ভারতবর্ষ । به هم ریا এই শ্লেকের পাদ-চতুষ্টয়ে চতুৰ্ব্বিধ বর্ণ ‘স’, ‘য়’, ‘ল’, ‘শ’ ব্যবহৃত। ‘সমুদগক ছন্দে একই শব্দ-সংগঠিত একই চরণ দুইবার ব্যবহৃত ছুইযাছে ; অথচ, অর্থ বিভিন্ন। যথা,— “স্তন্দনানে। চতুরগাঃ স্থবেভাব বিপত্তয়ঃ । • সন্দনানো চতুৰগাঃ সুরেভাব বিপত্তয়ঃ ॥" ‘গোমুত্রিক বন্ধঃ’ ছন্দে প্রথম ও দ্বিতীয চরণের মধ্যে প্রথম চরণের প্রথম, তৃতীয়, পঞ্চম প্রভৃতি বর্ণের সহিত দ্বিতীয় চরণের দ্বিতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ প্রভৃতি ক্রমে বর্ণের সংযোগ-সাধনে শ্লেকের প্রথম চরণ সংগঠিত হয় । আবার এই দুই চরণের দ্বিতীয চরণ হইতে আরম্ভ কবিয়। দ্বিতীয় চরণের প্রথম ও প্রথম চৰণের দ্বিতীয ইত্যাদি ক্রমে এক একটী বর্ণ বাদ দিয পাঠ করিলে দ্বিতীয চরণ সংগ্রথিত হয় । গোমূত্রিক বন্ধঃ’ ছন্দের একটা দৃষ্টান্ত,— SKS D BB BDS D BS BS BS BS BS BS BS BS BS BS BSSS BS BS BS BS BS BS BS BS BS BS BS BS BS BS BS S প্রথম চবণের প্রথম অক্ষব ‘ন।", দ্বিতীয চরণের দ্বিতীয় অক্ষর ‘সু’, প্রথম চরণের তৃতীয় অক্ষর 'রো', দ্বিতীয় চরণের চতুর্থ অক্ষর "য়ং’, প্রথম চরণের পঞ্চম অক্ষর 'ন', দ্বিতীয় চরণের ষষ্ঠ অক্ষর ‘বা’ প্রভূতি ক্রমে পাঠ করিলে প্রথম চরণটা প্রাপ্ত হওয়া যায়। এইরূপ দ্বিতীয় চরণের প্রথম বর্ণ ন’, প্রথম চরণের দ্বিতীয় বর্ণ ‘সু’, দ্বিতীয় চরণের তৃতীয় বর্ণ "খো", প্রথম চরণের চতুর্থ বর্ণ য়ং ইত্যাদি ক্রমে পাঠ করিলে দ্বিতীয় চরণ পাইতে পারি। এমনই অভিনব কৌশলে শ্লোকটী বিরচিত হইয়াছে ! "প্রতিলোমাকুলোমপাদঃ’ ছন্দে এক এক চরণের প্রথম দিক হইতে পাঠ করিলে যে বাক্য হইবে, চরণের শেষ দিক হইতে পাঠ করিলেও সেই বাক্য পাওয়া যাইবে । দৃষ্টান্তস্বরূপ চারিট চরণ উদ্ধত হইল – “বেত্রশাককুজে শৈলেহলেশৈজেক্ট কুকশাত্রবে । যাত কিং বিদিশেজেতুং তু’জেশোদিবি কিংতয় ॥ নতু হে৷ মথনবাধে ধোরানাথ মহোমু ন । তয়দাতবদ ভীমামাভীদাবত দায়ত ॥” উপরি-উদ্ধৃত চারি চরণের প্রতি চরণের প্রথম হইতে পাঠ করিলেও যে ভাব, যে ভাষা, যে শকা পাওয়া যাইবে শেষ হইতে পাঠ করিলে ও সেই ভাব, সেই ভাষা, সেই শব্দ প্রাপ্ত হইবেন । এই শ্রেণীর অাব এক শ্লোকে আর এক প্রকার কৃতিত্ব পরিদৃষ্ট হয়। প্রতিলোমামুলোমেন শ্লোকদ্বয়ম্”—আরও অভিনব পদ্ধতিতে নিবদ্ধ। উহার দুইটী শ্লেকের মধ্যে শেষের শ্লোকের শেষ দিক হইতে পাঠ করিলে, প্রথম শ্লোক পাওয়া যাইবে । আবার প্রথম শ্লেকের শেষ চরণের শেষ দিক হইতে পাঠ করিলে দ্বিতীয় শ্লেক পাওয়া যায় । “নিশিতাসিরতে হভৗকোন্ত্যেজতেহমরণারুচা । সাহন্তোন বিরোধী ন স্বাভাসোভরবাহুত ॥ তন্তু বীরভসে ভাস্বান ধীরোবিনতোরস । চারুণ রমতে জষ্ঠে কেহ ভীতোরসিতাশিলি ॥”
