পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য । סוג নছে। এই সকল বিষয় আলোচনা করিলে আরও প্রতিপন্ন হয়, অতি প্রাচীনকাল হইতে সে দিন পর্য্যন্ত চীনদেশের সহিত ভারতবর্ষের বাণিজ্য-সম্বন্ধ অব্যাহত ছিল । বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রদেশে বাণিজ্য । হিন্দু-রাজত্বে, বৌদ্ধ-প্রভাব-কালে, মুসলমানগণের শাসন-সময়ে, তারতের বিভিন্ন প্রদেশ বৈদেশিক বাণিজ্যে প্রতিষ্ঠা-লাভ করিয়াছিল । খৃষ্টীয় একাদশ শতাব্দীর মধ্যতাগে মুসলমানগণ ভারতবর্ষে প্রথম প্রবেশাধিকার লাভ করেন। তাহার পূৰ্ব্বে, ভারতবর্ষের প্রান্ত-সীমায়, কখনও পারস্তের, কখনও বা গ্রীসের প্রাধান্ত বিস্তৃত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায় বটে ; কিন্তু খৃষ্টীয় একাদশ শতাব্দীর পুৰ্ব্বে বৈদেশিকগণ কেহই ভারতে স্থায়ী অধিকার লাভ করিতে পারেন নাই। মুসলমানগণের ভারতাগমনের পূর্ববৰ্ত্তি-কালে বৌদ্ধ-নৃপতিগণ প্রতিষ্ঠাপন্ন হইয়। ছিলেন। র্তাহারা ভারতেরই অধিবাসী ছিলেন ; সুতরাং স্বীকার করিতে হয়,—খুষ্টীয় একাদশ শতাব্দী পর্য্যন্ত ভারতবর্ষ ভারতবর্ষেরই নৃপতিগণ কর্তৃক শাসিত ও রক্ষিত হইয়া আসিয়াছিল। মুসলমানগণের ভারতাগমন সময় হইতে ভারতবর্ষে বৈদেশিকগণের আধিপত্য। এই বৈদেশিক আধিপত্যের পূর্বের সময়কে দুই ভাগে বিভক্ত করা যাইতে পারে। এক ভাগ—অবিমিশ্র হিন্দু-নৃপতিগণের রাজত্ব-কাল । অপর ভাগ-বিমিশ্র হিন্দু-রাজত্ব । প্রথমোক্ত কালে স্থৰ্য্যবংশীয় এবং চন্দ্রবংশীয় ক্ষত্ৰিয় নৃপতিগণ ভারতে একছত্র শাসন-দণ্ড পরিচালনা করিয়াছিলেন। মৌর্য্য-বংশের অভু্যদয়ে, বৌদ্ধ-নৃপতিগণের শাসন-কালে, বিশুদ্ধ ক্ষত্ৰিয়ৰূপতিগণের একাধিপত্য-অধিকারের অবসান হয়। তখন, তারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশে চন্দ্রবংশীয় ও স্বর্য্যবংশীয় রাজন্তগণের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যের অস্তিত্ব থাকিলেও, প্রধানতঃ বৌদ্ধনৃপতিগণের প্রভাব দিকে দিকে বিস্তৃত হইয়া পড়িয়াছিল । চন্দ্রগুপ্ত ও অশোক প্রভৃতির একছত্র-প্রভাবের বিষয় এতৎপ্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায়। ৩২৫ পূৰ্ব্ব-খৃষ্টাব্দে গ্রীক-বীর আলেকজাণ্ডার ভারতবর্ষে আগমন করেন। তখন মৌর্য্য-বংশের একছত্র প্রভাব ; তখন চন্দ্রগুপ্ত ভারতের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত । চন্দ্রগুপ্তের পর অশোকের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। তিনি ‘প্রিয়দর্শী’ নামে প্রসিদ্ধ ছিলেন । অসমুদ্রহিমাচল ভারতের সর্বত্র তাহার বিজয়-পতাকা উডজীন হইয়াছিল। ২৩২ পূৰ্ব্ব-খৃষ্টাব্দে ৪১ বৎসর রাজত্বের পর তাহার লোকান্তর ঘটে। র্তাহার পর মৌর্য্য-বংশে আরও কয়েকজন নৃপতি রাজত্ব করিয়াছিলেন । শাস্ত্রমতে মৌর্য্য-বংশের রাজত্বকাল—১৩৭ বৎসর। মৌর্য্য-বংশের পর শুঙ্গ-বংশ, কখ-বংশ ও অন্ধ্র-বংশ যথাক্রমে ভারতবর্ষে রাজত্ব করিয়াছিলেন । উত্তর-ভারতে শক-বংশের অভু্যদয়ে ভারতে যখন অন্ধবংশের একছত্র-প্রভাব লোপ পায়, অন্ধগণ তখন দাক্ষিণাত্য অধিকার করিয়! থাকেন। অন্ধ্র-বংশের রাজত্ব-কাল, পাশ্চাত্য-পণ্ডিতগণের গণনাক্রমে, প্রায় সাড়ে চারি শত বর্ষ নিৰ্দ্ধারিত হয়। অন্ধ-বংশ ২•• পূৰ্ব্ব-খৃষ্টাব্দ হইতে ২৫০ খৃষ্টাৰ পৰ্যন্ত দাক্ষিণাত্য-প্রদেশ অধিকার করিয়া ছিলেন। সেই সময়ে শক-বংশ (তাহার। ‘কুশন বা ‘গুৰুণ’ নামেও পরিচিত। ) উত্তর-ভারতে আধিপত্য বিস্তার করেন। এই বংশের ক্ষণিক্ষ (কণিষ্ক) প্রভৃতির খ্যাতি বিশ্ব-বিশ্রুত। পূৰ্ব্বোক্ত রাজগণের রাজত্ব—‘হিন্দু রাজৰ सिंछिम्ल-मभ८ग्नन्न विदख्नु ।