পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৩৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭-૭ ভারতবর্ষ। সেই "প্রতিজ্ঞাব পূৰণ-শিখা বন্ধন হয়। সাম, দান, ভেদ প্রভৃতি নীতির অনুসরণে যেরূপে নূতন রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়, এই গ্রন্থে তাঙ্গরই চিত্র প্রদর্শিত হইয়াছে। চন্দ্রগুপ্তের রাজ্য-প্রতিষ্ঠার চাণক্যের নীতি কোন পথে কি ভাবে কার্যকরী হইয়াছিল, এই নাটকে তাহাৰ উজ্জল জালেখ্য দেখিতে পাই । তৃতীয় অঙ্কে চাণক্যের ও চন্দ্রগুপ্তের কথোপকথমে, যেখানে যে উদ্দেশ্বে চাণক্য যে কাৰ্য্য করিয়াছেন, তাহ বিবৃত আছে। কূটনীতিজ্ঞ রাজমন্ত্রীব কাৰ্য্যপরম্পর সেখানে অতি সুন্দবরূপে বুঝান হইয়াছে। এক হিসাবে এ নাটক নায়িক-শূন্ত বলিলেও অত্যুক্তি হয় না । নায়ক-নায়িকার প্রণয়, বিচ্ছেদ ও মিলন, —এই সাধারণ নিয়মানুসারে বিচার করিতে গেলে, মুদ্রাবাক্ষস এক নূতন সামগ্ৰী হইয় পড়ে । এ নাটকে মিলন অপরূপ ; চাণক্যের কৌশলে বাক্ষস পরাজয় স্বীকণব কবিলেন, সন্ধি হইল, মিলন হইয়া গেল । মিলনেব পর উভয় পক্ষের হয়, হস্তী, বন্দী প্রভৃতিকে বন্ধন মুক্ত করা হয় । চাণক্য বলেন, --অমাত্য রাক্ষসের সহিত এই মিলনের ফলে গজ, তুরঙ্গ, সৈন্য প্রভৃতি সকলেরই বন্ধন মুক্ত হউক ; কেবল আমাৰ শিপ, এতদিন যাহা স্থলিত ছিল, আজ হইতে বাধা হউক । রাক্ষসের সহিত মিলনেই প্রকারাস্তরে এ নাটকের নাটকোচিত বিচ্ছেদের পব মিলনেব নিয়ম রক্ষিত হইয়াছে। “বেণীসংহাব' নাটক-ভট্টনাবায়ণ প্রণীত । ভট্টনাবায়ণ নামে বহু প্রসিদ্ধ পণ্ডিতের বিদ্যমানত প্রতিপন্ন হয়। তাহাদেব মধ্যে বঙ্গের সাণ্ডিল্য-গোত্রীয় ব্রাহ্মণ-বংশের আদিভূত www ভট্টনাৰায়ণই সৰ্ব্বাপেক্ষ প্রসিদ্ধি সম্পন্ন। গোঁড়াধিপতি আদিশূর যজ্ঞ কার্যোর জষ্ঠ্য কনৌজ হইতে পাঁচ জন সাগ্নিক ব্রাহ্মণকে বঙ্গদেশে আনয়ন করেন । """ এই ভট্টনাবায়ণ তাহাদেবই অন্যতম। ভট্টনারায়ণ, সাণ্ডিল্য গোত্রীয় ববেঞ্জ-ব্ৰাহ্মণগণের ও রাঢ়ীয়-ব্রাহ্মণগণেব—উভয়েবই আদি-পুরুষ । এই ভট্টনারায়ণ হইতে ববেক্স ও রাঢ়ীয় ব্রাহ্মণগণের বঙ্গদেশে বিস্তৃতি । ইহার পিতার নাম-ক্ষিতীশ । দ্বিতীয় ভট্টনাবায়ণ-উত্তররামচরিতেব আপেক্ষিতব্যাখ্যানম’ নামক টীকা রচনা করেন। র্তাচার পিতার নাম—রঘুনাথ দীক্ষিত। তৃতীয় ভট্টনারায়ণ প্রয়োগরত্ন’ গ্রন্থ প্রণেতা। ইহার পিতার নাম—ভট্ট রামেশ্বর স্বরি । ইনি বারাণসী-ধামে অবস্থান-কালে ঐ গ্রন্থ প্রণয়ন করিয়াছিলেন বলিয়া প্রকাশ আছে। চতুর্থ ভট্টনারায়ণ–‘স্তবচিন্তামণিবিবৃতি’ নামক গ্রন্থ প্রণয়নে যশস্বী হন । ইনি কাশ্মীর-দেশের অধিবাসী ছিলেন । রাজার নিকট ইনি ‘মহামহেশ্বর’ উপাধি প্রাপ্ত হন । ভট্টনাবায়ণ নামে অভিহিত এই সকল পাণ্ডিতের মধ্যে প্রথমোক্ত ভট্টনারায়ণ ( অর্থাৎ বঙ্গের সাণ্ডিল্য গোত্রীয় ব্রাহ্মণগণের আদিভূত ভট্টনারায়ণ ) বেণীসংহার নাটকের প্রণেতা বলিয়া প্রসিদ্ধি-সম্পন্ন । এই ভট্টনারায়ণেব বিদ্যমানকাল সম্বন্ধেও নানা মতান্তর আছে। এক হিসাবে ৪২৯ সালে ( ১০২২ খৃষ্টাব্দে ) তাহার বিদ্যমানতার বিষয় অবগত হওয়া যায় । অপর হিসাবে, কেহ কেহ তাহাকে দশম শতাব্দীর কবি বলিয়া নির্দেশ করেন। আবাব একখানি তাম্রফলকের আবিষ্কারে অধুনা প্রতিপন্ন হইতেছে, তিনি ৮৪• খৃষ্টাব্দে বিদ্যমান ছিলেন । কারণ, ঐ সময়ে তাহাকে যে দানপত্র প্রদত্ত হয়, পূৰ্ব্বোক্ত তাম্রফলক তাহারই নিদর্শন। বেণীসংহার নাটকের বর্ণনীয় বিষয়—কুরু-পাণ্ডরের DDSDBBBB BBDS DDBB BBBBB BBBB BBBB BBBBBBB BB BBDD