পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৬৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের সাহিত্য-সম্পং । ©ጓ:» বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশে পরিস্ফুট হইতে পারে, এ সকল তাঁহারই দৃষ্টান্ত মাত্র। যাহা হউক, ভবভূতির উত্তররামচরিত ভাষায়, ভাবে, কল্পনায়, চরিত্র-বিকাশে—সৰ্ব্ব বিষয়েই অাদর্শ নাটক মধ্যে পরিগণিত। কবি যেন সকল বিষয়ের আদর্শ স্বাক্ট করিবার জন্তই এই নাটক প্রণয়ন করিয়াছেন । মুদ্রারাক্ষস–সংস্কৃত ভাষার প্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক নাটক। বিশাখদত্ত এই নাটকের প্রণেতা বলিয়া প্রসিদ্ধিসম্পন্ন। নাটকে স্বত্রধাব মুখে বিশাখদত্তেব সামান্য একটু পরিচয় পাওয়া যায়। তদনুসারে, বিশাখদত্ত—সামস্ত বটেশ্বর দত্তেব পৌত্র এবং মহারাজ মুদ্রারাক্ষস । পৃথুর পুত্র। এই পরিচয় পাইয়া পণ্ডিতগণ সিদ্ধান্ত করেন যে, বিশাখদত্ত দিল্লীব শেষ হিন্দুবাজ পৃথ্বীরাজ চোঙ্গনেব পুত্র । মুদ্রারাক্ষসের শেষ শ্নোকে বিদেশী রাজার বাজাধিকাবেব যে চিত্র অঙ্কিত আছে, তাঙ্গতে মুসলমুনগণ কর্তৃক দিল্লী-বিজয়ের ছায়াপাত দৃষ্ট হয়। প্রধানতঃ এই কারণেই বিশাখদত্ত চৌহান পৃথ্বীরাজের পুত্র বলিয়া পরিচিত হইয়া থাকেন। কিন্তু এ সিদ্ধান্তে একটা অন্তরায়ের কথা আছে। পৃথ্বাবাজেব পিতার নাম—সোমেশ্বব বলিয়া পরিচয় পাট। তাহাতে কেহ বলেন, চাদ কবির ভাষায় সামন্ত বটেশ্বর সোমেশ্বর নাম পবিগ্ৰহ করিয়া আছেন। তাহা হইতেই বটেশ্বর ‘সোমেশ্বর’ হইয়া পড়িয়াছেন ; ফলে, বটেশ্বর ও সোমেশ্বর অভিন্ন ব্যক্তি। এই যুক্তি মানিয়া লইলে, বিশাখদত্ত চোঙ্গন বংশীয় পুখীবাজব পুত্র বলিয়াই প্রতিপন্ন হন। এ দিকে এই বিতগু, অন্যদিকে আবাব মুদ্রাবাক্ষসেব প্রণেতার নাম লইয়াও মতান্তর ! মেজর উইলফোর্ড প্রতিপন্ন কবিয়াছেন, মুদ্রাবাক্ষসের রচয়িতার নাম—অনন্ত ; গোদাবী তীবে তাহার বাস ছিল। যাঙ্গ হউক, আমরা কিন্তু রচযিতাব নাম বিশাখদত্ত বলিয়াই প্রমাণ পাইতেছি । অনন্তনামধেয় কোনও কবি যে মুদাবাক্ষসের বচরিত, তাহার কোনও নিদর্শন দেখিতে পাই না। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি,–মুদ্রারাক্ষস একখানি ঐতিহাসিক নাটক। অন্যান্ত নাটকের স্তায় ইহা প্রেমিকপ্রেমিকার—প্রণী-প্রণয়িনীব বিচ্ছেদ মিলনেব বিচিত্র-ব্যাপালে পৰিপূৰ্ণ নঙ্গে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র - এবং তাঙ্গর ফলাফল বর্ণনায় মুদ্রাব্লাক্ষসের নাটকীয় সৌন্দর্য্য অধিকতর ইতিহাস। প্রস্ফুট । মগধে নন্দ-বংশের উচ্ছেদে মৌর্য্য-বংশের প্রতিষ্ঠা—এই নাটকের বর্ণনীয় বিষয় । কি সুত্রে কি ষড়যন্ত্রে এই রাষ্ট্র বিপ্লব সংঘটিত হইয়াছিল, সে ইতিহাস যেমন কৌতুহলপ্রদ, তেমনই লোমহর্ষক। পুরাণেতিহাসে প্রচার,—মগধে নন্দ-বংশ ১৩৮ বৎসর রাজত্ব কলিয়াছিলেন। মহানন্দ –ঐ বংশের প্রসিদ্ধ ও প্রতাপশালী নৃপতি। মহাবীর আলেকজান্দার (শিকন্দব) যখন ভাৰতবৰ্ষ আক্রমণ করেন ; তখন অসংখ্য গজারোহী, বিংশ সহস্ৰ অশ্বাবোহী এবং তুষ্ট লক্ষ পদাতিক সৈন্য লইয় মহানন্দ আলেকজান্দারকে বাধা-প্রদান জন্য প্রস্তুত হইয়াছিলেন। * ফলতঃ, সে সময়ে মহাননের স্তায় প্রতাপশালী রাজা ভারতবর্ষে দ্বিতীয় কেহ ছিলেন না। মহানন্দের দুই মন্ত্রী,—প্রধান মন্ত্রীর নাম—শকটার ; দ্বিতীয় মন্ত্রীর নাম—রাক্ষস । শকটার শূদ্র, আর রাক্ষস ব্রাহ্মণ ছিলেন। आप्नकलकत्र BBBB BBB B BBB BBBBBS BBB BBBBBB DB BBBD DBB HHBD নাই । সুতরাং মহানন্দের সহিত যুদ্ধক্ষেত্রে তাহাব সাক্ষাৎকার ঘটে নাই।