পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৬৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবর্ষ। ه وازى , DBBS BB BBBB BBB BBB BDD BBBBB S S BBB BBBB BBBBS শ্চয়ের নিমিত্ত নানা শাস্ত্রের আলোচনা করিতেন ; যজ্ঞ ও খাতাদি কৰ্ম্মের নিমিত্ত অর্থসংগ্ৰন্থ করিতেন ; অপত্য-উৎপাদনার্থ দারপরিগ্রহ করিতেন ; এবং তপশ্চৰ্য্যার নিমিত্ত পরমায়ুর যত্ন করিতেন। ঐ বংশে ভট্টগোপাল নাম এক সুপ্রসিদ্ধ ব্যক্তির জন্ম হয়। নীলকণ্ঠ নামে অতি পবিত্র-কীৰ্ত্তি র্তাহার এক পুত্র ছিলেন। র্তাহার ঔরশে ধাতুকণার গর্তে মহাকবি ভবভূতি জন্মগ্রহণ করেন। ভবভূতির অপর নাম—ঐকণ্ঠ। মহাকবি ভবভূতির সহিত নটদিগের অঙ্কত্রিম সৌহার্দ্য থাকায় তিনি নানা-গুণালঙ্কৃত নাটক প্রস্তুত কল্পিয়া নটদিগকে সমর্পণ করেন। কবির জন্মস্থান ঐ পদ্মপুর কোথায় ছিল এবং কোন সময়ে কবি আবিভূত হইয়াছিলেন, এখন তদ্বিষয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলিয়া থাকে। পল্পপুর নগর-বিদর্ভ-দেশে (বর্তমান বেরারের অন্তর্গত বিদারের নিকটে) অবস্থিত ছিল । ঐ বিদর্ভ রাজ্যের রাজধানীর নাম—কুণ্ডিনপুর বলিয়া কৰি উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন । সেই কুণ্ডিনপুর এখন বিদার নগর বলিয়। চিহ্নিত হয়। পদ্মপুরের অস্তিত্ব পর্য্যস্ত লোপ পাইয়াছে। কেহ বলেন,—ভবভূতি কালিদাসের সমসাময়িক ছিলেন ; কেফ বলেন,—ভবভূতি যষ্ঠ শতাব্দীতে আবিভূত হন। কোনও মতে তিনি অষ্টম শতাব্দীর কবি । ভবভূতির বিদ্যমানতা সম্বন্ধে এইরূপ বিবিধ মত প্রচলিত আছে। রাজতরঙ্গিণীতে দৃষ্ট হয়,—রাজ যশোবর্ষণ যখন কান্যকুঞ্জের অধীশ্বর ছিলেন, মহাকবি ভবভূতি র্তাহার সভাপণ্ডিতের পদ সমলঙ্কত করিয়াছিলেন। এ সম্বন্ধে রাজতরঙ্গিণীর উক্তি এই—“কবির্বাকৃপতিরাজশ্ৰীভবভূত্যাদি সেবিত। জিতে যযৌ যশোবর্ষ। তাগুণন্তুতিবন্দিতাম।” রাজতরঙ্গিণীর বর্ণনায় দেখিতে পাই,—কাশ্মীররাজ ললিতাদিত্য কনৌজ অধিকার করেন । সেই সময়ে যাশাবন্মণের আশ্রয়ে বহু কবি ও সাহিত্যিক প্রতিপালিত হইতেন। ভবভূতি তাহাদেরই অন্যতম। ভবভূতিকে ললিতাদিত্য কাশ্মীরি লইয়া যান। ভবভূতি ব্যতীত যশোবর্ষণের দরবারে আর যে সকল পণ্ডিত আশ্রয় পাষ্টয়াছিলেন,তাহদের মধ্যে বাকৃপতি ও রাজত্ৰ নামক দুই কবির নাম পাওয়া যায়। ললিতাদিত্যের কন্যকুজ অধিকার— খৃষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীর ঘটনা বলিয়া নির্দিষ্ট হয় । সে মতে, যশোবন্মণ—৭০০ খৃষ্টাকা হইতে ৭৫৯ খৃষ্টাৰ পৰ্য্যন্ত রাজত্ব করিয়াছিলেন। এ হিসাবে ভবভূতি অষ্টম শতাব্দীর কবি বলিয়৷ প্রতিপন্ন হন । ফলতঃ, ভারতের অপরাপর প্রাচীন কবি-মহাকবিগণের কাল-নির্ণয় সম্বন্ধে যেরূপ মতাস্তর ঘটিয়াছে, ভবভূতির সম্বন্ধেও সেই মতান্তর দেখিতে পাই । এবম্বিধ বিতর্কের মীমাংসা নাই । ‘কালপ্রিয়নাথ” মহেশ্বর সন্নিধানে ভবভূতির নাটকের অভিনয় হইয়াছিল,— এইরূপ প্রচার আছে । মহাদেবের মহোৎসব উপলক্ষে যাত্রাগান হইত এবং দিগন্তবাসী জনগণ তথায় সমবেত হইতেন। ভবভূতির নাটকের (বিশেষতঃ মালতীমাধবের ) প্রথম অভিনয় সেই উৎসবক্ষেত্রেই সম্পন্ন হইয়াছিল। ঐ ‘কালপ্রিয়নাথ মহাদেব, কাহারও কাহারও মতে, উজ্জয়িনীর প্রসিদ্ধ বিগ্রহ । কালপ্রিয়নাথ যদি উজ্জয়িনীরই হন, সে কতকাল পূর্বের কথা স্মরণ করিলে, কতকাল পূর্বে উজ্জয়িনী সমৃদ্ধিশালিনী ছিল অনুসন্ধান করিলে, মহাকৰি ভবভূতির বিদ্যমান-কালের একটু আতাস পাওয়া যায়। এতৎপ্রসঙ্গে সে বিষয়ের আলোচনা বাহুল্য মাত্র। তৱে এক হিসাবে বলা যাইতে পারে,