প্রাচীন বঙ্গের গৌরব-বিভব । 总$》 ‘কিস্তিহা-ই-বান্দ-কুশ’ নামে অভিহিত হয়। সাধারণতঃ দুর্গাদির অবরোধ ভঙ্গ করিবার জন্য ঐ সকল রণতরী ব্যবহৃত হইত। একডালার ও সোনারগার পাবিপার্থিক নদীপথ অতিক্রম করিয়া, ঐ সকল রণতরী লক্ষ্মণাবতী অভিমুখে অগ্রসর হইয়াছিল। এই যুদ্ধে সুবর্ণগ্রামের শাসনকর্তী সম্রাটের সহিত যোগদাম করিয়াছিলেন। এই দ্বিতীয় বারের যুদ্ধে ইলিয়াস্ সার পরাজয় হয়। তখন, সেকন্দর স! গৌড়েব এবং জাফর খাঁ সোনারগার শাসনকর্তৃত্ব লাভ করেন। তারিখ-ই-ফিরোজ-সাহি’ গ্রন্থে মুসলমান ঐতিহাসিক সামস-ইসিরাজ-আফিফ এই বিবরণ লিখিয়া গিয়াছেন । * ঐ গ্রন্থকারের পিতা সম্রাটের এক জন সৈন্তাধ্যক্ষ ছিলেন। সুতরাং অফিফের গ্রন্থে যাহা বর্ণিত হইয়াছে, তাহার সত্যতা-বিষয়ে ংশয়ান্বিত হইবার কোনই কারণ মাই ৷ ১৩৪ - খৃষ্টাব্দে বাঙ্গালার মুসলমান নৃপতিগণ স্বাধীন বলিয়া পরিচিত হন। ১৫৭৬ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত বঙ্গদেশ সেই স্বাধীন আফগান বা পাঠাননৃপতিগণের শাসনাধীন ছিল। মধ্যে মধ্যে কখনও কখনও দিল্লীর বাদসহি ঠাহীদের উপর আধিপত্য-বিস্তারের চেষ্টা পাইলেও বাঙ্গালার স্বাধীনতা সম্পূর্ণরূপ অপহরণ করিতে র্তাহার। প্রায়ই সমর্থ হন নাই। সের সাহের বংশীয় দায়ুদ খ। বাঙ্গালীর শেষ পাঠাননৃপতি । মোগল-সম্রাট আকবর সাহ ১৫৭৬ খৃষ্টাব্দে বঙ্গদেশ অধিকার করেন। সেই হইতে, স্বাধীন পাঠান-নৃপতিগণের অবসানে, মোগল-সম্রাটের প্রতিনিধি-শাসনকর্তৃগণ বঙ্গদেশে প্রতিষ্ঠিত হন। বঙ্গদেশে মোগলগণের আধিপত্য বিস্তৃত হওয়ার পূর্বে, বঙ্গের স্বাধীন পাঠান-নৃপতিগণ আপনাদের নৌবলের ও বাহুবলের বিশিষ্ট্ররূপ পরিচয় প্রদান করিয়াছিলেন। স্বলতান গয়েসউদ্দিন ইয়াস, স্বলতান হুসেন সাহ এবং সুলতান দাযুদ্ধ ধ। প্রভূতির শাসন-কালে, ইতিহাসে এ সম্বন্ধে বিবিধ বিবরণ বিবৃত আছে । তৎকালে বঙ্গের পাঠান-নৃপতিগণ যেরূপ নৌবলে-বাহুবলে বলীয়ান ছিলেন, তাহাদের পারিপার্থিক হিন্দুরাজন্তবর্গও তদ্রুপ শক্তিশালী ছিলেন। পাঠান-নৃপতিগণ বঙ্গের যে অংশ যখনই ..... অধিকার করিবার প্রয়াস পাইয়াছেন, তখনই তাহাদিগকে সমধিক হিন্দুস্তৃপগণের উদ্বেগ পাইতে হইয়াছে। যেমন পশ্চিম-বঙ্গে ও উত্তর-বঙ্গে*P° নবদ্বীপে ও লক্ষ্মণাবতীতে-সেন-বংশের রাজধানী ছিল, তেমনই পূৰ্ব্ব-বঙ্গেও-বিক্রমপুরে—তাহদের রাজধানীর বিষয় অবগত হওয়া যায়। পশ্চিম বঙ্গের নবদ্বীপ-রাজ্য আফগান-গণের অধিকারভুক্ত হইলেও, পুৰ্ব্ব-বঙ্গ বহুকাল পৰ্য্যস্তু স্বাধীন ছিল । রাজচক্রবর্তী লক্ষ্মণ-সেনের বংশধরগণ পূৰ্ব্ব-বঙ্গে বিক্রমপুরে কেমনভাবে কতদিন পর্য্যস্ত আপনাদিগের স্বাধীনতা রক্ষা করিয়াছিলেন, ইতিহাস-পাঠকের তাহ। অবিদিত নাই। লক্ষ্মণ-সেনের জ্যেষ্ঠ পুত্রের নাম—বিশ্বরূপ-সেন তিনি প্রধানতঃ
- Prof. John Dowson's translation of the Tarikh-i-Firoz Shahi by Shams-i-SirajAfif in the Elliot's History of India, Vol. iii.
+ স্কুল-গ্রন্থ প্রভৃতিতে লক্ষ্মণসেনের {डम भूःङ्गनि श्रद्विलग्न *it७। चीष् , (s) विचक्ाश् , (५) भक्षि , (৩) কেশৰ । দলোঁজীমাধব বা দম্বল রায় লক্ষ্মণসেনের পৌত্র । সমাজ-বন্ধনে তিনি পিতামহ প্রপিতামংেস্থ হা বশী হইয়া উঠিয়াছিলেন। মতান্তরে বিরূপ সেন লক্ষ্মণসেনের কনিষ্ঠ পুত্র বলিয়া অভিহিত হন । ३६{। ७>
