পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - দ্বিতীয় খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SVo তারতবর্ষ। প্ৰশংসনীয়। তবে ‘সাকেত-নগর’ নাম বা ঐ শ্লোকটী বাল্মীকির রামায়ণে সন্ধান করিয়া পাওয়া গেল না । লক্ষেী নগরের যে ব্ৰাহ্মণ র্তাহাকে ঐ শ্লোক দেখাইয়াছিলেন, তিনি বোধ অন্য কোন ও রামায়ণ হইতে তাহা দেখাইয়া থাকিবেন। আমাদের বিশ্বাস, শাক্যনৃপতিগণের আধিপত্যের সঙ্গে সঙ্গেহ অযোধ্যার সাকেত’ বা ‘শাকেত’ নাম ठूङि इहेम्नाছিল। তাহা হইলে, শাক্য-বংশের অভু্যদয়ের বহু পুর্বে বাল্মীকি যে রামায়ণ রচনা করেন, তাহাতে ‘শাকেত’ নাম কি প্রকারে থাকা সম্ভবপর ? তার পর, কানিংহাম রঘুবংশের যে দুইটী শ্লোকের উল্লেখ করিয়াছেন, তাহার দুইটীতেই সাকেত’ শব্দ দৃষ্ট হয় এবং সে দুইটী শব্দ ‘অযোধ্যা’ অর্থেই ব্যবহৃত হইয়াছে বলিয়া বুঝা যায়। যথা,- “ক্ৰোশাৰ্দ্ধং প্রকৃতিপুরসরেণ গহ্বা কাকুৎস্থঃ স্তিমিতজবেন পুষ্পকেণ। শত্রুর প্রতিবিহিতোপকানামাখ্যা: সাংকেতোপবিনমুদার মধুবাস ॥” ১৩.সৰ্গ, ৭১শ লোক । “স্বপ্ৰজনানুষ্ঠতচারুবষাং কণীরথীন্থাং রঘুবীরপত্নী,ম। প্রাসাদবাতায়নকৃঙ্গ দৈঃ সাকেতনাৰ্শোখাগুলোভ: প্রণেমুং।” ১৪শ সর্গ, ১৩শ লোকঃ।। অর্থাৎ,-“আৰ্য্য রামচন্দ্ৰ প্ৰজাগণের অনুগামী পুষ্পক-রখে ধীরে ধীরে অৰ্দ্ধক্রোশ গমন করিয়া শক্ৰয়-বিরচিত। পটমণ্ডপ-বিশিষ্ট অযোধ্যার মনোরম উপবনে অবস্থিতি, করিলেন। অযোধ্যাবাসিনী রমণীগণ শ্বশ্ৰািজন-বিরচিত মনোরম বেশধারিণী কণীরথারূঢ় রঘুবীর-পত্নী সীতাদেবীকে প্ৰাসাদ-জাল-নাগে সুস্পষ্ট-লক্ষ্য অঞ্জলিপুট বন্ধন করিয়া প্ৰণাম করিতে লাগিলেন।” রঘুবংশে এই ‘সা কে ৩’ শব্দ অযোধ্যার পরিবর্ভে ব্যবহৃত হইতে দেখিয়া মহারাজ বিক্ৰমাদিত্যেয় বা কালিদাসের সমসময়ে অযোধ্যা ‘সাকেত’ নামে পরিচিত ছিল বলিয়া বুঝিতে পারা যায়। বায়ুপুত্রাণে ভবিষ্য-রাজবংশ-বর্ণন-প্রসঙ্গে ‘সাকেত’ শব্দের উল্লেখ আছে। যথা,-“অনুগাঙ্গং প্ৰয়াগাঞ্চ সাকেত-মাগধাংস্তথা ।” এই সাকেত শব্দেও বে অযোধ্যা-রাজ্যকে বুঝাইতেছে, বায়ুপুরাণের নিবনবতিত মাধ্যায় পাঠ করিলে, অনায়াসে DBD DDY DBBD BBDLSS S DDSDD TgS DDBKYB EBB DBBBB BDB DS ছিলেন, তখন অযোধ্যার সে নাম পরিবর্তন হওয়া অসম্ভব নহে। এই সকল বিবরণ হইতে বুঝা যায়,-অযোধ্যায় যখন যাহার প্রভাব বিস্তৃত হইয়াছে, পরবৰ্ত্তিকালে উহা তখন সেইরূপ নামেই পরিচিত হইয়াছিল। যাহা হউক, প্ৰাচীন অযোধ্যা নগরী এখন নাই । এখন যে অযোধ্যা-নগরী, তাহা প্ৰাচীনের অনুসরণে পরবৰ্ত্তিকালে, নির্দিষ্ট হইয়াছে। পূর্বে যেখানে অযোধ্যা ছিল, বৰ্তমান অযোধ্য-নগরী তাহার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। রামায়ণ-বর্ণিত অযোধ্যা দ্বাদশ যোজন বিস্তৃত বলিয়া উল্লিখিত আছে। কিন্তু বৰ্ত্তমান অযোধ্যা দুই মাইল দীর্ঘ এবং প্রন্থে এক মাইলেরও কম। সপ্তম শতাব্দীতে হুয়েন-সাং যে অযোধ্যা দেখিয়াছিলেন, সে অযোধ্যার পরিধি ষোল লি অর্থাৎ প্রাম ২াদ মাইল BB S BDB SBgDDBDD BDBDBDD BiBD DBBBLB iBDB BD DS SDBDuSDiDuDDBDD গ্রন্থের বর্ণনায় পুরাতন অযোধ্যা-দৈর্ঘ্যে এক শত আটচল্লিশ ক্রোশ এবং প্রন্থে এক শত ছত্ৰিশ ক্রোশ বলিয়া উল্লিখিত আছে। সে হিসাবে, ঘর্ঘরা ( Gogra ) নদীয় দক্ষিণ পৰ্য্যন্ত সমগ্ৰ অযোধ্যা-প্রদেশে উহার অন্তভূক্ত হইয়াছিল, বুঝিতে পারা যায়। মুসলমানদিগের