পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - পঞ্চম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৩৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীকৃষ্ণ i ইe a গেল—সকলকে কৰ্ম্ম করিতেই হইবে ; বুঝা গেল—কৰ্ম্মের উপরেই অস্তিত্ব। এইবার বুঝ! আবগুক —কৰ্ম্ম কি ? তোমায় করিতে হইবে—কোন কৰ্ম্ম ! সৎ ও অসৎ ভেদে gBBBS BBB BB BB BBB BBS BBS BBB BBB SBBB BBBB BB ভাগে বিভক্ত করা যাইতে পারে । কিন্তু এ বিভাগ মানুষ সহজে বুঝিতে পারে না । শ্ৰীকৃষ্ণ তাই বলিয়াছেন, কৰ্ম্ম ও অকৰ্ম্ম—কৰ্ম্মের এই যে দুই বিভাগ, বিবেকিগণও তাহা বুঝিতে পারেন না ; কিং কৰ্ম্ম কিমকৰ্ম্মেতি কবয়োহপ্যত্র মোহিতা: ’ ফলতঃ, কৰ্ম্মই বা কি, আর অকৰ্ম্মই বা কি, তাহ অনুধাবন করা বিশেষ প্রয়োজন । তার পর, আর ৪:বুঝা প্রয়োজন— বকৰ্ম্ম । খ্ৰীভগবান বলিতেছেন ( গীতা, ৪র্থ অ, ১৭শ শ্লোক ),— SSBBBBB BBBB BBBB BBBB S BBBBB BBBS BBB BBB BBS কৰ্ম্মের গতি বড় জ্ঞের্ণ ; সুতরাং কৰ্ম্ম, অকৰ্ম্ম ও বিকৰ্ম্ম তিনই বুঝা অবিশুক। এ বোধ বড়ই কঠিন । সে কাঠিন্ত —সে দুজ্ঞেয়ত্ব—শ্ৰীকৃষ্ণুের একটী উক্তিতেই প্রতিপন্ন হয় ; যথা,— ‘কৰ্ম্মণ্যকৰ্ম্ম য: পণ্ডেদকৰ্ম্মণি চ কৰ্ম্ম য: স বুদ্ধিমান মনুষ্যেষু স যুক্তঃ কৃৎস্নকৰ্ম্মকৃৎ ॥ পূৰ্ব্বে কৰ্ম্মের ব্রিবিধ বিভাগ ( কৰ্ম্ম, অকৰ্ম্ম, বিকৰ্ম্ম ) নিদিষ্ট হইল। তার পরই শ্ৰীভগবান বলিলেন,–‘যিনি কৰ্ম্মকে অকৰ্ম্ম এবং অকৰ্ম্মকে কৰ্ম্ম বলিয়া বুঝিতে পারেন, সেই বুদ্ধিমান ব্যক্তি কংস কয়েকৃৎ ( সৰ্ব্ব কৰ্ম্মানুষ্ঠাতা ) ও যুক্ত (নিলিপ্ত যোগী পুরুষ ) । এ বড় বিষম প্রহেলিকার কথা । কৰ্ম্ম, অকৰ্ম্ম ও বিকৰ্ম্ম-কৰ্ম্মের যখন তিনট ভাগ করিলেন, তখন কৰ্ম্ম তুলিতে শাস্ত্রসিদ্ধ কৰ্ম্ম, বিকৰ্ম্ম বলিতে শাস্ত্রনিষিদ্ধ কৰ্ম্ম এবং অকৰ্ম্ম বলিতে কৰ্ম্ম-সন্ন্যাসই ( নৈষ্কম্ম্য ) অর্থ নিষ্পন্ন হইয়া থাকে। শঙ্করাচার্য্য-প্রমুখ ভাষ্য-টীকাকারগণ ঐরূপ অর্থই নিম্পন্ন করিয়া গিয়াছেন । তাহা হইলে এখন কৰ্ম্মে অকৰ্ম্ম এবং অকৰ্ম্মে কৰ্ম্ম কি রূপে দেখিতে পারা সম্ভবপর হয় ? কৰ্ম্ম ও অকৰ্ম্মের স্থল অর্থে বুঝিতে পারি,—যাহা কৰ্ম্ম, তাহ ফলপ্রস্থ ; যাহা অকৰ্ম্ম, তাহ নিষ্ফল । সুতরাং একে অন্তের আরোপ হয় কি প্রকারে ? কৰ্ম্মণি ও অকৰ্ম্মণি—সপ্তম্যস্ত পদ। বিষয়ে বা অধিকরণে দুই কারণে সপ্তমী বিভক্তি হয়। কিন্তু কৰ্ম্মে অকৰ্ম্ম, অকৰ্ম্মে বৰ্ম্ম,—এরূপ বাক্যে ঐ দুই কারণের কোনও কারণই সুঙ্গত হয় না । সমান বিয়ে সমান জ্ঞানই, বিষয়ে সপ্তমীর লক্ষণ, অর্থাৎ—ঘটে ঘট জ্ঞান, পটে পট-জ্ঞান ইত্যাদি । বিপরীত জ্ঞান অর্থাৎ ঘট ও পট রূপ দুই ভিন্ন পদার্থের একত্ব-জ্ঞান কদাচ সিদ্ধ হয় না । এইরূপ, অধিকরণে সপ্তমী সিদ্ধান্ত করিতে গেলে, তাহীতেও বিষ্ণু ঘটে। আধার ও আধেয় কখনও বিপরীত-ধৰ্ম্মাক্রান্ত হইয়া তিষ্ঠিতে পারে না। পাত্রে জল থাকিতে পারে ; কিন্তু জলে অনল, আধার আধেয় ভাবে কখনও থাকিতে পারে কি ? কৰ্ম্মে অকৰ্ম্ম এবং অকৰ্ম্মে কৰ্ম্ম এবম্বিধ বাক্যে সাধারণতঃ পূৰ্ব্বোক্তরূপ অসম্ভবতার প্রশ্নই মনে জাগিয়া থাকে। কিন্তু ইহা ও বিবেচনা করা উচিত নহে কি যে, ভূগs বানের মুখকমল হইতে অসম্ভব আযৌক্তিক উপদেশ কখনই নির্গত হইতে পারে মা ! তবে বস্তুপক্ষে কথাটা কি ? ভগবানের বাক্য কখনও মিথ্যা বা প্রষাদপূর্ণ নৰে । সুতরাং বুঝিতে হইবে, ঐ বাক্যের মধ্যে নিশ্চয়ই সত্য নিহিত অাছে। অমুসন্ধানের পর অনুসন্ধান করিয়া, ভাষ্যকারগণ নির্ঘণ্ট করিলেন,—কৰ্ম্মে অকৰ্ম্ম এবং অকৰ্ম্মে কৰ্ম্ম দর্শন=