পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৮৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বঙ্গের গৌরব-বিভব । 는 ইতিহাসে প্রাপ্ত এই সকল বিবরণ হইতে আমরা কি বুঝিতে পারি ? যে সময়ের বিবরণ ঐ গ্রন্থে পরিবর্ণিত, তখন গয়েসউদ্দিন ও তৎপুত্র সৈয়ফউদিম বঙ্গের সিংহাসনে অধিরূঢ় ছিলেন। গয়েসউদ্দিন ও সৈয়ফউদ্দিন যথাক্রমে ঐ-য়া-সে-টিঙ’ ও ‘সৈ-ফে-টিঙ’ রূপে পরিচিত হইয়াছেন বলিয়াই বুঝা যায়। কিন্তু তাহাদের রাজধানী ছিল—গৌড়, পাণ্ডুয়। প্রভূতি স্থানে । সুতরাং মিং-বংশের ইতিহাসে লিখিত “পাঙ-কো-ল’ সমগ্র বাঙ্গালা দেশকে বুঝাইয়াছে বলিয়। প্রতিপন্ন হয় । গৌড়ের রাজাই বাঙ্গালার রাজা ছিলেন । বাঙ্গালার নামেই গৌড়ের পরিচয় ছিল। পূর্ববঙ্গে যখন রাজধানী হয়, তখনও, যেখানেই রাজধানী থাকুক, তত্রত্য নৃপতি বঙ্গের অধিপতি’ বলিয়াই পরিচিত হন। সে হিসাবে, কি পুৰ্ব্ববঙ্গ, কি উত্তরবঙ্গ, কি পশ্চিমবঙ্গ, কি দক্ষিণবঙ্গ—বঙ্গের সকল অংশই বিদেশীর নিকট বাঙ্গালা বা বঙ্গদেশ এই সাধারণ সংজ্ঞা লাভ করিয়াছিল। বাঙ্গালা নামেই পরিচিত থাকুক, আর অন্ত নামেই পরিচিত থাকুক, বাণিজ্য-বন্দরের মধ্যে ঢাকা-পূর্ববঙ্গের আর একটা প্রাচীন প্রসিদ্ধ বন্দর বলিয়া বিখ্যাত । সমুদ্রগুপ্তের শিলালিপিতে ‘ডবাকৃ’ নামক এক নগরের পরিচয় পাওয়া যায়। ভবিষ্য ব্রহ্মখণ্ডে ‘ঢক্কা’-সংজ্ঞক নগরীর BBBB BBB S BBBBBBS BBBBBB SBBBBSBB BBB BBBB SBBS BB হইয়াছিল। “বুড়ীগঙ্গা নদীর তটে অবস্থিত, ঐ নগর যবনগণের অধিকার-কালে "জাঙ্গীর-পত্তন’ বা ‘জাহাঙ্গীরাবাদ সংজ্ঞা লাভ করে। মুসলমানগণের প্রাধান্ত-কালে ঢাকার প্রতিপত্তি বিশেষ বৃদ্ধি পায়। পাল-বংশের ও সেন-রাজবংশের ঢাকা । প্রতিষ্ঠার দিনে বিক্রমপুর ( বর্তমান ঢাকা জেলার অধিকাংশ ও ফরিদপুর জেলার কিয়দংশ ) প্রসিদ্ধি-সম্পন্ন হইয়া উঠিয়াছিল। রামপাল প্রভৃতি স্থানে সে স্মৃতির ধ্বংসাবশেষ আজিও দৃষ্ট হয়। মুসলমানের ঢাকায় আপনাদের শাসনকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। ১৩৩০ খৃষ্টাব্দে মোহম্মদ তোগলক পূৰ্ব্ববঙ্গ অধিকার করেন। তখন সোনারগণ রাজধানী হয় । বঙ্গরাজ্য তখন তিল ভাগে বিভক্ত ছিল বলিয়া পরিচয় পাওয়া যায় ; (১) সোনারগা, (২) সাতগা, (৩) লক্ষ্মণাবতী । সোনারগাঁ অনেক দিন পৰ্য্যস্ত রাজধানী ছিল । সেরশাহের উত্তরাধিকারিগণ ( ১৫৩৮ খৃষ্টাব্দের পর ) ঢাকায় রাজধানী স্থাপন করিয়াছিলেন। ১৬১২ খৃষ্টাব্দে ইসলাম খাঁ ঢাকায় রাজধানী আনয়ন করেন। মধ্যে মধ্যে রাজধানী পরিবর্তন হইয়াছিল। পরিশেষে ১৬৬০ খৃষ্টাব্দে মীর্জুমলা স্থায়ি-রূপে চাকায় রাজধানী স্থাপন করেন। তাহার সময়ে এবং সায়েস্ত ধার শাসন-সময়ে ঢাকার সমৃদ্ধি বিশেষভাবে প্রত্যক্ষীভূত হইয়াছিল। সায়েস্ত ধী ঢাকা-লহরকে বিস্তৃত করেন। সায়েন্ত ধার শাসন সময়েই ( ১৬৬৬ খৃষ্টাব্দের জাগুয়ারী মাসে ) প্রসিদ্ধ ফরাসী ভ্রমণকারী টেভানিয়ার ঢাকায় আসিয়াছিলেন। তখন ঢাকাই পুৰ্ব্ববঙ্গের বাণিজ্যের কেন্দ্রস্থল হইয়া দাড়াইয়াছিল। সায়েস্ত ধার নিৰ্ম্মিত ইষ্টক-সেতু হইতে আরম্ভ কৰিয়া মীর ধারে দীর্থে এক ক্রোশ পরিমিত স্থানে তখন শুধুই পোত-নিৰ্ম্মাণের কার্ষ্য চলিত। টেভার্নিয়ার স্বচক্ষে এই ব্যাপার প্রত্যক্ষ করিয়াছিলেন। সেই সকল পোত-সাহায্যে দেশ-বিদেশে বাণিজ্য চলিত। ঢাকায় তখন ওলন্দাজগণের ও ইংরেজগণের বাণিজ্য 8ं,५७