিষ্ট । প্রতাপ ভিন্ন BB BB BBBS BBBBB BBBBBBB BBBBBBS BBS BS BBBBB BBBD S কিন্তু মোগলের প্রচণ্ড প্রতাপের নিকট তিনিও অধিক দিন আপন প্রাধান্য রক্ষা করিতে পারেন নাই। এতদ্ভিন্ন আর আর যে ভৌমিকগণের পরিচয় পাই, তাহার। প্রায় সকলেই মোগলের সহিত যোগদান করেন। বিষ্ণুপুরের রাজা হাম্বীর ব৷ হামীরমল্প মোগলের পক্ষাবলম্বনে উড়িষ্যায় পাঠানগণের সহিত যুদ্ধ করিয়াছিলেন। মানসিংহের পুত্র জগৎসিংহ পাঠান-হস্তে বন্দী হইলে, হামীরমল্প ৰ্তাহার উদ্ধার-সাধন করেন। বাঙ্গালী ভৌমিকের সে দ্বীরত্ব-মুসলমান ঐতিহাসিকগণই কীৰ্ত্তন করিয়া গিয়াছেন । বাঞ্চলা-চন্দ্রদ্বীপের BBS BBB BBBB BBBBB BBBBBB BBBB BBBB BBBS BBB BB BBBS প্রতাপশালী ও সমাজপতি বলিয়া পরিচিত হওয়ায়, তাহর পদ-প্রতিষ্ঠ। গ্রহণে উৎসুক হইয়া, প্রতাপাদিত্য র্তাহার সংহার-সাধনে বদ্ধপরিকর হন। কিন্তু, সম্ভবতঃ সন্মুখসমরে জয়ের আশা অল্প ছিল বলিয়া, রামচন্দ্রের সংহার-":"ন-কল্পে তিনি কুট বুদ্ধির আশ্রয় গ্রহণ করেন । প্রতাপাদিত্যের কন্যা বিন্দুমতীর সহিত রামচন্দ্রের বিবাহসম্বন্ধ ধাৰ্য্য হয় । বিবাহ-বাসরে রামচন্দ্রকে হত্যা করিয়া প্রতাপাদিত্য বাকুল-চন্দ্রদ্বীপের আধিপত্য ও সমাজপতিত্ব গ্রহণ করিবেন মনস্থ করেন । কিন্তু বিবাহের পর প্রতাপের কন্যা বিন্দুমতী পতির নিকট পিতার গৃঢ়-অভিসন্ধির—নৃশংস সঙ্কল্পের বিষয় ব্যক্ত করিয়া দেন । তখন, প্রতাপের পিতৃব্য বসন্তরায়ের ও আপন অকুচরগণের সহায়তায়, চতুঃষষ্টিদণ্ডযুক্ত পোতে আরোহণ করিয়া, পলায়নে রামচন্দ্র প্রাণ রক্ষা করেন । রামচন্দ্র রায়ের সহিত বিরোধ—প্ৰতাপের পতনের অন্যতম কারণ বলিয়া নির্দেশ করা যাইতে পারে। রামচন্দ্র এবং তঁহার পুত্র কীৰ্ত্তিনারায়ণ উভয়েই প্রসিদ্ধ যোদ্ধা ছিলেন । প্রধানতঃ এই কীৰ্ত্তিনারায়ণের বাহুবলেই পর্তুগীজগণ মেঘনার মেহল। ষ্টেতে বিতাড়িত DDBBBBB S BBBBBBB BBBB BBBB BBBBBB B BBBBS BBBBSBBSBBB হন ; সুতরাং বঙ্গবিজয়ে তিনি মোগল-পক্ষই অবলম্বন করিয়াছিলেন । নবদ্বীপাধিপতি ভবানন্দ মজুমদার প্রতাপাদিত্যের বিরুদ্ধে সৈন্ত-পরিচালনা করিয়া মানসিংহের সহায়তা করেন । এইরূপ, বাঙ্গালার ভূস্বামিগণের অনেকেরই বীরত্বের খ্যাতি আছে। কিন্তু ভূইয়া-প্রথার অবসানের সঙ্গে সঙ্গে সে খ্যাতি লোপ পাষ্টম আসে। টোডরমল এবং মানসিংহের কৌশলে বাঙ্গালার ভৌমিকগণের উচ্ছেদ-সাধন হয় । స్టో বঙ্গের প্রতিনিধি শাসনকৰ্ত্ত নিযুক্ত হইয়া আসিয়া, টোডরমল প্রথমেই ভূইয়া-প্রথার পরিবর্তন-পক্ষে চেষ্টা পান। সেই সময় বাঙ্গলবিহার-উড়িষ্যার “অসাল তুমার-জমা” প্রস্তুত হয়। তদনুসারে, ১৫৮২ খৃষ্টাব্দে, বঙ্গালদেশ উনবিংশ সরকারে এবং ৬৮২ পরগণায় বিভক্ত হইয়াছিল। তখন হইতে ৪র্থ।৩২