পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৩৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

©ጓ © ভারতবর্ষ। প্রণয়ের বিমল সোঁধ-ভস্মীভূত করিয়া দিল। প্রজাগণের অভাব অভিযোগের বিষয় অবগত হইবার জন্য মুখ (গুপ্তচর ) নিযুক্ত ছিল। অপ্রীতিকর হইলেও যথাযথ চিত্র বর্ণন করিবে,—মিথ্যা মিষ্ট বাক্যে তুষ্ট কবিবার চেষ্টা পাইবে না,—চুমুখের ইহাই কাৰ্য্য। প্রজাবর্গের মনোভাব অবগত হইয়া এক দিন কুমুখ শ্রীরামচন্দ্রেব নিকট উপস্থিত হইল। গ্রীরামচন্দ্র দুমুখের নিকট রাজ্যের সমাচার অবগত হইতে চাছিলেন। মুখ সে দিন যেন একটু সঙ্কোচের ভাবে উত্তর দিল,—“উপচ্ছ অস্তি দেঅং পৌবজানবদ, বিস্মরিদা অন্ধে মহারাজ দসবহস্স, রামদেএনক্তি।” কিন্তু এ উত্তব শ্ৰীবামচন্দ্রেব মনোমত হইল না । পৌরজনপদ র্তাহার প্রশংসাবাদ কীৰ্ত্তন কবিতেছে, তাহাকে পাইয়া বাজা দশবথকে বিস্তৃত হইয়াছে,এ উত্তৰ শ্ৰীবামচন্দ্ৰেৰ নিকট যেন স্তোক বাক্য বলিয়া প্রতীয়মান হইল। তিনি উত্তর দিলেন,-“অর্থবাদ এষঃ । দোষন্তু মে কঞ্চিং কথয়, যেন স প্রতিবিধীয়তে।” তিনি যে পিতা দশৰথেব অধিক গুণসম্পন্ন হইয়াছেন,—এ বিশ্বাস তাহার আদেী ছিল না । সুতবাং তিনি কছিলেন,—“স্তোকবাক্য পবিত্যাগ কর । আমাৰ ক্ৰটি-বিচু্যতিব বিষয় যদি কিছু জানিয়া থাক, তাছা বলিয়া যাও। তাহা হইলে আমি তাহাব প্রতিবিধানের চেষ্টা পাইতে পারি।” দুখুৰ্থ ইষ্ঠার পব যে উত্তব দিল, সে উত্তবে বিনামেঘে বজ্রাঘাত হইল। সীতাদেবীর চরিত্রে প্রজামণ্ডলী সন্দিহান, এ মৰ্ম্মচ্ছেদী শেলবাক্য শ্ৰীবামচন্দ্রকে মুহমান কবিয়া দিল । কুলগুরু বশিষ্ঠ-দেবেব আশীৰ্ব্বাদেব উত্তবে কি কুক্ষণেই শ্ৰীবামচন্দ্রের মুখ হইতে বহির্গত হইয়াছিল,—“প্রজাগণের তুষ্টিব জন্ত জানকীকে পর্যান্ত যদি পবিত্যাগ করিতে হয়, তাহাতেও আমি কুষ্ঠিত হইব না , আজ দুমুখেব মুখে প্রজাব মনোভাব অবগত হইয়া, তাহাই কার্য্যে পরিণত হইল। শ্ৰীবামচন্দ্র প্রজাগণেব মনস্তুষ্টিব জন্ত সীতাদেবীব প্রতি নিৰ্ব্বাসনদণ্ডাজ্ঞ প্রদান কবিলেন । এই দণ্ডাজ্ঞা-প্রদানের সময় তাহাব চিত্ত যেরূপ উম্বেলিত হইয়া উঠিয়াছিল, সাধাবণ মনুষ্য হইলে সে উদ্বেগে কখনই অচঞ্চল থাকিতে পারিতেন না। হৃদয়ের মধ্যে তখন কি বিষম দ্বন্দ্বই উপস্থিত হইয়াছিল । দেবীব প্রতি র্তাহার প্রগাঢ় প্রণয়ের চিত্রও সেখানে পৰিস্ফুট, আবাব প্রজাপালনরূপ কৰ্ত্তব্য-পরায়ণতাও সেখানে উজ্জলীকৃত। শ্রীরামচন্দ্র তখন কি বলিয়া বিলাপ কবিতেছেন এবং সীতাদেবীর স্মৃতি কি ভাবে, তাহার মনে উদয় হইতেছে, নিম্নোদ্ধৃত কয়েক পংক্তিতে তাঙ্গ বোধগম্য হইবে,—“হ দেবি দেবযজনসম্ভবে ! হা স্বজন্মানুগ্রহপবিত্রীকৃত বসুন্ধবে । হা জনকবংশনন্দিনি ! হা পাবকবশিষ্টারুন্ধতী প্রশস্তশীলশালিনি। হা বামৈকজীবিতে ! হা মহারণ্যবাস প্রিয়সখি ! হা ভাতপ্রিয়ে ! হা স্তোকপ্রিয়বাদিনি! কথ মেবংবিধায়াস্তবায়মীদৃশঃ পবিণামঃ । ত্বয়া জগন্তি পুণ্যানি ত্বয্যপুণ্য। জনোক্তয়: । মাথবন্তস্তয়া লোকস্থমনাথ বিপৎস্তাম।” এই বিলাপোক্তিতে সীতাদেবীর প্রতি যে সকল বিশল প্রাক্ত হইয়াছে"তাগর তুলনা নাই । তাহাব দ্বারা বসুন্ধর পবিত্রীকৃত, তিনি পারকাবশিষ্ট অরুন্ধতীর স্তায় শীলতাসম্পন্ন , শ্রীরামচন্দ্রকে ভিন্ন তিনি আর কাছাকেও জানেন ন—তিনি ‘রামৈকজীবিতে , তাহার এই পরিণাম সংঘটিত হইল ! যাহার দ্বারা স্বৰ্গ-মৰ্ত্তা পাতাল ত্ৰিভূবন পবিত্রীকৃত, তাহারই প্রতি কুৎসাৰাদ ! পৃথিবীর যিনি সহায়-স্বরূপিণী, BBD BBBBBB BBBB BBBBBS BBBBB BB BBB B BB BBBS BDDD