পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - পঞ্চম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৪৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীকৃষ্ণ । A8న দ্বারেণ মুহৃদো গৃহীন। প্রবিশন্তি নরাধীরা দ্বারাণ্যেতানি ধৰ্ম্মতঃ ॥" অর্থাৎ,—“বুদ্ধিমান ব্যক্তির শক্রর গৃহে অদ্ধার দিয়া এবং বন্ধুর গৃহে দ্বার দিয়া প্রবিষ্ট হন।’ এই উক্তির নিগুঢ় তাৎপৰ্য্য এই যে, শক্রকে যুদ্ধার্থ প্রস্তুত হইবার সুবিধা না দিয়া, সহসা আক্রমণ ও বিধবস্ত করাই বিধেয় । জরাসন্ধ বধ সম্বন্ধে শ্ৰীকৃষ্ণ এই নীতিরই অনুসরণ করেন । তাহার কৌশলক্রমেই ভীমের সহিত জরাসন্ধের মল্লযুদ্ধ আরম্ভ হয় । ভীম ও জরাসন্ধ তুল্য বীর ছিলেন । র্তfহাদের মল্লযুদ্ধ কাত্তিক মাসের প্রথম তিথিতে আরম্ভ হয় । ত্রয়োদশী পৰ্য্যস্ত উভয়ে দিবারাত্রি অনাহারে অবিশ্রান্ত যুদ্ধে ব্ৰতী ছিলেন । চতুর্দীর রাড়িতে জরাসন্ধ BB BBBS BBBB BBBB BB S BB BBD iBBB BBBB BBBBB BBBBBBB BBBBBBB করেন । শ্ৰীকৃষ্ণের কৌশলে লোকক্ষয় নিবারিত হয় ; অথচ জরাসন্ধও পঞ্চত্ন প্রাপ্ত হন । শ ক্রনাশের সঙ্গে সঙ্গে নিরীহ সৈনিকগণ বা জনসাধারণ নিহত না হন,—এই উদ্দেশু্যে জরাসন্ধের বধে শ্ৰীকৃষ্ণের কৌশলবিলম্বন বলিয়া মনে করিতে পারি। শিশুপাল-বধে ও শ্ৰীকৃষ্ণ লোকক্ষয় বিষয়ে সাবধান ছিলেন । কালযবনের সহিত র্তাহার যে যুদ্ধ হয়, তাছাতেও তঁtহার অপূৰ্ব্ব কৌশল দেখিতে পাই । জরাসন্ধের সহিত কালযবন পুনঃপুনঃ মথুরা আক্রমণ করিয়াছিলেন । কালযবনের আক্রমণ প্রতিরোধ করিতে মথুরাবাসিগণ BBBB BBBBBB S BBBBBB BB BB BBBB BBBSBBB BB BBBDD আশ্রয় লইতে হয় । অথচ, বিনা লোকক্ষয়ে কেমন কৌশলে খ্ৰীকৃষ্ণ সেই কালযবনকে ৰধ করিয়াছিলেন ! কৌশলের চরম চিত্র সেখানে প্রতিফলিত ; আবার রাজনীতিজ্ঞতারও প্রকৃষ্ট দৃষ্টাস্ত সেই ঘটনায় প্রত্যক্ষীভূত । বলা বাহুল্য, শ্ৰীকৃষ্ণের সংহার-সাধন জন্ত কালBBBBB BBB BBS BB BBBB BB BBB BBBB S gB BBBDD iBB একদিন কালযবনের সম্মুখ দিয়া একটা পৰ্ব্বত-গুহার দিকে একাকী পলায়ন করিলেন। এক{ শ্ৰীকৃষ্ণকে পৰ্ব্বত-গুহার দিকে পলাইতে দেখিয়া, কালযবন শ্রীকৃষ্ণের অনুসরণ করেন । শ্ৰীকৃষ্ণ একাকী পলায়ন করিয়াছিলেন ; সুতরাং তঁtহার অনুসরণে কালযবনের মনে কোনই দ্বিধা উপস্থিত হইল না । কালযবন একাই শ্ৰীকৃষ্ণের অনুসরণে গুহ মধ্যে প্রবেশ করিলেন। সেই গুছায় স্বৰ্য্যবংশীয় রাজা মুচুকুন্দ যোগস্থ ছিলেন। গুহায় প্রবেশ করিয়াই কালযবন শ্ৰীকৃষ্ণ-ভ্রমে রাজা মুচুকুন্দকে পদাঘাত করেন। ফলে, মুচুকুন্দের কোপানলে কালঘবনকে ভস্মীভূত হইতে হয় । হরিবংশে এই ঘটনা বিশেষভাবে বিবৃত আছে । কালযবন যাহারই হস্তে মৃত্যুমুখে পতিত হউন ;- শ্ৰীকৃষ্ণই তাহার সংহার সাধন করুন, অথবt মুচুকুন্দই তাহাকে ভস্মসাৎ করিয়া ফেলুন –কালযবন-বধে লোকক্ষয় নিবারণে, প্রকারাস্তরে লোক রক্ষ। কল্পে, খ্রীকৃষ্ণের চেষ্টা দেখা যায় । কুরুপাণ্ডবের মধ্যে সন্ধিস্থাপন-চেষ্টায় লোকক্ষয় নিবারণ পক্ষে তাহার যে একান্ত যত্ব ছিল, তাহ পূৰ্ব্বেই দেখাইয়াছি। সুতরাং তাছার মূল লক্ষ্য যে লোক রক্ষা, সমাজরক্ষা, জনহিতসাধন, তদ্বিষয়ে কোনই মতাস্তর থাকিতে পারে না। তৰে এ কথাও এখানে বিচাৰ্য্য যে, পুৰ্ব্বোক্ত দৃষ্টাস্তে যেমন র্তাহার লোক রক্ষাকর নীতির প্রাধান্ত দেখিতে পাই, অন্যত্র আবার তাহার বিপরীত দৃষ্টাস্তের অসদ্ভাব নাই। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে লোকক্ষয় এবং যদুবংশের ধ্বংস-সাধন তিনি নিবারণ পক্ষে চেষ্টা করিলেন d *--७२