পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৬০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a \e ভারতবর্ষ । সন্নিকটে সমূত্ৰ-মধ্যে আলোক-গৃহ ( i ight-house ) ছিল। সেই আলোক-দৃষ্টে গভীর রাত্রে, দূর সমুদ্র হইতে অর্ণবপো'ত সকল এখানে গতিবিধি করিতে পারিত । পেরুমপদ-আহ্মপ-পদাই নামক অন্য এক তামিল কাব্যে, করোমণ্ডল উপকূলের সন্নিকটে আলোকগৃহের বিদ্যমানতার বর্ণনা আছে। কবি বলিতেছেন,--ইষ্টক-নিৰ্ম্মিত সুদৃঢ় অতু্যচ্চ আলোকগৃহ সকল নিশাকালে উজ্জ্বল আলোকে সমুদ্র-মধ্যস্থিত অর্ণবপোত-সমূহকে বন্দরের পথ প্রদর্শন করিত। ফলতঃ, সত্য-সমুন্নত দেশে পোতাধিষ্ঠান প্রভৃতির জন্য যে সকল ব্যবস্থাবন্দোবস্তের প্রয়োজন, তাহার কোন ও ব্যবস্থারই ক্রটি ছিল ন! । ‘কবিfর-পডিডনাম’ নগরে BBBSBBBBB BB BBBBB BBB BBBSBBSBBB BBBB BBBB BB BBB BBB BBBBB BBBBBBBS BBBBB BBBB BBBBB BBBSBBB S BB BBB BBB কৰ্ম্মকীরগণ, ও যবন-দেশ ( গ্রীস ) হইতে সূত্রধরগণ আসিয়াছিলেন । তামিল-দেশের সুনিপুণ কারিকল্পগণের সাহায্যে অট্টালিক। নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। প্লিনি, টলেমি এবং পেরিপ্লাস প্রভৃতির প্রদত্ত বিবরণের পর, ভারতের বাণিজ্য-বদরসম্বন্ধে বৈদেশিকগণের মধ্যে ‘কসমস ইণ্ডিকোপ্লেয়ষ্টেস’ যাহা লিখিয়া গিয়াছেন, তাহ। বিদেশীর বর্ণনায় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । কস্মাস-রোম-দেশীয় একজন প্রসিদ্ধ ভারতেব বণিক । রোম-সম্রাট দ্বি তীয় জীষ্টিনিয়ানের রাজত্ব-কালে তিনি বাণিজ্যবাণিজ্য শ" বাপদেশে আফ্রিক-মহাদেশে ইথিওপিয়া প্রদেশের আঙুল-বন্দরে গমন করিয়াছিলেন । ঐ বন্দর আকৃম্মুমের রাজার আধু ত ও তৎকালে বিশেষ সমৃদ্ধিসম্পন্ন ছিল । ৫৬০ খৃষ্টাব্দে কসমস পূৰ্ব্বোক্ত বন্দরে তাগমন করিয়াছিলেন বলিয়া প্রসিদ্ধি। কসমাসের গ্রন্থের নাম—“ক্রিশ্চিয়ান টপোগ্রাফি । * ঐ গ্রন্থে ঐ সময়ের খৃষ্টধৰ্ম্মাবলম্বিগণের বসতি-স্থানের উল্লেখ আছে । কসমাসের গ্রন্থে প্রধানতঃ নিম্নলিখিত বাণিজ্য-বন্দরসমূহের নাম দৃষ্ট হয় ;–(১) ‘মাল’ বা মালবার,—কসয়াস এই বন্দরকে মরিচ-ব্যবসায়ের কেন্দ্রস্থান বলিয়। উল্লেখ কবিয়া গিয়াছেন ; (২) "সিন্ধুজ’,—সিন্ধু-দেশ তাহার গ্রন্থে ঐ নামে অভিহিত হইয়াছে ; (৩) ওরলোটা,– সুরাট বন্দরকে তিনি এই নামে অভিহিত করিয়া গিয়াছেন বলিয়৷ সপ্রমাণ হয় ; (৪) কল্লিয়েন,---কাহারও মতে বোম্বাই বন্দরের নিকটস্থ গল্লিয়ান’ ঐ নামে পরিচিত ছিল ; কেহ বলেন,—কল্যাণ-বন্দর কসমাসের বর্ণনায় ঐ নাম পরিগ্রহ করিয়াছিল ; (৫) "সিবর, (৬) পাটি, (৭) মাঙ্গারুথ, (৮) ‘সালোপাটনা’, (৯) নেলো-পাটনা ও (১০) পুদাপাটনা । ৫২৬ খৃষ্টাব্দে কসমাস সিন্ধু বা দেবল রাজ্য হইতে এবং ওরহেট (সুরাট বা বীরবল) হইতে লঙ্কাদ্বীপে বাণিজ্য-পোত চলিতে দেখিয়াছিলেন। সিলোন বা লঙ্কাদ্বীপকে তিনি সেরেণ-দ্বীপ বলিয়া অভিহিত করিয়া গিয়াছেন। তাহার বর্ণনায় প্রকাশ,—এক সময়ে ঐ সেরেণ-দ্বীপ প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য বাণিজ্যের কেন্দ্রস্থল মধ্যে পরিগণিত ছিল। তখন লঙ্কাদ্বীপ হইতে এক দিকে চীনদেশে অঙ্গ দিকে লোহিত-সমুদ্র ও পারস্য-উপসাগরে পণ্য-বাহী অর্ণবপোত-সমূহ গতিবিধি করিত। কেহ কেহ বলেন, চীনের সহিত যে ভারতের বাণিজ্য-সম্বন্ধ ছিল, কসমাসের পূৰ্ব্বে পাশ্চাত্য-দেশের আর Cosmas indicapilustes, Christian Topography.