পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - প্রথম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/২১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२०० ভারতবর্ষ |, তাহার প্রমাণাভাব ; পরস্তু তৎসম্বন্ধে বিরুদ্ধ-ধারণই মনোমধ্যে উদূর হইতে পারে। প্রথমতঃ, পুরাণ-সমূহের বহু স্থলে বেদব্যাসের গুণানুকীৰ্ত্তন আছে।ট্ৰাসের ऋाग्न স্থপণ্ডিত মহাপুরুষ আপন মুখে আপন গ্রন্থে আপন গুণ-কীৰ্ত্তন কণিকু কোনজর্মেই তাহা বিশ্বাস হয় না। সেই সকল যশোঘোষণা অপরের মুখ দিয়। উক্ত হইয়াছে সত্য; তথাপি বেদব্যাস যদি স্বয়ং ঐ সকল গ্রন্থ রচনা করিতেন, তাহ হইলে সেরূপ প্রশংসা তিনি আপনার গ্রন্থ মধ্যে সন্নিবিষ্ট রাখিতে পারিতেন না ;–অন্ততঃ বর্তমানকালোচিত জ্ঞান-বুদ্ধিতে তাহাই মনে হইতে পারে। বিষ্ণু-পুরাণে লিখিত আছে,-“কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাসকে সাক্ষাৎ প্রভু নারায়ণ বলিয়া বিবেচনা করিবে ;–“কৃষ্ণদ্বৈপায়ন-ব্যাসং বিদ্ধি নারায়ণং প্রভুম্।” যদিও পিতা পরাশর কর্তৃক এই কথা উক্ত হইয়াছে, কিন্তু বেদব্যাস স্বয়ং ঐ গ্রন্থ রচনা করিলে, আপনার মাহাত্ম্য-কথা এরূপভাবে লিপিবদ্ধ করিতে পারিতেন fক ? শিবপুরাণেও এইরূপ “ব্যাসপূজলমূ” নামে একটি স্বতন্ত্র অধ্যায় আছে। সে অধ্যায়ে কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাসের গুণকীৰ্ত্তন-সম্বন্ধে নিম্ন-লিখিত উক্তি দেখিতে পাই,— SBB BB DDBBB BBBB BBBB BS BBB BB BBBBB BBB B BBBBB S ‘হে আচাৰ্য্য ! তুষি মহাবিষ্ণু । হে ব্যাসরূপ ! তোমাকে প্রণাম । হে বিপ্রেস্ত্ৰ ! তুমি প্রসন্ন হইলেই, আমার প্রতি শিব প্রসন্ন হইবেন " শ্ৰীমদ্ভাগবতেও বেদব্যাসের ভূয়সী প্রশংসা আছে। কঙ্কি-পুরাণে আবার দেখিতে পাই-পুরাণকার বেদব্যাসের প্রণামচ্ছলে বলিতেছেন SBBBBBBBB BBBBBB BBBBBBBS BBBBB BBBBB BB BBB BBBBBB S সৰ্ব্বপুৰাণঞ্জ সংযত-ব্রত ব্যাস-শিষ্য লোমহর্ষণ-পুত্র স্থতকে প্রণাম করি । বেদবাস যদি এই পুরাণের রচয়িত হইতেন, তাহ হইলে শিষ্য স্থতকে কি জন্য প্রণাম করিবেন ? কুৰ্ম্ম-পুরাণের পূৰ্ব্ব-ভাগে পঞ্চাশং অধ্যায়ে বেদব্যাস বিষ্ণুর অবতার-রূপে বর্ণিত হইয়াছেন । তাহাতে লিখিত আছে--বিষ্ণু নারায়ণ স্বয়ং শ্ৰীহরি স্বেচ্ছাক্রমে বিগুদ্ধান্তরাত্ম কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাসরূপে জন্মগ্রহণ করেন । বেদব্যাস স্বয়ং যদি পুরাণ-রচয়িত হইতেন—জানি না,তাহ হইলে আপনাকে ভগবানের অবতার বলিয়৷ কীৰ্ত্তন করিতে পারিতেন কি না! দ্বিতীয়তঃ, শ্ৰীমদ্ভাগবতে স্থত বলিতেছেন,—নদীর মধ্যে যেমন গঙ্গা, দেবতার মধ্যে * যেমন বিষ্ণু, ভক্তের মধ্যে যেমন মহাদেব, পুরাণের মধ্যেও তেমনি ভাগবত শ্রেষ্ঠ। “নিরগানাং যথা গঙ্গা দেবানামচুতো যথা। বৈষ্ণবানাং যথা শতু: পুরাণমামিদং তথা " ব্ৰহ্মবৈবৰ্ত্ত-পুরাণে আধার দেখিতে পাই,—‘নদী-নিকর মধ্যে গঙ্গ। যেমন সঞ্চ-মুক্তিপ্রদাক্ষিণী, বর্ষ-সমূহের মধ্যে ভারতবর্ষ যেমন মঙ্গলময় ও সদ্যঃ-মুক্তি-প্রদ, পুষ্প মধ্যে যেমন পাব্লিজাত, বৃক্ষ মধ্যে যেমন কল্প, স্বরগণের মধ্যে যেমন সুরেশ্বর শ্ৰীকৃষ্ণ, রাজগণ মধ্যে যেমন ঐরামচন্দ্র, প্রকৃষ্ণের প্রোপীগণের মধ্যে ইরাধিক যেমন প্রাণাধিক, সৰ্ব্বোৎকৃষ্ণু সেইৰূপ সৰ্ব্বপুরাণ মধ্যে ব্রহ্মবৈবৰ্ত্ত-পুরাণই সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ । একই বেদব্যাসের পুরাণ, একই বেদব্যালের । লেখনী হইতে এরূপ বিশেষণে কেন বিশেষিত হইল ? এই সকল স্থলে, তাহার কায় মহাপুরুষের মতের এরূপ অসামঞ্জস্য ঘটবার কারণ কি ? তুতীয়তঃ, পুরাণ-সমূহে দেখিতে BBS BBB BB BBBSBBB BBBBBS BBBB BBBBB BggSittBBBBS