পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৭২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের সাহিত্য-সম্পং । 8 XY খানি কাব্য-গ্রন্থ অধুনা আবিষ্কৃত হইয়াছে। রচনায় কিছু অহমিকার ভাব প্রকাশ পাইয়াছে। ‘সহস্রশঃ সন্তু বিশারদীনাং বৈদর্ডলীলানিধয়ঃ প্রবন্ধাঃ, তথাপি বৈচিত্রারহস্তলুদ্ধা: শ্রদ্ধাং বিধাস্তস্তি সচতেসোছত্র ॥ রসধবনের ধ্বনি যে চরস্তি সংক্রান্ত বক্রোক্তিরহস্যমুদ্রাঃ । তেহম্মৎ প্রবন্ধানবধারয়ন্তু কুৰ্ব্বস্তু শেষা: শুকবাক্যপাঠম্।” ‘সহস্র প্রসিদ্ধি-সম্পন্ন গ্রন্থকারের রচনা আছে। কিন্তু যাহারা রহস্তজ্ঞ ও বুদ্ধিমান, তাক্তারা আমার রচনায় নিশ্চয়ই শ্রদ্ধাম্বিত হইবেন । ভাবজ্ঞ রসজ্ঞ ব্যক্তিগণই আমার গ্রন্থের গুণামুসন্ধানে রহস্তোস্তুেদে সমর্থ হইবেন। অরসজ্ঞ জনের এ গ্রন্থ পাঠ, শুক-পক্ষীর আবৃত্তি মাত্র। চোলুক্য-রাজ ত্রিভুবনমল্লদেব এই বিহ্বলণ পণ্ডিতকে ‘বিদ্যাপতি' উপাধি দান করিয়াছিলেন। রাজতরঙ্গিণীতে এই বিহলণের উল্লেখ আছে। তদনুসারে তিনি শেষ-জীবনে সংসার-ত্যাগী হইয়াছিলেন বলিয়া বুঝা যায়। থগু-কাব্যের মধ্যে আর এক প্রসিদ্ধি-সম্পন্ন গ্রন্থ-বাণভট বিরচিত কাদম্বরী। উঙ্গ একাধারে কাব্য ও উপন্যাস । বাণভট্ট—মহাকবি বলিয়া প্রসিদ্ধি-সম্পন্ন। কাদম্বরী, কর্মচরিত ও চণ্ডিকাশতক গ্রন্থত্রয় তাহার যশ উজ্জল করিয়া রাখিয়ছে। বাণভট্ট। কাদম্ববীর প্রথমে কবি একটু আত্ম পরিচয় প্রদান করিয়াছেন। তাহাতে প্রকাশ,— তিনি যাগযজ্ঞপরায়ণ বাৎসায়ন-বংশে জন্মগ্রহণ করেন। তাঙ্গর পিতার নাম চিত্রভানু, মাতার নাম রাজদেবী ; তাহার পিতামহ অর্থপতি, প্রপিতামহ কুবের । কানাকুজের অধিপতি হৰ্ষবৰ্দ্ধনের রাজত্বকালে তিনি রাজসংসারে বিশেষ সন্মানের আসন লাভ করিয়াছিলেন । তদনুসারে, রাজার গুণে মুগ্ধ হইয়া তিনি হর্ষচরিত’ গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। কদম্বরী তাহার প্রধান রচনা । উক্তার পর তিনি 'হর্ষচরিত’ ও ‘চণ্ডিকাশতক’ গ্রন্থদ্বয় প্রণয়ন করিয়াছিলেন। রত্নাবলী নাটিকার রচয়িতা বলিয়া ও তাঙ্গর নাম উল্লিখিত হয়। কাদম্বরী—নানা অলৌকিক উপাখ্যানে 'পরিপূর্ণ। রাজা শূদ্রকের নিকট এক শুক পক্ষী আত্ম-বিবরণ-বর্ণন-ব্যপদেশে কতকগুলি গল্প বলে । তাহা লইয়াই এই কাদম্বরী সংগ্রথিত । গল্পে চন্দ্রাপীড়ের সহিত কাদম্বরীর এবং বৈশম্পায়নের সহিত মহাশ্বেতার মিলনের কাহিনী বিবৃত আছে। রোহিণীপতি চন্দ্র ব্ৰহ্মশাপে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেন ; তাহার নাম হয়—চন্দ্রাপীড় । তঁাচার পিতার নাম—তারাপীড়, মাতা—বিলাসবতী। চন্দ্রাপীড় এক দিন হিমালয়ের আরণ্য-প্রদেশে ভ্রমণ করিতে গিয়া মহাশ্বেতার আশ্রমে উপনীত হন। সেখানে গন্ধৰ্ব্ব-রাজকুমারী কাদম্বরীর সহিত র্তাহার সাক্ষাৎ হয় । সেই সাক্ষাতে পরম্পর পরস্পরের প্রতি অনুরক্ত হন। এই সময় মহাশ্বেতার শাপে বৈশম্পায়নের মৃত্যু ঘটে। বৈশম্পায়ন—চন্দ্রাপীড়ের অন্তরঙ্গ বন্ধু ছিলেন । বন্ধুর মৃত্যুতে, বন্ধুর শোকে, চন্দ্রীপীড়ও তমুত্যাগ করেন। পরজন্মে চন্দ্রাপীড় শূদ্রক নৃপতিরূপে আবিভূত হইয়াছিলেন। সেই ঘটনা বর্ণন উপলক্ষেই শুকমুথে কাদম্বরীর কাহিনী শূদ্রক সমক্ষে কীৰ্ত্তিত হয়। যাহা হউক, চন্দ্রাপীড় বন্ধু শোকে প্রাণত্যাগ করিলে দৈববাণী ক্রমে তাহার মৃতদেহ রক্ষিত হইয়াছিল। মৃতদেহে দেবাম্বুগ্রহে পুনৰ্জ্জীবন সঞ্চারিত হইলে, চন্দ্রাপীড়ের সহিত কাদম্বরীর