পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - পঞ্চম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* Sు ভারতবর্ষ । করিয়া লওয়া অবিশুক হয়। আমাদের দর্শনেন্দ্রিয় কি কৌশলে কি যন্ত্রের সাহায্যে কিরূপ ভাবে কেন্দ্র স্থির করে, তাহ গভীর গবেষণার বিষয় । কিন্তু তাহার অতিক্ষুদ্র পরিধির মধ্যে সে কেমন অতি-দূরের ও অতি-নিকটের ক্ষুদ্র-বৃহৎ সৰ্ব্ববিধ সামগ্রীকে যথাযোগ্য আকার ও বর্ণ সহ প্রতিভাত করিয়া রাখে ! এ সকল বিষয় বিবেচনা করিলে, যিনি আমাদের চক্ষুরত্বের নিৰ্ম্মাতা, তিনি কীৰ্দশ কৰ্ম্ম সম্পাদনের জন্য—কেমন একটা ভবিষ্ণু উদ্দেশু রাখিয়া— অক্ষিগোলকের স্বষ্টি করিয়াছেন, মনে হয় না কি ? ফটোগ্রাফ বা আলোকচিত্র গ্রহণ কালে আলোক-রশ্মির নুনাধিক্য বিষয়ে যন্ত্র-পরিচালনে বিশেষ সতর্কত অবলম্বন আবশুক হয়। কিন্তু অক্ষিগোলকের অন্তর্গত আইরিস ( I is ) বা তারকামণ্ডল এমনই আকুঞ্চনBBBBBBB BS BBBBBBBB BBBSBBB BBB BBBS BBBB BBBB BBBB কনীনিক বা মধ্যতার ক্ষুদ্র হুইয়া আসে । যিনি আলোকচিত্রণ যন্ত্র উদ্ভাবন করিয়াছিলেন, তিনি BB BBBB BBB BDD BBB BBBB BB BBBBB BBBBBBB DDBB BBBB করিতে পারিতেন, তাহা হইলে আজ তাহার যশ আরও কত গুণ বৃদ্ধি পাইত ! আমাদের চক্ষুর সাহায্যে চারিদিকের বস্তু পরিলক্ষিত হয় ; কিন্তু ত জন্ত তাহার গতি-পরিবর্তনে বিশেষ কোন ও আয়াস পাইতে হয় না । কত অশ্চির্য্যের বিষয় এই যে, আমাদের জন্মগ্রহণের পুৰ্ব্বেই—যখন দৃষ্টিশক্তির কোনই আবণ্ডক ছিল ন৷ অর্থাৎ মাতৃগর্ভেই-—আমাদের চক্ষু গঠিত হইয়া ছিল । কোন ভবিষ্যতে দৃষ্টি-শক্তির আবশুক হইৰে—তাহ অনুধাবন করিয়া, যিনি পূৰ্ব্ব হইতে আমাদের নেত্র-যুগল যথাবিন্যস্ত করিয়া রাখিয়াছেন, নিশ্চয়ই তাহাকে একজন কল্পনা-কুশল ভবিষ্যাভিজ্ঞ অদ্বিতীয় বলিয়া নির্দেশ করা যাইতে পারে। র্তাহার কল্পনার এমনই অলৌকিক কৌশল যে, তিনি যে শারীর-যন্ত্র যে ভাবে নিৰ্ম্মাণ করিয়া গিয়াছেন, পুরুষানুক্রমে দেছের পর দেহান্তরেও তাহার ক্রিয় সেইভাবেই চলিয়াছে। মদিও কি কৌশলে এই ক্রিয়া চলিয়া আসিতেছে, তাহ দুর্নিরীক্ষ ; কিন্তু এক জনের নিগৃঢ় কল্পনাকৌশলের ও ক্রিয়ার ফলে যে এই সকল কাৰ্য্য চলিতেছে, তাহাতে কোনই সংশয় আসিতে পারে না । তার পর, এক জনের জন্য নয় ; লক্ষ লক্ষ প্রাণীর জন্তু লক্ষ লক্ষ চক্ষুর এবং ইন্দ্রিয়ের স্বষ্টি-পরিপুষ্টির বিষয় ভাবিতে গেলে, বিস্ময়ের অবধি থাকে না । শরীরেজিয়ের বিষয় পরিত্যাগ করিয়া যদি মানস ইক্রিায়ের বিষয় অনুসন্ধান করি, তাহতেই বা কি দেখিতে পাই ? সকলই তাহার এক অলৌকিক কল্পনা-কুশলতার সাক্ষা প্রদান করিতেছে। স্বষ্টির শ্রেষ্ঠ সম্পং মনুষের মধ্যে তাহার কল্পনা-লীলা যেমন পরিদৃশুমান, তেমনই অন্তান্ত প্রাণীতে এবং বৃক্ষলতাদিতে পর্য্যন্ত তাহার কল্পনা-কৌশল প্রত্যক্ষ্মীভূত । পরমাণুতুল্য ক্ষুদ্র বীজ ;—সেই ক্ষুদ্র বীজটর মধ্যে কি কৌশলে তিনি বিশাল বটবৃক্ষের উপাদান-সমূহ রক্ষা করিয়াছেন, মরলোকের ধ্যান-ধারণায় তাহ আয়ত্ত হয় না। পশুপক্ষী এবং বৃক্ষদির স্বষ্টি করিয়া তাহদের মধ্যে যে একটা স্বাভাবিক জ্ঞান সঞ্চার করিয়া রাখিয়াছেন, তাছাও বিচিত্র। মমুষ্যেতর প্রাণিগণ, প্রাণেন্দ্ৰিয়-বিশিষ্ট জীবজন্তু বা বৃক্ষলতাদির দ্বারা প্রাণ পোষণ করে। তাহারা আপনাদের আহাৰ্য্য-সামগ্ৰী আপনার উৎপন্ন করিতে জানে না বা প্রস্তুত করিতে শিখে নাই। অথচ, খাপ্তাখাদ্য বিষয়ে