পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৬৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের সাহিত্য-সম্পং । ७११ ইহার পর দেবী যখন অন্তর্হিত হন, তখন স্ত্রীরামচন্দ্রের বিলাপের অবধি থাকে না ;–ভাবাস্তর উপস্থিত হয়। তিনি বলেন,—তবে বুঝি বাসস্তীর কথাই সত্য। সীতা আর ইহজগতে নাই। আমি কল্পনায় বা স্বপ্নে সে মূৰ্ত্তি দর্শন করিলাম। তখন বাসন্তী পূৰ্ব্ব বৃত্তাস্ত স্মরণার্থ আরও দুই একটা পুরাতন কাহিনীর উল্লেখ করিলেন । এই অঙ্কে ছায়া-সীতার মিলনে যে প্রেমানুরাগের পরিচয় পাওয়া যায়, বাসন্তী কর্তৃক প্রদর্শমান দৃষ্ঠাবলীর চিত্রে ঐরামচন্দ্রের সেই অম্বুরাগের পূর্ণ বিকাশ দৃষ্ট হয়। বিলাপ করিতে করিতে খ্রীরামচন্দ্র ক্রমশঃ অতিমাত্র কাতর হইয়া পড়েন ; তাহার মুচ্ছ আসে। তখন ছায়ারূপিণী সীতাদেবী তাহার শুশ্রুষায় প্রবৃত্ত হন । এই স্মরণ–এই মিলন বড়ই প্রাণস্পর্শী। এই মিলনের পর বিশেষ মাঙ্গলিক কার্য্যের জন্ত সীতাদেবীকে শ্রীরামচন্দ্রের সঙ্গ পরিত্যাগ করিতে হইল। তিনি পুনঃপুনঃ পতিচরণে প্রণত হইয়া অস্তুতিগু হইলেন। তাছার প্রতিগমনের অব্যবহিত পূৰ্ব্বে স্ত্রীরামচন্দ্র যখন বুঝিতে পারিলেন, সীতাকে আর প। ওয়ার আশা করাশ মাত্র, তখন দীর্ঘ-নিশ্বাস পরিত্যাগ-পূর্বক কহিলেন,—“অস্তি চেদানীমশ্বমেধায় সঙ্গধায়চারিণী মে। অর্থাৎ - অশ্বমেধDY BBBBB BB BBB BBBBB BBB S BD BBB BB BBBB BBB BBB S SB B BS BBBBB BBBSSSBBBB BBB BBSSSBBBB BBB ৫ fত সীতাদেবীর স্বর্ণ-প্রতিমা প্রস্তুত করাইয়াছি । অশ্বমেধ যজ্ঞে সেই প্রতিমূৰ্ত্তিই খামার সহধৰ্ম্মিণীর স্থান অধিকার করিবে ।" কি প্রেমে কি বিচ্ছেদ ঘটিয়াছে, ভবভূতি উ দিতে যেমন পরিস্ফুট-ভাবে অঙ্কন করিয়াছেন, তেমনট অন্ত আর কোথাও দেখিতে প। ওয়া যায় না । চতুর্থ অঙ্কে কবি সুকৌশলে বাল্মীকিব তপোবনে কৌশল্য, অরুন্ধতী ও জনক প্রভৃতির সহিত সীতাপুত্ৰ লবের সাক্ষাৎকার ঘটাইয়াছেন। সেখানে সাক্ষাৎ পরিচয় না ঘটিলেও তাহারা লবের নিকট রামচরিতের যে বর্ণন শুনিতে পান, তাহাতে র্তাহাদের হৃদয়ে স্নেহ-প্রস্রবণ আপনিই উৎসারিত হয়। পঞ্চম অঙ্কে অশ্বমেধ যজ্ঞের অশ্ব লইয়া লব-কুশের সহিত চন্দ্রকেতু-প্রমুখ স্ত্রীরামচন্দ্রের অল্পচরগণেব যুদ্ধ, বালকদ্বয়ের বীরত্ব দেখিয়া সকলে বিমুগ্ধ। ষষ্ঠ অঙ্কে, স্ত্রীরামচন্দ্রের মধ্যস্থতায় শান্তি-স্থাপন। খ্রীরামচন্দ্র লব-কুশকে দেখিতেছেন, কিন্তু পুত্র বলিয়া পরিচয় পাইতেছেন না। প্রাণ স্নেহে আপ্লুত হইতেছে, কিন্তু স্নেহ প্রকাশ করিতে পারিতেছেন না । কেন তাঙ্কার হৃদয়ে সেই স্নেহভাব উদয় হইতেছে, তজ্জন্ত তিনি বড়ই আশ্চৰ্য্যাঙ্গিত হইতেছেন । এ সম্বন্ধে খ্রীরামচন্দ্রের উক্তি,— “ব্যতিষজতি পদার্থানান্তরঃ কোহপি হেতুনথলু বহিরুপাধীন প্রতয়ঃ সংশ্রয়ন্তে । বিকসতি হি মতঙ্গস্তোদয়ে পুণ্ডরীকং দ্রবতি চ হিমরশ্বাবুদগতে চন্দ্রকান্ত ॥” কোনও প্রাণের সম্বন্ধ না থাকিলে পরস্পর পরস্পরের প্রতি কখনও আকৃষ্ট হয় না । হুর্য্যোদয়ের পর পদ্ম প্রস্ফুটিত হয়, হিমাংশুর উদয়ে কুমুদ দ্রবীভূত হয়। অর্থাৎ, অন্তরস্থ সম্বন্ধ ভিন্ন একের সংসর্গে অষ্ঠের কখনও ভাবাস্তর উপস্থিত হয় না। দর্শনে অভিনব ভাৰাস্তর উপস্থিত হয় ; তার পর কথোপকথনে স্নেহালিঙ্গনের অভিলাষ জন্মে। প্রথমে লবকে দেখিয় যে ভাবের উদয় হয়, অল্পক্ষণ পরেই কুশ আসিয়া সম্মুখে উপস্থিত হইলে, স্ত্রীরামচন্দ্রের গ্রাণে সেই ভাব অধিকতর ঘনীভূত হইয় আসে। কুশের মুখ দেখিয় তাহার মনে হয়, যেন 8થ8િના