পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৮২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বঙ্গের গৌরব-বিভব । >&y একজন বিখ্যাত অধ্যাপকের নাম-গুণমতি বোধিসত্ত্ব’ । সাস্থ্য-দর্শনের তর্ক-যুক্তি খণ্ডন করিয়া, বৌদ্ধমত প্রতিষ্ঠা দ্বারা তিনি প্রসিদ্ধি-সম্পন্ন হইয়াছিলেন। তাহারও জন্মভূমির পরিচয় পাওয়া যায় না । নালন্দার আর একজন প্রসিদ্ধ অধ্যাপকের নাম্ন— প্রভামিত্র' + চীনদেশে ‘ধৰ্ম্মচক্র প্রবর্তনীর মুলে তাহার প্রভাব বিদ্যমান। প্রভামিত্র বাঙ্গালী ছিলেন বলিয়াই পরিচয় পাওয় যায়। বাঙ্গালী প্রভামিত্র ধৰ্ম্ম-সংক্রান্ত যে ক্রিয়-পদ্ধতি প্রবর্তন করেন, আজিও চীনদেশে এবং তিব্বতে সেই ক্রিয়া-পদ্ধতি প্রচলিত আছে। নালন্দার BB BB BBBBBBBBB BBBB SBBBBSBBBBS BBBBS SSBBB SBBBBS প্রভৃতি সবিশেষ প্রসিদ্ধি-সম্পন্ন। কিববতে বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রচারের জন্ত তিব্বতের নৃপতি কত্ত্বক জিনমিত্র তিব্বতে আমন্ত্রিত হইয়াছিলেন। নালন্দার বিশ্ববিদ্যালয়ের পূৰ্ব্বে ও পরে ভারতবর্ষে আর আর যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভু্যদয় ঘটিষাছিল, তত্তৎস্থানেও বাঙ্গালীর বিদ্যান্থরাগিতা পরিদৃশ্যমান। পূৰ্ব্ব-গৌরবের স্মৃতি বিস্মৃতির অতল গর্ভে নিমজ্জিত হউক, কিন্তু পরবর্তিকালে বিদ্যার প্রভ{য বঙ্গদেশ যে অন্যান্য প্রদেশকে মুহামান করিয়াছিল, সে পরিচয় অনুসন্ধান করিবার আবশ্যক হয় না । আধুনিক ইতিহাসই সে পরিচয় বক্ষে ধারণ করিয়া আছে । বঙ্গদেশে মুসলমানগণের আগমনের পর হইতে নবদ্বীপে জ্ঞানসুৰ্য্যের পুনরুদয় লক্ষিত হয় । উহার অব্যবহিত পূর্বে বিক্রমশীলায় বৌদ্ধসম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় এবং মিথিলায় ব্রাহ্মণদিগের বিশ্ববিদ্যালয় সমৃদ্ধি-সম্পন্ন হইয়া উঠিয়াছিল । কিন্তু মুসলমানগণের বঙ্গদেশে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গ-বিহার হইতে বৌদ্ধদিগের উচ্ছেদ-সাধন আরম্ভ হয় । কি জানি কি কারণে, মুসলমান-আক্রমণকারিগণ বৌদ্ধভিক্ষুকগণের উপর নিদারুণ উৎপীড়ন আরস্ত করিয়াছিলেন । সে নিৰ্য্যাতনে অনেকের প্রাণনাশ হয়, অনেকে নেপালে ও তিব্বতের দিকে পলায়ন করিয়। প্রাণরক্ষণ করেন । অধুনা তিব্বতের উপত্যক-প্রদেশ যে অসংখ্য বৌদ্ধ-আবাসে পরিপূর্ণ, মুসলমান আক্রমণকারিগণের উৎপীড়নই তাহার প্রধান কারণ। পূৰ্ব্ব হইতেই ঐ সকল দেশে বৌদ্ধধৰ্ম্ম বিস্কৃত হইয়াছিল বটে ; কিন্তু তান্ত্রিক বৌদ্ধ-সম্প্রদায় ঐ সময়েই ঐ সকল দেশে প্রধানতঃ প্রতিষ্ঠিত হন। বুদ্ধ, বোধিসত্ত্ব, তার প্রভৃতি প্রতিমূৰ্ত্তির প্রবর্তনা—ঐ সময়েরই। ঐ সময়ই বৌদ্ধ-সম্প্রদায়ের বিশ্ববিদ্যালয়-সমূহ সমূলে উৎপাটিত হইয়াছিল। বক্তিয়ার খিলিজি যখন বিহার হইতে বঙ্গদেশে আগমন করেন, সেই সময়ে বিক্রমশীলার বিশ্ববিদ্যালয় ধবংস-প্রাপ্ত হয়, মিথিলার প্রভা ক্ষীণ হইয়া আসে । বক্তিয়ার বিক্রমশীলার বিশ্ববিদ্যালয় অগ্নি-সংযোগে ভস্মসাৎ করেন । এ দিকে, বঙ্গদেশের প্রতিভাবান ছাত্রগণের মিথিলায় arna, গতিবিধির পথ অবরুদ্ধ হয়। সুতরাং মিথিলার গৰ্ব্বও খৰ্ব্ব হইয়া আসে । ও মিথিলীর তখন, একমাত্র নবদ্বীপই ভারতের মুখ উজ্জ্বল করিয়াছিল। আর, সে '*' পক্ষে মুসলমান-শাসনকর্তৃগণ যে সম্যক সহায়তা করিয়াছিলেন, তাহ} বলাই বাহুল্য। মিথিলার গৰ্ব্ব খৰ্ব্ব করিবার মূল-বাসুদেব সাৰ্ব্বভৌম কায়শাস্ত্র শিক্ষার জন্য মিথিলা অনেক দিন হইতে প্রতিষ্ঠাদ্বিত ছিল । ন্যায়শাস্ত্র অধ্যয়ন-উদেng ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের ছাত্রগণ মিগিলায় গতিবিধি করিতেন । কিন্তু ন্যায়-সংক্রাস্তু ઇર્ષ ૨૨