পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৬২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য । ১২৫ বহু ধৰ্ম্মপ্রচারকের গতিবিধির পরিচয় পাওয়া যায় । ৭২৩ খৃষ্টাব্দে ‘বজবোধি’ সমূদ-পথে চীনদেশের রাজধানীতে উপনীত হন । মলয়দেশ তাহার জন্মভূমি । তিনি বহু মূলমন্ত্র অনুবাদ করিয়াছিলেন। তিনি চীনে গুঢ়-রহস্যময় একটা বৌদ্ধ-সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সময়ে মঞ্জুশ্ৰী নামক আর একজন বৌদ্ধ-প্রচারক চীনদেশে গিয়াছিলেন। কিন্তু রাজকৰ্ম্মচারিগণের সহিত র্তাহার মনোমালিক্ষ্য সংঘটিত হওয়ায়, তিনি রোষভরে চীন-সাম্রাজ্য পরিত্যাগ করেন। একখানি বাণিজ্য-পোতে আরোহণ করিয়৷ চীনের দক্ষিণ-উপকুল হইতে তিনি ভারতাভিমুখে রওনা হইয়াছিলেন । এই সময়ে জাপানের সহিতও ভারতের সম্বন্ধ স্থাপিত হয়। বোধিধৰ্ম্ম ধৰ্ম্ম-প্রচারোদ্দেশ্যে চীন হইতে জাপানে গমন করেন। যুবরাজ শোতোকু’ তাহার সহিত আলাপ করিয়। প্রীত হইয়াছিলেন । ৫৭৩ খৃষ্টাব্দ হইতে ৬২১ খৃষ্টাব্দের মধ্যে যুবরাজ শোতোকুর বিদ্যমানতার বিষয় অবগত হওয়া যায় । ‘সুবকfকর" নামক মধ্যভারতের অধিবাসী বৌদ্ধপ্রচারক, ৭১৬ খৃষ্টাব্দ হইতে ৭৩৫ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত, চীন-দেশে বৌদ্ধধৰ্ম্ম-প্রচারকর্য্যে ব্রতী ছিলেন । তিনি মধ্যে একবার জাপানে গমন করেন। সেই সময়ে তত্ৰত্য একটী মন্দিরে একখানি ধৰ্ম্মগ্রন্থ রাখিয় আসেন । ইহার পর ৭৩৬ খৃষ্টাব্দে ধৰ্ম্মপ্রচারক ‘বোধিসেন’ জাপানে গমন করেন। তিনি মঞ্জুশ্রীল সহিত সাক্ষাৎ করিবার জন্য চীনে গিয়াছিলেন । সেখান হইতে অঙ্কুরুদ্ধ হইয়া তিনি জাপানে গমন করেন । তিনি জাপানে অনেক দিন অবস্থিতি করিয়াছিলেন । জাপানের ধৰ্ম্মপ্রচারকগণকে তিনি সংস্কৃত ভাষা শিক্ষ। দেন। রাজদরবার হইতে র্তাহার প্রতিপোষণের জন্য বিশেষরূপ ব্যবস্থা হইয়াছিল। জনসাধারণ র্তাহার প্রতি বিশেষ অনুরক্ত ও ভক্তিমান হয়। বলা বাহুল্য, এবশ্রকার সম্বন্ধ-সূত্রে জাপানের সহিত ভারতের বাণিজ্যের পথ অনেকটা প্রশস্ত হইয় আসে । এদিকে চীনে বৌদ্ধশ্রমণগণের উপনিবেশের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাইতে থাকে। মধ্যভারতের অধিবাসী পুণ্য-উপচয় ৬৫৫ খৃষ্টাব্দে সিংহল হইতে চীনদেশে গমন করেন। সেই সময়ে ‘পালান হইতে জ্ঞানভদ্র নামক জনৈক বৌদ্ধপ্রচারক চীনে দ্বিতীয়বার গমন করিয়াছিলেন। পালান’—দক্ষিণ মহাসমুদ্রের কোনও জনপদ বলিয়। উল্লিখিত হয়। কিন্তু ఫి কোন জনপদ, তদ্বিষয়ে মতান্তর আছে । ৭২৯ খৃষ্টাব্দে 'মি-টো’ নামে পরিচিত জনৈক বৌদ্ধ-শ্রমণ উত্তর-ভারত হইতে চীনে গমন করেন। তিনি বৌদ্ধধৰ্ম্মের ত্রিরত্বে সুপণ্ডিত ছিলেন। একদল বৌদ্ধ-ভিক্ষু-সহ চীনে উপনীত হইয়। তিনি চীনে আপন প্রাধান্য বিস্তার করেন । ধৰ্ম্মপ্রচারকগণের এইরূপ গতিবিধি দশম ও একাদশ শতাব্দী পৰ্য্যন্ত অব্যাহত ছিল । দশম শতাব্দীর শেষভাগে চীনদেশে বৌদ্ধপ্রচারকগণের গতিবিধি বিশেষভাবে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। ‘মুঙ-বংশের ইতিহাসে সমস্ত-নামক জনৈক বৌদ্ধশ্রমণের বিষয় লিখিত আছে। তিনি কতকগুলি সঙ্গিসহ চীন-রাজদবারে উপনীত হন। উাহীর সেই সঙ্গিগণের মধ্যে ষোলটা বিভিন্ন পরিবারের স্ত্রী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন । ৯৫৩ খৃষ্টাব্দে র্তাহারা চীনে উপনীত হন। এই বৌদ্ধ-সম্প্রদায় চীন-সম্রাটের উপঢৌকন-স্বরূপ কতকগুলি প্রসিদ্ধ-জাতীয় ঘোটক লইয়া যান। মা-তুয়ান-লিন প্রণীত এনসাইকে 喜t外忙a বৌদ্ধ-সম্প্রদায়গণ ।