পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৭৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের সাহিত্য-সম্পং । 8●> BBBBB B BBBB BBB BBBSBBD BBB DBBS BB BDD BBB S সেই সকল খণ্ড-কবিতার মধ্যে ষে অসংখ্য ভাবকুসুম প্রকটিত আছে, কে তাহার ইয়ত্তা করিবে ? সৎসঙ্গের মাহাত্ম্য-বিষয়ে একটী কবিতায় আছে,—‘পদ্মপত্রস্থিত জলবিন্দু চক্সকিরণসম্পাতে মুক্তার স্তায় প্রতিভাত হয় ; সৎসঙ্গের এমনই মহিমা ! নম্রতা সম্বন্ধে একটী কবিতায় লিখিত হইয়াছে,—‘ফলভারাবনত বৃক্ষ আপনিই অবনত হইয় পড়ে। জলভারাক্রান্ত মেঘ আপনিই অবনমিত থাকে । সেই ব্যক্তিই মহৎ—যিনি ধনৈশ্বৰ্য্য-সম্পন্ন হইয়াও কখনও অহঙ্কারে প্রমত্ত নহেন। অন্য আর একটি শ্লোকে দেখি,—‘অগাধজলসঞ্চারী রোহিৎ মৎস্ত বিচলিত হয় না ; কিন্তু গঙুষ-পরিমিত জলে শফর ফর্ড ফড় করিয়া ঘুরে । দৃষ্টান্ত কত দেখাইব । ভাবিতে গেলে, বুঝিতে গেলে, খণ্ডকাব্যের এবং নীতিমূলক উপাখ্যান-সমূহের মধ্যে কি অমূল্য শিক্ষাই নিহিত আছে ! জীবনের গগুপ্য-পথ প্রদর্শন কৰাব পক্ষে ঐ দুই সামগ্রী অপূর্ব সহায়-স্বরূপ। উহার সকল গুলির মধ্যেই কি যেন সঞ্জীবনী শক্তি সঞ্চারিত আছে ! প্রণয়ি শিক্ষণ । প্রণয়িনীর প্রণয় হইতে প্রেমময়ের প্রতি প্রেমসঞ্চার অধিকাংশ খণ্ডকাব্যেরই লক্ষীভূত। এ পক্ষে ভর্তৃহরির শতক-গ্রন্থ-সমূহের এবং ঐক্রগীতগোবিনোর নাম বিশেষভাবে উল্লেখ করা যাইতে পারে । শতকে প্রেমের প্রথম স্তর । আবিলত আছে,-—মলিল তা আছে,—সম্পূর্ণরূপ স্বচ্ছতা আসে নাই ; সে প্রেম সলিলের স্বচ্ছতা-সম্পাদনে বৈৰাগ্য রূপ নিৰ্ম্মালা-সংযোগ ঘটিয়াছিল ; যে প্রেম কলুষিত, যে প্রেম অবিশুদ্ধ, সে প্রেমের সম্বন্ধ পরিত্যাগ করিয়া বিশুদ্ধ অনাবিল প্রেমের সন্ধান জন্য শতকগ্রন্থ সমূহ শিক্ষা দিলেন। এই গীতগোবিন্দে সেই শিক্ষার চরম পরিণতি। সংসার যখন সৰ্ব্বস্ব পরিত্যাগ করিয়া, সেই প্রেমময়ের প্রেমে আত্মলীনে সমর্থ হইবে, তখনই প্রেমের প্রকৃত জাস্বাদন লাভ করিবে ; যে আননের জন্ত সারাজীবন উদ্ধান্ত হইয়া ঘুরিতেছে, সেখানে মানুষ সেই আনন্দের আস্বাদ পাইবে । শতক-গ্রন্থসমূহ ও গীতগোবিন্দ পাশাপাশি রাখিয়া যদি কোনও ভাবুক ভক্ত জীবন-গতি-নির্ণয়ে প্রয়াস পান, তিনি ষে চিরস্থখের অনন্ত-মুখের অধিকারী হইবেন, তদ্বিষয়ে কোনই সংশয় নাই। বারাঙ্গনা চিন্তামণির কলুষ-প্রেমে বিল্বমঙ্গল যখন আত্মহারা হইয়া পড়িয়াছেন, চিন্তামণি র্তাহাকে যে উপদেশ দিয়াছিল, প্রণয়ি-প্রণয়িনীর প্রণয়-ব্যাপারে সেই উক্তিই সৰ্ব্বথা স্মরণীয়। চিন্তামণি বলিয়াছিল,—“যে প্রেম যে ভালবাসা আমার প্রতি দেখিতে পাইতেছি, সেই প্রেম সেই ভালবাসা যদি ভগবানের পাদপদ্মে গুস্ত করিতে, না জানি তুমি কত মুখেই মুখী হইতে পারিতে ? চিন্তামণির এবম্বিধ উপদেশেই বিশ্বমঙ্গলের জ্ঞানসঞ্চার হয়। চিস্তামণির ঐ উপদেশ-রূপ যে ক্ষীণ অগ্নিশিখা বিশ্বমঙ্গলের হৃদয়ে প্রবেশ করে, সেই শিখাই ক্রমশঃ সকল কামাগ্নি ভস্মীভূত করিয়া দিয়া অনাবিল উজ্জল জ্ঞানালোকে পরিণত হয়। সংস্কৃত-সাহিত্যের খণ্ড-কাব্য-সমূহে প্রেম-প্রবাহের মধ্যে এই শিক্ষাই প্রকট হইয়া আছে। এই শিক্ষার প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া চলিতে পারিলেই শিক্ষা সাৰ্ধক হয়। খও-কাব্যের মধ্যে এই যে এক গভীর ভাব নিহিত রছিয়াছে, পাশ্চাত্যভাবাপন্ন জনের দৃষ্টিতে তাহ জাপাতঃ প্রতীয়মান নহে। ভারতের অধিবাসিগণের—সনাতন