পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৩৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবর্ষ وی بریتانیا 灣 সম্বন্ধে সেই উক্তি। মালতী-মাধবে দ্ব্যর্থমূলক বাক্যও একাধিক স্থলে দৃষ্ট হয়। ভবভূতির ভাষা অধিকাংশ স্থলে সমস্তপদবিশিষ্ট । তজ্জন্ত কেহ কেহ তাহাকে বাণভট্ট ও দণ্ডী প্রভৃতির সমসাময়িক বলিয়া নির্দেশ করেন। ভবভূতির মহাবীরচরিত এবং উত্তররামচরিত—এই ছুই নাটক স্ত্রীরামচন্দ্রের চরিত্র লইয়া রচিত। মহাবীরচরিতে শ্রীরামচন্ত্রের বাল্যজীবন হইতে আরম্ভ করিয়া লঙ্কার সমরে বিজয়লাভের বিষয় পৰ্য্যন্ত বর্ণিত্ত মইালীবচবিত। আছে। উত্তররামচরিতে র্তাহার শেষজীবন, সীতার নিৰ্ব্বাসন, বাল্মীকির তপোবনে লব-কুশের জন্ম এবং শেষ মিলনের দৃপ্ত প্রদর্শিত। মহাবীরচরিত সাত অঙ্কে বিভক্ত। লঙ্কাবিজয়ের পর স্ত্রীরামচন্দ্রের রাজ্যাভিযেকে উহার উপসংহার। কবিবাক্যে নটমুখে যদিও স্বচনায় প্রকাশ,—কবি বাল্মীকির অনুসরণে এই নাটক রচনা করিয়াছেন ; কিন্তু নাটক-রচনার নিয়মানুবৰ্ত্তী হইয়া দুই এক স্থলে তাহার কল্পনা ভিন্ন-পথেও প্রধাবিত হইয়াছে। প্রথম অঙ্কের প্রথম দৃষ্ঠের প্রতি লক্ষ্য করিলেই তদ্বিষয় হৃদয়ঙ্গম হয়। নাটকমাত্রেই পরিণয়েব পূৰ্ব্বে নায়ক-নায়িকার একবার সাক্ষাৎ ঘটে। সেই সাক্ষাতে নায়কনায়িক পরস্পর পৰস্পরের প্রতি আসক্ত হন । কবি বোধ হয় নাটকের এই রীতির অনুসরণ করিতে গিয়াই সিদ্ধাশ্রমের পথে সীতাদেবীর ও উন্মিলার সহিত রাম-লক্ষ্মণের সাক্ষাৎকার ঘটাইয়াছেন। বাল্মীকির রামায়ণে কিন্তু হরধমুর্ভঙ্গের পূৰ্ব্বে জানকীর বা উৰ্ম্মিলার সহিত রামের বা লক্ষ্মণের সাক্ষাৎকারের কোনই উল্লেখ নাই। কুশধ্বজ জনকের সমভিব্যাঙ্গারে সীতা ও উম্মিলা বিশ্বামিত্রের যজ্ঞ-ক্ষেত্রে আসিয়াছিলেন । সেই যজ্ঞক্ষেত্রে রাম-লক্ষ্মণের সহিত তাহাদের সাক্ষাৎ হয় ; তাড়কাদির নিধন-ব্যাপার তাহারা প্রত্যক্ষ করেন । যেমন রূপ-সৌন্দৰ্য্য, তেমনই শৌর্য্য-বীৰ্য্য—এই দেখিয়া সীতা ও উম্মিল যথাক্রমে রামের ও লক্ষ্মণের প্রতি অনুরাগিণী হইয়া পড়েন। ঐ সময় রাবণের দূত এক রাক্ষস আসিয়া যজ্ঞক্ষেত্রে উপস্থিত হন। রাবণের পক্ষ হইয়া তিনি বলেন,—“ত্রিভুবনবিজয়ী দশানন সীতাদেবীর পাণিগ্রহণে উৎসুক। তিনি বলপ্রয়োগেই সীতাদেবীকে অপহরণ করিতে পারিতেন ; কিন্তু মাতুল মাল্যবানের নিষেধক্রমে তিনি বলপ্রকাশে বিরত হইয়া অামায় প্রেরণ করিয়াছেন । যদি তাঙ্গার হস্তে সীতাকে সমর্পণ না করেন, বিষম অনর্থ ঘটবে।’ এক দিকে এই সকল বিভীষিকা, অন্ত দিকে হরধমুর্ভঙ্গে জানকীকে লাভ—ইহাই প্রথম অঙ্কের বর্ণিতব্য বিষয় । মুবাহু, মারীচ প্রভৃতি বহু রক্ষ-সৈন্ত রাবণের পক্ষ হইতে সীতাকে লইতে আসিয়া বিপর্য্যস্ত - হয়। এ ঘটনাও প্রথম অঙ্কের অন্তর্নিবিষ্ট। দ্বিতীয় অঙ্কে রাবণের ভগিনী শূৰ্পনখা মাতুল মাল্যবানের সহিত পরামর্শ করিয়া শ্রীরামচন্দ্রের সংহার-সাধন জন্ত জামদগ্ন্য পরশুরামকে উত্তেজিত করার পরামর্শ করিতেছেন ; অন্ত দিকে সাক্ষাৎ অনলসম পরশুরাম শ্রীরামচন্দ্র-সন্নিধানে উপস্থিত হইয়া । ত্রীরামচন্দ্রকে বিপৰ্য্যস্ত করিবার চেষ্টা পাইতেছেন। জমদগ্ন্যের বীরত্ব-কাহিনী স্মরণ করিয়া সকলে ভীত ত্রস্ত –সীতাদেবী ঐ রামচন্দ্রকে পরশুরামের সম্মুখে অগ্রসর হইতে নিষেধ করিতেছেন। জামদর্যের দৰ্প, তৎপ্রতি ঐরামচন্দ্রের মিষ্টবাক্য এবং অপরের কৃপা-প্রার্থনা—প্রধানতঃ ইহাই দ্বিতীয় অঙ্কের বর্ণিতব্য বিষয়। এই অঙ্কে প্রধান লক্ষ্য করিবার বিষয়—ন্ত্রীরামচঞ্জের 伊 ক্রোধানল ভার্গবের রোষাভাষ-রূপ অনিল-সঞ্চারে ধীরে ধীরে কেমন জলিয়া উঠিতেছে । তৃতীয়