অশোকের অনুশাসন। 7 ܖ R. ২। লাজিন পিষদসিনা দুবাডসবসাভিসিতেন। ইযং কুতা খলটিক পবিতসি, দিনা [ আজি ]বিকেহি । * ৩। লাজ। ] পিযদসি এ[কুত্ৰ ন [ বি ] সত্যিবসাভিসিতে [ নামে আদমঠা )। তিমি ইযং কুভা সুপিযে খলতিপন্বত দিনা [ ] মৰ্ম্মৰ্থ। ।- ( ১ ) অভিষেকের দ্বাদশ বর্ষে দেবপ্রিয় রাজা প্ৰিয়দৰ্শী এই ন্যগ্রোধ, গুহা আজীবকদিগকে দান করিলেন, (২) অভিষেকের দ্বাদশ বর্ষে দেবপ্রিয় রাজা, প্রিয়দর্শী খালটিক, গিরিগুহা আজীবকদিগকে দান করিলেনী। (৩) অভিষেকের উনবিংশ বর্ষে দেবপ্রিয় রাজা প্রিয়দর্শী রাজা খালতি, পৰ্ব্বতের সুলিয়া নামক গিরিগুহা;• আজীবকদিগকে দান করিলেন । যাবৎ চন্দ্ৰ দিবাকর, তঁহাৱা উহা ভোগ করিবেন }; R. মধ্যযুগে পাশ্চাত্য-জগতে, সালে মেনের যশঃজ্যোতি খ্যাতি-প্রতিপত্তি, যেমন বিশ্ব, . বিশ্রুত হইয়াছিল, বৌদ্ধ-প্ৰাধান্য-সময়ে রাজচক্ৰবৰ্ত্তী অশোকের কীৰ্ত্তিস্থতি, যশঃ-খ্যাতির, শুভ্ৰ জ্যোতিতে সমগ্র জগৎ সেইরূপ আলোকিত হইয়াছিল। মধ্যযুগের; উপসংহাৰ। সালে মেনের ইতিহাস যেরূপ বিবিধ উপকথায় পরিপূর্ণ, বৌদ্ধযুগেরঅশোকের ইতিহাসও. সেইরূপ বিবিধ আখ্যায়িকায় সমাচ্ছন্ন। এরূপ: সাদৃশ্য সত্ত্বেও উভয় আখ্যায়িকার মধ্যে বিশেষ পার্থক্য আছে। পাশ্চাত্যের সালে মেন, আলেকজাণ্ডার, আর্থার প্রভৃতির কীৰ্ত্তি-কাহিনীর অধিকাংশই উপকথা-সমূহে পরিপূর্ণ ; আর উপাখ্যানের সে কল্পনা-জাল ভেদ করিয়া সত্য তথ্য নিষ্কাষণ করা বড়ই দুরূহ। কিন্তু অশোকের জীবনচরিত বিভিন্ন স্থলে উপকথায় পূর্ণ হইলেও, সে উপাখ্যানের মধ্যে কতকগুলি সত্য ঐতিহাব্লিক তত্ত্ব নিহিত আছে। উপাখ্যানের আবরণ, উদ্ভিন্ন করিয়া, সত্য তথ্য নিষ্কাষণ করাই প্ৰকৃত ঐতিহাসিকের কাৰ্য্য। কিন্তু অনেক সময় মৌৰ্য্যবংশের ইতিহাস লেখকগণ সমালোচনার প্রণালীবদ্ধ, গণ্ডী অতিক্রম করিয়া থাকেন এবং কল্পনা বহুল আখ্যায়িকার সহিত লিপি-সমূহের তুলনায় সমালোচনা করিতে, গিয়া ভ্ৰমে পতিত হন। যাহা হউক, অশোকের অনুশাসন-রাজিই যে র্তাহার অশেষ কীৰ্ত্তির নিদর্শন, তদ্বিষয়ে সন্দেহ, নাই। বহুবিধ বিভিন্ন আখ্যায়িকার অবতারণা হইলেও লিপি-সমূহই যে র্তাহার রাজ্যের ওরাজত্বের যথার্থ ইতিহাস, ঐতিহাসিক, এবং প্রত্নতত্ত্ববিৎ সকলেই তাহা স্বীকার করিয়া থাকেন ৮ পূৰ্ববৰ্ত্তী অংশ-সমূহে অশোকের লিপির পরিচয় প্রদান করিয়াছি; এক্ষণে তাহদের সারাং নিষ্কাষণ করিয়া; দেখা যাউক, লিপি-সমূহে অশোকের ধৰ্ম্মবধি প্রচার ও রাজ্যশাসন সংক্রান্ত, কি পরিচয় পাইতে পারি। লিপি সমূহের অনুশীলনে যে ভাব উপলব্ধি হয়, নিয়ে তাহা প্রকটত, হইল ; যথা,--(১) জীবের জীবন পবিত্র সুতরাং প্রাণিহিংসা করা উচিত নয়, প্রথম গিরিলিপিতে, এই ঘোষণাবাণী, প্রচারিত হইয়াছে। আর বলা হইয়াছেঃ-উৎসবে বা যজ্ঞকাৰ্যোয়। কোনও পশু বধ করিবে না। (২) জনহিতকর বিবিধ অনুষ্ঠানের বিয়ায় দ্বিতীয় গিরিলিপিতে উল্লিখিত হইয়াছে। কুপ খনন, ভেষজাগর-স্থাপন, জলাশয় প্রতিষ্ঠা, পশু-পক্ষীকীট-পতঙ্গাদির চিকিৎসা-ব্যবস্থা, রাজপথে বৃক্ষাদি-রোপণ প্রভূতি সদনুষ্ঠান যেমন্ত্ৰন অণুপনী
