পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৮৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮২ ভারতবর্ষ। সেই পরাক্রমবাহুর রাজত্বকালে, সিংহলে সঙ্ঘারাম-সমূহের প্রধান ধৰ্ম্মাধ্যক্ষ-পদে যিনি অধিষ্ঠিত ছিলেন, তাহার পরিচয় কিছু জানেন কি ? তিনি একজন বাঙ্গালী ব্রাহ্মণ- 3. BBBB BBBSSSBBBB BBBBBS BBS BBBBBBB BBDBB DDBB BBD রামচন্দ্র, সিংহলের প্রধান ধৰ্ম্মাধ্যক্ষের আসমে সমাসীন ছিলেন। কোথায় হিমালয়েস্থ পত্নপারে তিব্বতে চীনে জাপানে, আর কোথায় সাগরপারে সিংহলে ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জে,— কতকাল পূৰ্ব্বে বাঙ্গালী এইরূপে ধৰ্ম্মাধ্যক্ষের আসন অলঙ্কত করিয়াছিলেন, বিবেচন। করিয়া দেখুন। এইরূপে প্রতিপন্ন হয়, অতি প্রাচীন কাল হইতেই বঙ্গদেশ শিল্প-বাণিজ্যে শৌৰ্য্য-বীর্য্যে ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে প্রতিষ্ঠাম্বিত ছিল। কখনও বঙ্গ-নামে কখনও বা গৌড়নামে এই জনপদ পরিচিত থাকায়, সময় সময় ইহার প্রাচীনত্বের বিষয়ে কাহারও কাহারও মনে সংশয় ঘটিতে পারে। কিন্তু একটু প্রণিধান-পূর্বক অনুসন্ধান করিলে, সে সংশয় আপনা-আপনিই দূরীভূত হইয়া যায়। বাঙ্গালার বাণিজ্য-প্রভাব } প্রাচীন ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যের বিষয় আলোচনা করিতে হইলে, বঙ্গদেশের বাণিজ্য-প্রভাবের প্রতি স্বতঃই দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়। ভারতের অন্যান্য প্রদেশ যখন প্রাচ্যের ও পাশ্চাত্যের বাণিজ্যের জন্য প্রসিদ্ধিসম্পন্ন হইয়াছিল, বঙ্গদেশেরও ཨཱ་སམྦྷ་རྣ সে সময়ে প্রসিদ্ধির অবধি ছিল না । স্মরণাতীত কাল হইতে বঙ্গদেশে বহু বাণিজ্য-বন্দর প্রতিষ্ঠাম্বিত ছিল । স্মরণাতীত কাল হইতে বঙ্গদেশের বণিকগণ দেশে-বিদেশে বাণিজ্য করিয়া বিপুল অর্থ উপার্জন করিয়াছিলেন। উত্তর-ভারতের ও মধ্য-ভারতের অধিকাংশ পণ্য বঙ্গের বণিকগণের সাহায্যে, বঙ্গের বন্দর হইতে বিদেশে রপ্তানী হইত। প্রাচীন বঙ্গের অন্যান্য ঐশ্বৰ্য্য-গৌরবের পরিচয়-চিহ্ন বঙ্গদেশ হইতে যেমন একেবারে লোপ পাইয়াছে, প্রাচীন বাঙ্গালার বাণিজ্য-কেন্দ্র বন্দর-সমূহের পূৰ্ব্বস্তৃতি সেইরূপ মান হইয়া আছে। অধুনা প্রাচীন ৰঙ্গের যে কয়েকট বাণিজ্য-বন্দরের প্রসঙ্গ উত্থাপন করিবার সুযোগ পাইতেছি, সেগুলির সম্বন্ধেও প্রধানতঃ বৈদেশিকগণের বিবরণের উপর নির্ভর করিতে হইতেছে । তাম্রলিপ্ত কতকালের প্রাচীন নগর, নিৰ্দ্ধারণ করা যায় না ; রামায়ণে, মহাভারতে, পুরাণে, তন্ত্রে, তাম্রলিপ্তের উল্লেখ সৰ্ব্বত্রই দেখিতে পাই । অথচ, ইতিহাসে উল্লেখষোগ্য তাম্রলিপ্তের প্রথম প্রতিষ্ঠা, ফা-হিয়ানের তাল্পতৃভ্রমণ-বৃত্তাস্তের পূৰ্ব্বে প্রতিপন্ন করা দুঃসাধ্য। তাম্রলিপ্ত হইতে বাণিজ্য-পোতে আরোহণ করিয়া ফা-হিস্থান সিংহলে গিয়াছিলেন ;–কি পরিতাপের বিষয়, সেই বৃত্তান্ত অবলম্বন" করিয়া, এখন আমাদিগকে প্রাচীন বাঙ্গালার বাণিজ্যের ইতিহাসের সূচনা লিখিঞ্জে হয়। ফা-হিয়ানের ভারত-আগমনের কত সহস্ৰ সহস্ৰ বৎসর পূৰ্ব্বে মিশরে মাৰিয় মধ্যে মৃতদেহের গাত্রে বাঙ্গালার মসলিন ব্যবহৃত হইয়াছিল,-মিশরের ইতিহাসে সে সংবাদ অবগত হইয়াণ্ড সে বাণিজ্যের মূল-স্বত্র অনুসন্ধান করিতে পারি না। কারণ, সেই দুর-অতীতকালে বাঙ্গালাৰু কোন বন্দর হইতে কি স্ব ত্রে কোন দেশীয় বণিকগণ কর্তৃক ৰাঙ্গালীর মসলিন মিশরে সংবাহিত হইয়াছিল, লে পরিচয় এখন কালের অন্ধতম গর্তে