পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৩৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Jఫి బి. ভারতবর্ষ। ম! পতিত হয়, ততক্ষণ শাস্ত্র সমুদ্ভুত বিবেকের প্রভাব জ্ঞানীর চিত্তে বিদ্যমান থাকে। কিন্তু যেই রমণীর বাসস্থান, স্থনয়ন নবীন নায়িক, প্রস্ফুটিত নবমল্লিক, ভ্রমরগুঞ্জিত লতা প্রভৃতি অমোঘ অস্ত্র-সমূহ নিক্ষেপ করি, বিবেকের প্রভাব তখন লোপ পায়,—ঞ্জরাধ উদয়েও বিঘ্ন ঘটে । এরূপ কথোপকথনে বিবেকের পক্ষে বা কিরূপ বল আছে এবং আত্মপক্ষেই বা কিরূপ বল আছে, তাহার আলোচনা হয়। পরিশেষে কি প্রকারে আত্মপক্ষের বিনাশ সাধন হইতে পারে, সে প্রসঙ্গ ও উত্থাপিত হইয়াছে। তাহাতে কামদেবের মুখে প্রকাশ পায়—আর কোনরূপে তাহারা আমাদের ধ্বংস করিতে পরিবে না। তবে কিংবদন্তী আছে, আমাদের এই বংশে বিদ্যা নামক এক রাক্ষসী জন্মগ্রহণ করিবে ; তাহার দ্বাৰাই আমাদের সর্বনাশসাধন হইবে। যে বংশে আমর। জন্মগ্রহণ করিয়াছি, সেই বংশেই বিষ্ঠার জন্ম হইজ । সে পিতামাতা ভ্রাতাদিগকে গ্রাস করিবে ।’ এই সময় রতির বড়ই শঙ্কা হইল। কাম তাহাকে আলিঙ্গন করিয়া সাম্বন দান করিলেন ; অভয় দিলেন যে, কামদেব বিদ্যমান থাকিতে বিস্তাব উৎপত্তি কোনক্রমেই সম্ভবপর নহে । এই সময় বিদ্যাব উৎপত্তি-বিববণ জানিবার জষ্ঠ এবং প্রতিপক্ষ কেন কুলধ্বংস-কাৰিণী বিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা করে—তাঙ্গ অবগত হইবার জন্ত, রতি প্রশ্ন উত্থাপন করেন । তাঁহাতে কামদেব উত্তর দেন,—“উপনিষৎ নামী পত্নীতে বিবেকের প্রবোধচন্দ্র নামক পুত্র ও বিদ্যা নাম্নী কস্তাব উৎপত্তি হইবে। যাহার কুরমন, মলিনচিত্ত, মলিন-হৃদয়, জনক জননীব এবং নিজের বিনাশের জন্য তাঙ্কাদের উৎপত্তি ধূমের উৎপত্তি অনল হইতে । সেই ধুম মেঘরূপে পরিণত হইয়া বারি বর্ষণ কবে । তাহাতে তাকার জন্মদাতা অগ্নিরও ধ্বংস হয় এবং আপনিও বিনষ্ট ফু। জুর জনের স্বভাবই এইরূপ। এই সময় নেপথ্যে উত্তর প্রদত্ত হয়,-বিবেক যেন সে উত্তর প্রদান করেন,-—“আমাদেব কুংসা ঘোষণা করিতেছিস্ বটে ; কিন্তু গুরু যদি বিপথগামী হন, তিনিও পরিত্যজ্য ।” এই বলিয়া তিনি দেখাইলেন,—এ দৃষ্টান্ত সৰ্ব্বত্রই আছে । তাহাদের পিতা মন অহঙ্কারের অনুসরণ করিয়া জগৎপতি পিতাকে বন্দী করেন ; আবার মন নিজেও মহামোহের নিকট বন্দী আছেন । এই কথা বলিতে বলিতে পত্নী মতি-দেবীর' সহিত বিবেক যেন সেইখানে উপস্থিত হন। কাম তাছাদিগকে দেখিয়া বলেন,—ঐ দেখ মতি-দেবীর সহিত বিবেক আসিতেছেন। রাগের বশীভূত হওয়ার ইহাদের কিরূপ কাস্তিভ্রষ্ট হইয়াছে, দেখ ! শশাঙ্কদেব যেন শিশিরে আচ্ছন্ন হইয়া পড়িয়াছেন । ইহার পর মতি ও বিবেক রঙ্গস্থলে উপস্থিত হন। র্তাহাদের কথাবার্তায় কি প্রকারে বিপক্ষ-পক্ষকে পরাজয় করা যায়, তাহারই আভাস প্রকাশ পায়। আত্ম-পুরুত্ব বন্ধনগ্রস্ত হইয়াছেন, তাহার বন্ধন মোচন করিতে হইবে িশক্রগণ র্তাহাকে ভিন্ন ভিন্ন ভাগে বিভক্ত করিয়া ভিন্ন ভিন্ন গৃহে আবদ্ধ করিয়া রাখিয়াছে। বিস্কাযোগে সেই ভেদবাদীদিগের সংহার সাধন করিয়া ত্রহ্মের একত্ব-স্থাপন করার প্রয়োজন । সেই জন্তু বিবেক মতি-দেবীর সহায়তা-প্রার্থী হইলেন। মতি-দেবী যদি প্রসঙ্গ থাকুেন, তাহা হইলে শম দমাদির সাহায্যে কার্য্যোদ্ধার হইতে পারে। এবম্বিধ পরামর্শ প্রথম অঙ্কের অন্তভুক্ত । দ্বিতীয় অঙ্কে মঙ্গমোহের প্রাধান্ত-ধ্যাপন বিয়য়ে পরামর্শ। বিষ্কম্ভকে দম্ভ ও অহঙ্কারেস্থক্যে কি ভাবে