পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ। جمعیتی چیفهم مماس مست. বৈবস্বত মন্বন্তরের রাজন্তবর্গ। SDDDDD DDDBB BBBBBB BBSBBBBB BBB SBBBBB BDSDDB BBBBBB BBBtS গমুবংশীয় নৃপতিগণ –পৃথিবীতে ভারতীয় রাজবংশের শাখা-প্রশাখা –শাস্ত্রমতে বিভিন্ন যুগের নৃপতিবর্গ ও উহাদের শাসনাদির বিষয় –ভারতের ভাগ্য-বিপর্যায়,-কুরুক্ষেত্র-যুদ্ধের প্রসঙ্গে।] বৈবস্বত মম্বন্তরের প্রারস্তে, সত্যযুগ-প্রবর্তনার কালে, বৈবস্বত মকুর বিদ্যমানতার বিষয় অবগত হওয়া যায়। সে সত্যযুগ-প্রবর্তনা—পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি—৩৮ লক্ষ ৯৩ হাজার ১৪ বৎসর পূৰ্ব্বের ঘটনা। মন্থর উক্তিতে বেদের বিদ্যমানত তাহারও পূৰ্ব্বে প্রতিপন্ন হইতেছে। সুতরাং বেদোক্তি যাহা কিছু অবগত হই, তৎসমুদায় বফল প্রয়াস । , তৎসমুদায় রাজ-চক্রবর্তী ময়ূর পূর্ববৰ্ত্তী কালের বিষয়ীভূত। শাস্ত্র-বাক্য মান্ত করিতে হইলে, এ বিষয়ে মনে কোনই দ্বিধা উপস্থিত হইতে পারে না। বেদোক্ত দুর অতীতের ইতিহাস অনুসন্ধানের প্রয়াস না পাইয়া, বৈবস্বত মন্বস্তুরের রাজর্ষি মনুকে আদিনৃপতি বলিয়া স্বীকার করিয়া লইয়া, তদীয় বংশলতার অনুসরণে যদি প্রাচীন-ভারতের নৃপতিগণের রাজত্ব-কাহিনী লিপিবদ্ধ করিতে যাই, তাহা হইলেও প্রায় ৩৯ লক্ষ বৎসরের ইতিহাস বলিতে হয় । কিন্তু তাহা কি সম্ভবপর ? সম্ভবপর নহে বলিয়াই নানা বিতর্ক উঠে । পুরাণাদি শাস্ত্র-গ্রন্থ আলোড়ন করিয়। যে বংশলত প্রাপ্ত হওয়া যায়, জীবনকাল-গণনার আধুনিক পদ্ধতির অনুসরণ করিলে, তদনুসারে মকুর রাজত্ব-কাল সে দিনের ঘটনা বলিয়া প্রতিপন্ন হয়। এখনকার দিনে গড়পরত। পচিশ বৎসর এক এক জনের জীবন-কাল ধরা হয়। বংশগতায় যে সকল বংশধর-গণের নাম দেখিতে পাই, গড়ে র্তাহাদিগের প্রত্যেকের জীবন-কাল পচিশ বৎসর করিয়া নির্দেশ করিলে, রাজচক্রবর্তী মনুকে সে দিনের মানুষ বলিয়া ঘোষণা করিতে আপত্তি করা যায় না। কিন্তু উক্ত গণনাপদ্ধতি কতদূর যুক্তিযুক্ত, তাহ কি বিচার করিয়া দেখা কৰ্ত্তব্য নহে? আমরা পূর্বেই বলিয়াছি, দুই কারণে গণনায় অনৈক্য ঘটিতেছে। প্রথম কারণ,—প্রচলিত-বংশলতায় সকল বংশধরের নাম স্থান পায় নাই। বংশের মধ্যে র্যাহার। আপনাদের যশঃ-জ্যোতিতে দিক আলোকিত করিয়াছিলেন, পুরাণাদির দৃষ্টি তাহদেরই প্রতি প্রধাবিত হইয়াছিল। যাহার। ধর্মপরায়ণ ছিলেন, র্যাহীদের দ্বার সমাজের ও সংসারের প্রভূত হিতসাধন হইত, শাস্ত্র তাহাদেরই আদর্শ চরিত্র কীৰ্ত্তন করিয়া গিয়াছেন। র্যাহারা সাধারণ মঙ্গুস্থ্যের মধ্যে পরিগণিত থাকিতেন, বংশের তাদৃশ জনের পরিচয়-প্রকাশ শাস্ত্রকারগণ আবখক বোধ করেন নাই। চরিত্র-কথা যখন মুখে মুখে প্রচারিত হইয়া আসিতেছিল, আদর্শচরিত্র যখন শ্রুতি-স্থতির অন্তর্ভুক্ত ছিল, তখন বংশের প্রখ্যাত ব্যক্তিগণের নামই স্থতি