পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৬৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবর্ষ। جاده ني পিতৃপিতামহগণ জীবনপাত করিয়া গিয়াছেন। আমারও সেই কার্ধ্যে জীবনপাত করা কৰ্ত্তব্য ” ইহার পর দুমুৰ্থকে কহিলেন,—যাও দুখুৰ্থ, লক্ষ্মণকে নূতন রাজার নূতন আদেশ জ্ঞাপন কর । দুমুখ চলিয়া গেলে, শোকের প্রবল ধারায় তাহার বক্ষঃস্থল প্লাবিত হইতে লাগিল। খ্রীরামচন্দ্র যখন সীতাদেবীব ভবিষ্ণু চিন্তায় অতিমাত্র ব্যাকুল হইয়া পড়িয়াছেন, নেপথ্যে ঋষিকণ্ঠে ধ্বনিত হইল,—“যমুনাতীরে লবণাসুরের উপদ্রবে ঋষিগণের যাগ-যজ্ঞ পণ্ড হইতে চলিয়াছে। রক্ষা করুন—বক্ষা করুন।” আবার রাক্ষসেব রাস ! আবার ব্রাহ্মণের যজ্ঞে বিষ্ণু! কর্তব্য পালনেব আবার এক নূতন কৰ্ম্মক্ষেত্ৰ ! প্রজাপালক নৃপতি স্ত্রীরামচন্দ্র আর স্থির থাকিতে পারিলেন না। সীতা নিদ্রাভিভূত শায়িত রছিলেন। শ্রীরামচন্দ্র দৈত্য-সংহারে চলিয়া গেলেন । নিদ্রাভঙ্গে পাশ্বে প্রাণপতিকে না দেখিতে পাইয়া, সীতাদেবী যখন বিষম চিস্তাসাগরে নিমগ্ন, সহসা দুয়ুখ প্রবেশ করিয়া কহিলেন,—‘কুমার লক্ষ্মণ রথ সজ্জা করিয়া প্রস্তুত আছেন ; আপনি আসুন। সীতাদেবী গাত্রোথান করিয়া যুক্ত করে দেবগণের উদ্দেশুে প্ৰণতি জানাইলেন, উদ্দেশ্যে পতির চরণকমলে প্ৰণতি কবিলেন, উদ্দেঙে সকল গুরুজনের প্রতি প্রণত হইলেন। বিদায়ের পূৰ্ব্বে যুক্তকরে নিবেদন কবিলেন,-“ণমো পমে তপোধণাণং, ণমোণমে রন্থউলদেবদাণং, ণমোণমো অৰ্জ্জউত্তচরণকমলাণং, ণমোণমো সআলগুরুঅণাণং ” ইহাই উত্তররামচরিতের প্রথম অঙ্ক । আরম্ভে পতিপাশ্বে সতী অবস্থিত, উপসংহারে বিচ্ছেদের বিষম ব্যবধান । এই প্রথম অঙ্কেই, এই সৰ্ব্বজনবিদিত ঘটনাবলীর মধ্যেই, কবি এমনই কলাকৌশল প্রকাশ কবিয়াছেন—এমনই লিপি-চাতুর্য্য প্রদর্শন করিয়াছেন যে, তাহার তুলনা অন্যত্র বিবল বলিলেও অতুক্তি হয় না । দ্বিতীয় অঙ্কে, প্রথমে বিষ্কম্ভকে আত্রেয়ীর ও বাসস্ত্রীর কথোপকথনে শম্বুক নামক শূদ্রের তপস্তায় সংসারে অনিষ্ট্রোৎপত্তির বিষয়—ব্রাহ্মণ-সন্তানের অকালমৃত্যু প্রভৃতিব প্রসঙ্গ এবং শ্ৰীবানচন্দ্র কর্তৃক শূদ্র তপস্বীব বধ-বৃত্তান্তু পরিবর্ণিত আছে। শ্রীরামচন্দ্র কর্তৃক গতজীবন হইয়া শম্বুক দিবা-দেহ প্রাপ্ত হন । সেই শস্কুক শ্রীরামচন্দ্রকে দণ্ডকারণা দেখাইতে দেখাইতে পঞ্চবটী অভিমুখে লইয়া যান। তখন আবার পুরাতন স্মৃতি মনোমধ্যে জাগিয়া উঠে। এইভাবে পূৰ্ব্বপরিচিত জনস্থান দেখাইতে দেখাইতে শঙ্কুক খ্রীরামচন্দ্রকে পঞ্চবটীতে পোছাইয় দেন । এইখানে তৃতীয় অঙ্কের আরম্ভ। এখানে কবি কল্পনা-কৌশলে এক অভিনব সৌন্দর্য্য স্মৃষ্টি কবিয়াছেন । প্রথমে ধিঞ্চস্তকে মুরলা ও তমসা সখিন্ধয়েল কথোপকথনে সীতাদেবীর তাৎকালীন অবস্থাৰ বিষয় বর্ণিত হইয়াছে। গৰ্ত্তবর্তী সীত৷ অরণ্যে আসিয়া, লব-কুশ পুত্র সস্তান লাভ করিয়াছেন ; পতির চিন্তায় তাঙ্গর মুখ-পঙ্কজ পবিমান চইয়াছে ; তু হাতে একাধারে করুণা ও দুঃখ মুৰ্ত্তিমান হইয়া আছে। তমসার ৪ মুরলাব কথোপকথনে কাৰ্য প্রথমে সীতাদেবীর সেই চিত্র অঙ্কিত করিলেন। তাহারা বলিতেছেন,— “পলিপাণ্ডুছবালকপোলসুন্দরং দধতী বিলোলকবরীকমাননম্। করুণন্ত মূরিথবা শরীরিণী বিরক্তবাথৈব বনমেতি জানকী ॥” “কিশলয়মিৰ মুগ্ধং বন্ধনাদ্বিপ্রলুনং হৃদয়কুমুমশোষী দারুণে দীর্থশোক । মপন্থতি পরিপাংক্ষামমন্তাঃ শরীরং শরদিজইৰ ঘৰ্ম্ম কেতকীগৰ্ত্তপত্ৰম ” উহার মুখকমল বিশুষ্ক পা ধুবৰ্ণ, নয়নে জলধারা নিপতিত ; তিনি যেন মানবীকেশধারিণী