পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৫৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য । Vసె খৃষ্টাৰ পৰ্য্যন্ত প্রতি বৎসরে মূনকল্পে ১৫•• গাইট কাপাস-বস্ত্র ভারতবর্ষ হইতে ডেনমার্করাজ্যে রপ্তানি হইতেছিল। ১৮২০ খৃষ্টাব্দে ঐ রপ্তানির পরিমাণ ১৫০ গাইটে দাড়াইয়াছিল। ১৭৯৯ খৃষ্টাব্দে ভারতবর্ষ পর্তুগাল-রাজ্যে ১৭১৪ গাইট কার্পাস-বস্ত্র রপ্তানি করিতে সমর্থ হইয়াছিল। কিন্তু ১৮২৫ খৃষ্টাব্দে ঐ রপ্তানির পরিমাণ এক হাজার গইটে পর্য্যবসিত হয় । কমিয়া কমিয়া ১৮২০ খৃষ্টাক পৰ্য্যন্ত রপ্তানির পরিমাণ চারি হাজার হইতে সাত হাজার গাইট পৰ্য্যস্ত অব্যাহত ছিল। কিন্তু ক্রমশঃ সকলই লোপ পাইয় আসে। এক ইংলণ্ডের সহিত বাণিজ্য-সম্বন্ধের বিষয় আলোচনা করিলে, এ বিষয় বিশেষরূপ হৃদয়ঙ্গম হইতে পারে। ১৮১৩ খৃষ্টাব্দে একমাত্র কলিকাতা-বন্দর হইতে বিশ লক্ষ পাউণ্ড (ক্টার্লিং) মূল্যের ( এখনকার হিসাবে প্রায় তিন কোটী টাকার ) কাপাস-বস্ত্রাদি ইংলণ্ডে রপ্তানি হইয়াছিল । সাতাইস বৎসরের মধ্যে বিপরীত ব্যাপার সংঘটিত হয়। ১৮৩০ খৃষ্টাব্দে কলিকাতার রপ্তানি বন্ধ হইয়া যায়, এবং বিশ লক্ষ পাউও (ক্টার্লিং ) মূল্যের (প্রায় তিন কোটী টাকার } কাপাস-বস্ত্রাদি ইংলণ্ড হইতে ভারতে আমদানি হয়। দুই কারণে ভারতের বাণিজ্যে অন্তরায় ঘটিয়াছিল। ইংলণ্ডের বিপণী-সমূহে ভারতীয় পণ্য যাহাতে অাদর না পায়, ইংলণ্ড তৎপক্ষে স্বতঃপরতঃ চেষ্টা করিযাছিল ; অধিকন্তু ভারতীয় পণ্যের উপর অত্যধিক পরিমাণে বাণিজ্য-শুস্ক নিৰ্দ্ধারণ করিয়া দিযাছিল। ১৮২৪ খৃষ্টাব্দে ভারতীয় পণ্য-দ্রব্যের উপর ইংলগু কি পরিমাণ বাণিজ্য-শুস্ক নিৰ্দ্ধারণ করে, তদ্বিষয় অনুসন্ধান করিলেই এ তত্ত্ব হৃদয়ঙ্গম হইতে পারে। তখন মসলিন্‌-বস্ত্রের উপর শতকরা ৩৭॥• টাকা, কেলিকে} অর্থাৎ সাদা ও রঙিন কাপাস-বন্ধের উপর শতকরা ৬৭ টাকা এবং অন্যান্য তন্ত্রশিল্পের উপর শতকরা ৫-৭ টাকা শুষ্ক নিৰ্দ্ধারিত হয়। ভারতের ইতিহাস লেখক মিষ্টার মিল এ সম্বন্ধে লিখিয়া গিয়াছেন,—“১৮১৩ খৃষ্টাব্দে ভারত-জাত কপাস-বস্ত্র ও রেশমী-বস্ত্র ইংলণ্ডের বিপণীতে ইংলওজাত দ্রব্যাদি অপেক্ষা শতকরা ৫৬ টাকা হইতে ১০২ টাক। কম মূল্যে বিক্রীত হইত। ভারতের এই বাণিজ্যস্রোত রুদ্ধ করিবার জন্য ভারতীয় পণ্যের উপর ইংলণ্ড শতকরা ৭০ টাকা হইতে ১-২ টাকা পৰ্য্যন্ত বাণিজ্য-শুদ্ধ নিৰ্দ্ধারণ করেন । এইরূপ অত্যধিক বাণিজ্য-শুল্কের প্রবর্তনায় ভারতীয় বাণিজ্যের পথ রুদ্ধ ন হইলে, পইশলের ও মাঞ্চেষ্টারের কারখানা-সমূহ প্রারস্তেই বন্ধ হইয়া যাইত এবং কলের দ্বারা পরিচালিত হইলেও কখনই তাহা স্থায়িত্ব-লাত কুরিতে পারিত না। ভারতের বাণিজ্যের ধ্বংস করিয়াই তাহাদিগকে প্রতিষ্ঠাম্বিত করা হইয়াছে।’ * জৰ্ম্মণদেশীয় প্রসিদ্ধ অর্থশাস্ত্রবিৎ রাজনীতিজ্ঞ ফ্রেডরিক লিষ্ট এতৎসম্বন্ধে যাহা লিখিয়া গিয়াছেন, তাহাও এ

  • “It was stated in evidence (in 1813) that the cotton and silk goods of India up to the period could be sold for a profit in British market at a price from 56 to 60 percent lower than those fabricated in England, it consequently became necessary to protect the latter by duties of 70 and 90 percent on their value or by positive prohibition, Had this not been the case, had not such prohibitory duties and decrees existed, the mills of Paisley and Manchester would have been stopped in the outset, and could'veercely have been again set in motion, even by the power of steam. They were created by the sacrifice of Indian manufacture"—Mill's History of India.