পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৩৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের সাহিত্য-সম্পং । వీ$ఫి. বাক্ষ্যেই ক্ষুণ্ণ হইয়া ঐরামচন্দ্র অন্ত চিত্র দেখাইতে বলেন। এইরূপভাবে চিত্র-প্রদর্শনকালে কত স্মরণীয় ঘটনাই তাহাদের মনোমধ্যে জাগিয় উঠে ! লক্ষ্মণ যখন গোদাবরী-তটের প্রতিচ্ছবি প্রদর্শন করিয়া কহিলেন,—“অয়মবিরলানোকহানবহু নিরস্তরঙ্গিন্ধ নীলপরিসরাস্বণ্যপরিণদ্ধগোদাবরীমুখরকন্দর সস্ততমভিম্বন্দমানমেঘমেদুরিভনীলিম জনস্থানমধ্যগোণিরিঃ প্রস্রবণে নাম” ; স্মরণ কবাইলেন,—প্রকৃতির সেই রম্যনিকেতন গোদাবরী-তীরের স্বভাব-সুন্দর চিত্র ; তখন ঐবামচন্দ্রের মনে একটা অতীত কাহিনী জাগিয়া উঠিল। তিনি কছিলেন,-- “স্মরসি মুতনু তস্মিন পৰ্ব্বতে লক্ষ্মণেন প্রতিবিহিতসপৰ্থাস্থস্থয়োস্তান্ত্যহানি। স্মরসি সুরসনীরাং তত্ৰ গোদাবরীং বা স্মরসি চ তদুপাস্তেম্বাবয়োর্বর্তনানি ॥” “কিমপি কিমপি মন্দং মন্দমাসক্তিযোগাদবিরলিতকপোলং জল্পতেরব্রুমেণ অশিথিল পরিরম্ভব্যাপুতৈকৈকদোষ্ণোরবিদিতগতযাম রাত্রিরেব ব্যরংসীৎ ॥” র্তাহার স্মরণ হইল,—সেই নিসর্গ সুন্দবীর ক্রোড়ে কেমন করিয়া তাহারা সুখে কালযাপন করিতেন। স্মরণ করিতে করিতে তিনি কহিলেন,—‘এই স্থানে যখন আমরা গাঢ় আলিঙ্গনে সম্মিলিত ছিলাম, পরম্পর পরস্পরকে বাহুদ্বারা বেষ্টন করিয়া, গণ্ডস্থলে গণ্ডস্থল মিশাইয়া, সুখে কথোপকথনে কাল কাটাইয়াছিলাম, তখন যেন আমাদের অজ্ঞাতসারে রাত্রি কাটিয়া গিয়াছিল। অার এক স্থানের অার এক চিত্রে এইরূপ আর এক স্মৃতি উজ্জল দেখি । যখন সীতাদেবীকে চিত্ৰকুট-পৰ্ব্বত-সান্নিধ্যে কালিন্দী-তটে শু্যাম-বট প্রদর্শিত হইল, শ্ৰীবামচন্দ্র কহিলেন,-“প্রিয়ে, এই সেই প্রদেশ, যেখানে তুমি পথ-শ্রান্তে কাতর হইয়া তোমার অলসশিথিল মৃণাল দেহ আমার বক্ষে বাখিয়া, আমায় গাঢ় আলিঙ্গনে নিদ্রা গিয়াছিলে ! “অলসলুলিতমুগ্ধান্যধ্বসঞ্জাতস্বেদাদশিথিলপবিবম্ভৈদত্তসংবাহননি। পরিমুদিতমৃণালীদুৰ্ব্বলান্তঙ্গকানি ত্বমুরসি মম কৃত্ব যত্র নিদ্রামবাপ্তা।” উত্তররামচরিতের বর্ণনীয় বিষয় ভারতের আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সকলেরই পরিজ্ঞাত ; কিন্তু সেই সৰ্ব্বজনবিদিত পুরাতন কাহিনীতে কবি এতই সবস মধুর রসের সঞ্চার করিয়াছেন যে, উহা এক অভিনব মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়াছে। ঘটনার ঘনঘটা অপেক্ষ ভাবের লহর-লীলায় উত্তররামচরিত প্রাণ উদ্বেলিত করিয়া তুলে। পবিত্র প্রেমের সহিত কৰ্ত্তব্য-পালনের বিষম দ্বন্দ্ব-উত্তররামচরিতের প্রাণভূত। এক দিকে প্রেমের পবিত্র মূৰ্ত্তি সতী সাধবী সীতাদেবী, অন্ত দিকে প্রজামণ্ডলীর মনস্তুষ্টি । এই ভাব পবিস্কুট করিবার জন্ত কবি প্রথমে দেখাই—মিলনের চিত্র, সুখের সংসার, পবিত্র প্রেমের বিমল নিৰ্ব্বর। কত প্রেম, কত ভালবাসা,—অভিন্ন হৃদয়, অভিন্ন প্রাণ ! তখন ভ্ৰমেও কাহারও মনে হয় নাই,-সে প্রশাস্ত, স্নিগ্ধ, রমণীয়, নিৰ্ম্মল প্রকৃতি, লোকাপবাদের ঘোর ঝঞ্জাবীতে বিপৰ্য্যস্ত বিচ্ছিন্ন হইয়া যাইবে। প্রণয়ের অনাবিল উজ্জ্বল চিত্র আঁকিয়া সীতাদেবীর চরিত্রেব প্রতি স্ত্রীরামচন্দ্রের প্রগাঢ় বিশ্বাস দেখাইয়া, যিনি হৃদয়ের অধীশ্বরী, মস্তকে রাখিবার উপযোগী কুসুমপ্রাণ, ( কুস্কমের উপমা ৩৬৫ম পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য) তাহারই নিৰ্ব্বাসন ! কি ঘটনায় কি প্রকারে লে. নিৰ্ব্বাসন সংঘটিত হইল, কবি তার পর তাহ অঙ্কিত করিলেন। কোথায় কোন কোণে একটু অগ্নি-স্ফুলিঙ্গ ছিল ; বিষম বাতায় সে ফুলিঙ্গ উড়িয়া আসিয়া মুখের সংসার-পৰিত্ৰ ઇર્ષા8૧