পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৯৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

論、ゲ ভারতবর্ষ । ছেন – সেই ফেণপুঞ্জ-সমন্বিত বারিধি, সেই মলয়াচল পৰ্য্যন্ত বিস্তুত সেতুবন্ধ, সেই জলজন্তুসমাকুল সমুদ্রে তিমি-মৎস্যের ভীষণ বদন-ব্যাদান ! দেখাইতেছেন–জলহস্তীসকল সহস। জল-মধ্যে ভাসিয়া উঠিয়া ফেণিল-রাশি কেমন দুই ভাগে বিভক্ত করিতেছে ; আর সেই ফেণ-রাশি করিকপোলদেশে সংলগ্ন হইয়া কেমন কর্ণ-চামরের ন্যায় শোভা পাইতেছে ! দেখাইতেছেন,—বেলানিলপানেচ্ছু ভুজঙ্গমগণ তটভূমি অভিমুখে অগ্রসর হইতেছে ; তাহাতে, তাহাদিগকে কেমন বৃহত্তরঙ্গের ন্যায় দেখাইতেছে এবং সৌরকরসংস্পর্শে তাহাদের ফণামগুলস্থ মধ্য-মণি কেমন ঔজ্জ্বল্য বিস্তার করিয়া আছে! দেখাইতেছেন,—তোয়দবৃন্দ সমুদ্রবারি-পানে প্রবৃত্ত হইবামাত্র আবৰ্ত্তবেগে ঘূর্ণিত হইতেছে, আর তাহাতে মন্দর-পৰ্ব্বত দ্বার। যেন পয়োনিধি মথ্যমান হইতেছেন। দেখাইতেছেন,—দুরে তমালবন ও তালীবন শ্রেণীতে নীলবর্ণ বেলাভূমি চক্রনিভ লবণাম্বুবাশির কলঙ্করেখাবৎ প্রতীয়মান হইতেছে । এইরূপে, মহাসাগরের দৃশ্যপটসমূহ নয়ন-সমক্ষে উত্তোলিত করিয়া, তটপ্রদেশের ও পথের দৃশ্যাবলী দেখাইতে প্রবৃত্ত হইলেন । কহিলেন—‘এই দেখ প্রিয়ে, সেই পরিতাক্ত জনস্থান – বিঘ্ন দূর হওয়ায় এক্ষণে ঋষিগণের আশ্রম-স্থানে পরিণত হইয়াছে । এই দেখ প্রিয়ে, সেই বনস্থলী— তোমার অন্বেষণে আসিয়া যেখানে তোমার নুপুর পতিত দেখিয়াছিলাম –তোমার চরণস্থলিত হইয়া নুপুর যেখানে মৌনাবলম্বন করিয়া ছিল। দেখ প্রিয়ে--এই সেই পথ ! — দুরাত্ম) নিশাচর যে পথে তোমায় হরণ করিয়। লক্টয়া গিয়াছিল, আর যে পথের তরুলতা বাকৃশক্তিহীন হইয়া ও অবনত-পল্লব স্বারা আমায় পথ-প্রদর্শনে সহায়তা করিয়ছিল ; অপিচ, যে পথে আমার ব্যাকুলত দেখিয়। দর্ভ স্কুরে বীতস্পৃহ হইয়া দক্ষিণাভিমুখে নয়ন প্রবৰ্ত্তিত করিয়া মৃগীগণ জমায় পথ দেখাইয়া দিয়াছিল।’ ইহার পর, দেখাইলেন-মাল্যবান পৰ্ব্বত, দেখাইলেন— গোদাবরী-তীর ; দেখাইলেন—পঞ্চবটী বন ; দেখাইলেন – অগস্ত্যের আশ্রম ; দেখাইলেন —চিত্ৰকুট পৰ্ব্বত ; দেখাইলেন—অত্রি-মুনির আশ্রম ; দেখাইলেন–নিষাদপতি গুহের পুরী ; দেখাইলেন—সরযূ নদী । দেখাইতে দেখাইতে কহিলেন—“ঐ যে সন্ধ্যাকালের ন্যায় কপিশবর্ণপূলিপটল উডীন দেখি৩েছ, আমাদের আগমন-বাৰ্ত্ত শুনিয়া সসৈন্যে ভরত আমদিগকে প্রতু গমন করিতে আসিতেছে। দেখ, চরবাসা ভরত, পশ্চাতে সৈন্যদল ও পুরোভাগে কুলগুরু বশিষ্ঠকে রাখিয়া, অর্থ্য-হস্তে আমাদের অভ্যর্থনা করিতে আসিতেছে। যুব হইয়া ও অঙ্কগত রাজলক্ষ্মী উপভোগ না করিয়া ভরত কি কঠোর অসিধার-ব্রত অবলম্বন করিয়া আছে!’ রঘুবংশের ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদের এই বর্ণনায় কবিত্বের উৎস উৎসরিত ; আবার, এই বর্ণনার মধ্যে লঙ্কা হইতে অযোধ্যায় আগমনের পথ প্রভূতির অভিজ্ঞতা-কবির ভৌগোলিক জ্ঞানের পরিচায়ক । কবি যে সমুদ্র-পথে পরিভ্রমণ করিয়াছিলেন, সমুদ্র-বক্ষ হইতে তটভূমি প্রত্যক্ষ করিবার অবসর পাইয়াছিলেন, এই বর্ণনায় তাহাও প্রতীত হয়। SBBBBBBBB DD BBBBBBBBBBBS BBB BB BBBBBBBtS নিবন্ধেব কলঙ্করেখা।” এ কবিতা—এ ভাব যে প্রত্যক্ষ-দর্শনের ফল,তাহাতে আদৌ সংশয় থাকিতে পারে না। রঘুর দিগ্বিজয় প্রসঙ্গেও কবির বিভিন্ন জনপদ দর্শন ও তৰিষয়ক অভিজ্ঞতার পরিচয় পাওয়া যায়। র্যাহারা সমুদ্রগুপ্ত অভিধেয় বিক্রমাদিত্যের অথবা