পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৬৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৫২. ভারতবর্ষ। যাহার প্রেমে প্রাণ সমর্পণ কবিয়াছিলেন, তিনিই যে সেই রাজকুমাৰী ; আর গঙ্গায়াবর্তী র্তাহাকে যে চিত্র অঙ্কন করিতে দেখিয়াছিলেন, সে যে র্তাহারই নিজের চিত্র,-এ বিষয়ে উভয়েরই সংশয় তখন দূরীভূত হইল। তখন মহা সমারোহে পরস্পর পরিণয়-স্থত্রে আবদ্ধ হইলেন। নাটকের প্রথম চারি অঙ্কে জীমূতবাহনের সহিত মলয়াবতীর মিলনের ঘটনাবলী সন্নিবিষ্ট। কিন্তু পঞ্চম ও ষষ্ঠ অঙ্কে বৌদ্ধ-প্রভাব পূর্ণ-প্রকটত দেখি। মলয়াবতীর সহিত বিবাহের পর জীমূতবাহন একবার সমুদ্রতীরে পরিভ্রমণ করিতে যান। সেই সময় সমুদ্রতীরে পর্বত-প্রমাণ নাগাস্থি দৃষ্ট হয়। তদশনে কৌতুহলাক্রাস্ত হইয়৷ জীমূতবাহন কারণ অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হন। জানিতে পারেন,—পক্ষিরাজ গরুড়কে প্রত্যক একটি করিয়া নাগ প্রদান করিতে হয়। সেই নাগ ভক্ষণাস্তে গরুড় তাহার অস্থি-সমুহ সমুদ্র-তীরে নিক্ষেপ করেন। তাঙ্গতেই ঐ অণিম্ভ,প সঞ্চিত হইয়াছে। জীমূতবাহন যখন সেই অস্থি-পুঞ্জের পাশ্বে উপস্থিত হন, এক বৃদ্ধাকে রোদন করিতে দেখিতে পান। বৃদ্ধা কেন রোদন করিতেছে,—জানিবার জন্য জীমূতবাহনের কৌতুহল জন্মে। তিনি বৃদ্ধার নিকট উপস্থিত হইয়া জিজ্ঞাস করেন,—‘ম ! এরূপভাবে সমুদ্র-তীরে বসিয়া তুমি কঁাদিতেছ কেন ? বৃদ্ধ কঁদিতে কাদিতে তাহার দুঃখ-কাহিনী বর্ণন করিল। বৃদ্ধার একমাত্র পুত্র --অন্ধের নয়নমণি—শঙ্খচূড় ; তাঙ্গর সেই পুত্রকে আজ গরুড়ের নিকট বলি দিতে হইবে। জীমূতবাহন কারণ জানিতে চাহেন। বৃদ্ধ অশ্রুমার্জন করিতে করিতে বলে,—থগরাজ গরুড় পাতালে নাগগণের উপব বড়ই অত্যাচার করিত;—যখন তখন যাহাকে তাহাকে ধরিয়া গ্রাস BBB S BBB BB BBBBSBBBBBBBB BBBBB BBB BB BBB BBBBB করিয়াছেন,—এক এক দিন পর্য্যায়ক্রমে এক একটি নাগ তাহার ভক্ষণার্থ প্রদান করিতে হইবে । আজ আমার সৰ্ব্বনাশের দিন—আজ আমার পুত্রের পালা।’ এই বলিয়া বুদ্ধা আকুলি-ব্যাকুলি কাদিতে লাগিল। জীমূতবাহন বুদ্ধাকে অভয় দিলেন ; কহিলেন,— ‘ম ! আপনি নিশ্চিন্ত মনে প্রস্থান করুন ; আপনার পুত্রকে আমি আজ রক্ষা করিব।” রাজপুত্রের আশ্বাস-বাক্যে বৃদ্ধ কঁাদিতে কঁাদিতে প্রস্থান করিল। অতঃপর ইতস্ততঃ পরিভ্রমণ করিতে করিতে শঙ্খচূড়ের প্রতি কুমারের দৃষ্টি পড়িল । তিনি দেখিলেন,— রক্তাম্বর ও রক্তমাল্য ধারণ করিয়া শঙ্খচূড় একটি শিল-পাশ্বে শয়ন করিয়া আছে। জীমূতবাহন কৌশল অবলম্বন করিলেন ; শঙ্খচূড়কে কহিলেন,—“মামি বড়-কৃষ্ণাওঁ। তুমি আমায় একটু পানীয় জল আনিয়া দিয়া আমার প্রাণ রক্ষা কর। শঙ্খচূড় প্রথমে ইতস্ততঃ করিল ; কহিল,—‘গরুড়ের আসিবার সময় হইয়াছে । তিনি আকরার্থ আসিয়া আমায় না দেখিলে, ঘোর অনর্থ সংঘটন করিবেন । জীমূতবাহন অভয়প্রদানে কছিলেন, —‘জল আনা পৰ্য্যন্ত আমি তাহাকে প্রসন্ন করিব। মৃত্যুর পূৰ্ব্বে তুমি আমার তৃষ্ণ-নিবারণ করিয়া একটি পুণ্য সঞ্চয় করিয়া যাও । শঙ্খচূড় অগত্যা সন্মত হইল ;–নাগকপাল গ্রহণে বারিअनब्रट्न अभन कब्रिन । यनिक भव्थळूज़्द्र छांब cबण-छूबांग्र फूबिऊ श्छ। जैौभूठवांश्न গরুড়ের প্রতীক্ষায় বসিয়া রছিলেন। অনতিবিলম্বেই গরুড় উপস্থিত হইলেন -শঙ্খচূড় ভ্ৰমে জীমূতবাহনকে চঞ্চুপুট দ্বারা ছিন্ন করিয়া আহার করিতে লাগিলেন। অল্পক্ষণ