পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৬১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য । 》公° বোঝাই থাকিত। কালিকটের অধিবাসিগণ পোত-পরিচালনে দুঃসাহসিকতার পরিচয় দিত। সুতরাং এই বন্দরের বাণিজ্য-পোত-সমূহ-আক্রমণে জলদসু্যগণ কখনই সাহস করিত না । এই বন্দরে সর্ববিধ পণ্য-দ্রব্যেরই আমদানী-রপ্তানী ছিল । এই বন্দরে সুবিচার ছিল ; বণিকগণের পণ্যাদির সুরক্ষার ব্যবস্থা ছিল ; সুতরাং বণিকগণ নানাদেশ হইতে বহুবিধ পণ্য-দ্রব্য লইয়া এই বন্দরে আগমন করিত। তাহার। নিঃসঙ্কোচে আপন আপন পণ্য তীরে নামাইয়া বন্দরের বাজারে বিক্রয় করিতে পাঠাইত । সেই সময়ে সেই সকল পণ্যের উপর তাহাদের কোনরূপ দৃষ্টি রাখিবার আবশ্যক ছিল না ; অপিচ, সেই সকল পণ্যের হিসাব-পরীক্ষার জন্যও তাহাদিগকে উদ্বিগ্ন থাকিতে হইত না । গুস্কালয়-সংক্রান্ত রাজকৰ্ম্মচারীরাই বণিকগণের পণ্য-দ্রব্যাদি রক্ষার ভার গ্রহণ করিতেন এবং দিবারাত্রি তৎপ্রতি লক্ষ্য রাখিতেন। বিক্রীত-দ্রব্যের মূল্যের ੱਖ ভাগের এক ভাগ শুস্ব-স্বরূপ গৃহীত হইত। কোনও দ্রব্য বিক্রীত না হইলে, তজ্জন্য বণিককে কোনও শুল্ক দিতে হইত না । কচিৎ কোনও বাণিজ্য-পোত দৈব-বিপাকে পথভ্রষ্ট হইলে অন্যান্য স্থানের অধিবাসিগণ একটা ছলা করিয়া সে পোত লুণ্ঠন করিত ; কিন্তু কালিকট বন্দরে সে আশঙ্কা ছিল না । যদি কোনও পোত পথভ্রষ্ট হইয়া এই বন্দরে আসিয়া উপস্থিত হইত, বন্দরের কর্তৃপক্ষগণ তাহাকে আশ্রয় প্রদান করিতেন ; বাণিজ্যপোতকে কোনই উদ্বেগ সহ্য করিতে হইত না ।” পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে নিকো-লো-কষ্টি নামক জনৈক পরিব্রাজক ভারতবর্ষ-ভ্রমণে আগমন করেন। ভারতের বাণিজ্য ও নৌ-যানাদি সম্বন্ধে তিনি লিখিয়া গিয়াছেন,—“ভারতের অধিবাসিগণ আমাদের অপেক্ষা বৃহত্তর যানাদি নিৰ্ম্মাণ করিতে পারদর্শী। তাহার এত বড় বড় অর্ণবপোত প্রস্তুত করিতে পারিত যে, সেই অর্ণবপোতে এগার বার মণ (ওজনের) মদা পূর্ণ দুই সহস্রাধিক পিপ সংবাহিত হইতে পারিত। সেই অর্ণবপোত-সমূহের এক-একটর পাচটী করিয়া মাস্তুল ছিল এবং পাচখানি পাইলের সাহায্যে তাহা পরিচালিত হইত। তিন প্রস্তু তত্তণর দ্বারা তাহার সেই পোতের তলদেশ প্রস্তুত করিত । বিষম বণত্যায় তরণী বিপর্য্যস্ত হুইবার উপক্রম হইলে, নিৰ্ম্মাণ-কৌশলের দৃঢ়তায় উহ্য রক্ষা পাইত । অপিচ, কতকগুলি পোত এমনই স্থকৌশলে নিৰ্ম্মিত হইত যে, তাহার একাংশ ভগ্ন হইলেও অপরাংশ অব্যাহত থাকিত এবং তৎসাহায্যে যাত্রিগণ রক্ষণ পাইত ’ দক্ষিণ-দেশের বণিকগণ সম্বন্ধে তিনি যে বিকরণ লিখিয়া গিয়াছেন, তাহাতে ভারতের বাণিজ্য-প্রতিষ্ঠার প্রকৃষ্ট পরিচয় পাওয়া যায় । তিনি লিখিয়াছেন,—‘বণিকগণ বিশেষ ধনৈশ্বৰ্য্যসম্পন্ন। তাহাঙ্গের অনেকেরই আপন আপন অর্ণবপোত অাছে । শতকরা চল্লিশখানি পোত তাহাজের নিজস্ব । সেই এক-একখানি পোতের মূল্য—দেড় সহস্র স্বর্ণ-মুদ্রার কম নহে। পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষভাগে ইটালীর অন্তর্গত জেনোয়া নগরের অধিবাসী বণিক ষ্টেফানে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধার BBBB BBBB BBBB BBBBS BBB BDDSBBBBBBS B BBS SBBBBBS তিনি-ফোসির (বর্তমান কায়রো বন্দর এক সময়ে ঐ নামে পরিচিত ছিল) বঙ্গর হইক্ষে ৰত্ৰা করিয়া ভারতবর্ষে আসেন। যে অর্ণবপোতে তিনি আরোহণ করিয়াছিলেন, সেই