পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদের আদি-তত্ত্ব। כיסו করিয়াছেন। উপসংহারস্থলে তিনি বলিয়াছেন,—মন্বন্তর যুগান্তরেষু চ অতীতানাগতেৰু সম্প্রদায়াভ্যাসপ্রয়োগাবিচ্ছেদে বেদানাং নিত্যত্বং আগুপ্রামাণ্যাৎ চ প্রামাণ্যং। লৌকিকেযু শব্দেষু চৈতৎ সমানং । অর্থাৎ,—অতীত এবং ভবিষ্যৎ মন্বন্তর ও যুগান্তর সময়ে বেদের সম্প্রদায়, অভ্যাস এবং প্রয়োগ অবিচ্ছিন্ন থাকে, এজন্য বেদ নিত্য । আর যথার্থবাদী প্রণেতার যথার্থ উপদেশ, এই হেতু বেদের প্রামাণ্য । লৌকিক বাক্যেও এই নিয়ম । অতএব প্রতিপন্ন হইতেছে যে, নৈয়ায়িকের বহুকাল প্রচলিত আছে—এজন্য বেদের নিত্যতা এবং বেদকৰ্ত্ত। যথার্থবাদী এজন্য বেদ প্রামাণ্য স্বীকার করেন । তাহারা বলেন,—‘বেদাক্ত বিষয়ের সত্যতা আছে বলিয়া যে, বেদের নিত্য ত্ব স্বীকার করিতে হইবে,–এরূপ কি নিয়ম আছে ? ঘট কুস্তকার কর্তৃক কৃত— এই বাকোর যাথার্থ্য আছে বলিয়া যেমন ঐ বাক্যের অভ্রান্ত-পুরুষোক্ততা আছে, তদ্রুপ বেদ অভ্রান্ত-পুরুষ প্রণীত, এইমাত্র। নতুবা, বেদ যে কোনও ব্যক্তি কর্তৃক রচিত নহে, এমন নহে। যদি অর্থের যাথার্থ থাকিলেই বাক্য নিত্য হয়, তাহ হইলে পূৰ্ব্বোক্ত ঘট কুস্তকার কৃত,—এ আধুনিক বাক্য নিতা হইয়। উঠে। যদিও এরূপ অভ্রান্ত-পুরুষ দৃষ্ট হয় না ; কিন্তু তাদৃশ অভ্রান্ত পুরুষ যে নাই, এ কথা বলা যাইতে পারে না । যেহেতু, সৰ্ব্ববিৎ, সৰ্ব্বশক্তিমান, সৰ্ব্বমঙ্গলনিদান, দয়াময়,জগৎকারণ ঈশ্বর সর্বত্র বিরাজমান রহিয়াছেন । তিনিই সৰ্ব্বসাধারণের প্রতি করুণ। প্রকাশ কপ্লিয়। বেদ রচন। করিয়াছেন । সুতরাং ন্যায়-দর্শনের মতে বেদ ঈশ্বরের প্রণীত বলিয়া প্রমাণ ।” ফলে দ্যায়দর্শনও ব:দর কাল-নির্দেশে অগ্রসর হইতে পারিলেন না । বৈশেষিক-দশন বিশেষ পদার্থের অস্তিত্বাকুসন্ধানে প্রযত্নপর। বৈশেষিক মতে,—“সেই বিশেষ পদার্থ নিত্য ; সেই বিশেষ পদার্থের জ্ঞানই তত্ত্বজ্ঞান ; তত্ত্বজ্ঞান-লাভে মুক্তি ; বেদ সেই তত্ত্ব-জ্ঞান-লাভের উপায় । দর্শনকার বলিতেছেন,—“তদ্বচনাৎ 8སྟར་མའི་སྟེང་། আমায়স্য প্রামাণ্যম্।।” সৰ্ব্বজ্ঞ ঈশ্বরের বাক্য বলিয়া বেদ প্রমাণ । তৎপরে বেদের প্রামাণ্য সিদ্ধান্ত করিবার নিমিত্ত দর্শনকার আর একটা সূত্রের অবতারণা করিয়াছেন। যথা—“বুদ্ধিপূর্ব বাক্যকৃতিৰ্ব্বেদে । ভাষ্যকার ব্যাখ্য। করিয়াছেন,—বাক্যকৃতিঃ বাক্যরচনা সা বুদ্ধিপূৰ্ব্বা বক্তৃযথার্থজ্ঞানপূৰ্ব্ব । নদীতীরে পঞ্চফলনি সস্তীত্যন্মদাদিবাক্যরচনাবৎ । স্বৰ্গকামো যজেত ইত্যাদেী ইষ্টসাধনতায়াঃ কার্য্যতায় বা অন্মদাদিবুদ্ধাগোচরস্থাৎ । তেন স্বতন্ত্রপুরুষপূৰ্ব্বকত্বং বেদে সিধ্যতি। ব্যাখ্যা হইতে এই স্বত্রের অর্থ নিম্পন্ন হয়,—বেদবক্তার যথার্থ জ্ঞানপূৰ্ব্বক বাক্য-রচনা দেখিতে পাওয়া যায়। স্বৰ্গকামনা করিয়। যাগ করিবে—ইত্যাদি ইষ্ট্রোপদেশ অম্মদ সদৃশ ব্যক্তিদিগের বুদ্ধির অগোচর। সুতরাং স্বতন্ত্ৰ সৰ্ব্বজ্ঞ ঈশ্বর বেদ-রচনা কফুিছেন, তাহা স্বীকার করিতে হইবে। অজ্ঞানাদি দোষবিশিষ্ট ময়ূন্যেরা বেদ-রচনা করিতে অসমর্থ। যেহেতু, বেদের বহুসংখ্যক শাখা দেখিতে পাওয়া যায় এবং বেদের প্রতিপাদ্য বিষয়-সমূহও প্রত্যক্ষ প্রভৃতি ইন্দ্রিয়ের অগ্রাহ। এত শাখাবিশিষ্ট বেদ দুৰ্ব্বল মনুষ্য কর্তৃক প্রণীত হইতে পারে না। আর অনেক বুদ্ধিমান উপযুক্ত ব্যক্তি বেদের প্রামাণ্য স্বীকার করিয়া থাকেন। যথার্থবাদী উপযুক্ত পুরুষের বাক্য ন হইলে কি বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা গ্রাহ করেন ? অতএব বেদ