পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/২৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবর্ষ । مِ سs b অমিত-পর্যক্রম প্রদর্শন-হেতু বিক্রমাদিত্য যথাক্রমে ‘শকারি’ ও ‘সাহসান্ধ' নামে পরিচিত YBBB S S BBBBBB BBBDBB BBBS B BBBBBBS S BBBBBB BBBDDS শকারিঃ । ইতি জটাধরঃ ) প্রাচীন আভিধানিক জটাধর, বিক্রমাদিত্যের ঐ দুই নামের বিষয় লিখিয়া গিয়াছেন । বোম্বাই-প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত নাসিক নগরের সন্নিকটে একখানি শিলাফলক আবিষ্কৃত হইয়াছে। ঐ শিলাফলকে বিক্রমাদিত্য পূৰ্ব্বোক্ত সাহসান্ধ’ ও ‘শকারি’ নামে পরিচিত আছেন। ঐ শিলাফলক—খৃষ্টীয় প্রথম শতাব্দীর পূৰ্ব্বে খোদিত হইয়াছিল বলিয়। প্রমাণ পাওয়া যায়। সুতরাং বিক্রমাদিত্য ও কালিদাস খৃষ্ট-পূর্ব প্রথম শতাব্দীতে ছিলেন, ইহাই বুঝা যায়। চতুর্থতঃ, প্রসিদ্ধ বৌদ্ধকবি অশ্বঘোষের ও কালিদাসের রচনার সাদৃশ্য-বিষয়ক গবেষণায় কালিদাসের বিদ্যমান-কাল নির্ণীত হইতে পারে। কালিদাসের অনেক কবিতার ছায়। রূপান্তরে বুদ্ধচরিতে পতিত হইয়াছে। রঘুবংশের ও কুমারসম্ভবের কয়েক চরণ এবং বুদ্ধচরিতের কয়েক চরণ মিলাইয়। দেখুন। রঘুবংশে,“ততস্তদালোকনতৎপরাণাং সৌধেযু চামীক বুজালবৎস্থ । বভুবুরিখং পুরসুন্দরীণাং ত্যক্তান্তকাৰ্য্যাণি বিচেষ্টিতানি ॥ তাসাং মুখৈরাসবগন্ধগর্ভৈ ব্যাপ্তান্তরাং সান্দ্র কুতূহলানাম। বিলোলনেত্রভ্রমরৈগবাক্ষাঃ সহস্রপত্রাভরণা ইবসেন ॥” স্বয়ম্বর সভায় ইন্দুমতীকে লাভ করিয়া নৃপত্তি অজ যখন নগর প্রবেশ করিতেছেন, তখন পুরমহিলাগণ সুবর্ণময় গবাক্ষ-পথে দণ্ডায়মান থাকিয় কি-ভাবে বর-বধূর নগর প্রবেশ দর্শন করিতেছেন, কবিতা কয়েক চরণে তাহারই বর্ণনা আছে। বুদ্ধচরিতে শাক্যসিংহকে দর্শন-সম্বন্ধে পুরমহিলাগণের এইরূপ ভাব দেখিতে পাই। বুদ্ধচরিতের বর্ণমা,— “তত কুমারঃ থলু গচ্ছতীতি শ্ৰুত্বাস্ত্রিয়ঃ প্রেস্যঞ্জনাৎ প্রবৃত্তিম । দিদৃক্ষয়। হৰ্ম্ম তলানি জগ জনেন মান্তেন কৃতাভামুজ্ঞাঃ ॥ বাতায়নেভ্যস্ত বিনিঃস্থতানি পরস্পরোপাসিত কুগুলানি । স্ত্রাণাং বিরেজুমুখপঙ্কজানি সক্তানি হৰ্ম্মেধিব পঙ্কজানি ॥” উভয়ের বর্ণনার কি সাদৃশু—উপলব্ধি করুন। কালিদাসের বর্ণনার শেষার্দ্ধে প্রকাশ,— ‘অতিমাত্র কুতুলী নারীগণের আসবসৌরভপূর্ণ চঞ্চল-নেত্র-রূপ ভ্রমর দ্বারা শোভিত বদনসমূহে সমকোণ হওয়ায় গবাক্ষ-বিবর-সকল যেন কমল-সমূহে সমলস্কৃত বলিয়া বোধ হইল।” বুদ্ধচরিতের বর্ণনায়ও এইভাব প্রকটিত । র্তাহারও কবিতার শেষার্দ্ধে প্রকাশ,--"বাতায়নপথবিনিঃস্থত কুগুলপরিশোভিত পুরমহিলাগণের বদনক্র হর্গ্যসংসত্ত পঙ্কজসমূহের স্থায় শোভা পাইতে লাগিল।’ এ ভাব এ সাদৃশু দর্শনে, একজন অপরের রচনা দর্শন করিয়াছিলেন বলিয়াই মনে হয় না কি ? আর একস্থানে দেখুন। কুমারসম্ভবে আছে,~• “কমিস্ত বাণীবসরং প্রতীক্ষ্য পতঙ্গবন্ধfছুমুখং বিবিক্ষুঃ । উখাসমক্ষং হরবদ্ধলক্ষ্য শরাসনঙ্গ্যাং মুহুরাষমর্শ " মহাদেব যোগমগ্ন। বত্ত্বি প্রবেশেছ, পতঙ্গবৎ মদন তাহাকে লক্ষ্য করিয়া বাণপ্রয়োগ করিতেছেন। প্রোক্ত কবিতা তাহারই বর্ণন । দেখুন, বুদ্ধচরিতে-ঠিক এই ভাব কি মা !