পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - প্রথম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৪৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবষ । .. بوده উপস্থিত হয়। ত্ৰিগৰ্ত্ত-রাজ স্বৰ্য্যবৰ্ম্ম এবং তাহার অম্বুজ তেজস্ব কেতুকৰ্ম্ম সন্থল যুদ্ধে প্রবৃত্ত হন। একে একে ভ্রাতৃদ্বয় নিহত হইলে, ধৃতবৰ্ম্ম অৰ্জুনের প্রতিদ্বদ্বিতাচরণ করেন। . কিন্তু ধনঞ্জয়ের সহিত যুদ্ধে তিনি কোনক্রমেই জয়লাভ করিতে পারেন না। পরিশেৰে ত্ৰিগৰ্ত্তবাসীরা পাণ্ডবগণের বস্তত-স্বীকারে বাধ্য হয়। ত্রিগৰ্ব-দেশ হইতে তুরঙ্গম প্রাপ্ত জ্যোতিষ দেশে গমন করিয়াছিল। ভগদত্তাত্মজ মহীপতি বজ্ৰদত্ত যজ্ঞাশ্ব বন্ধন করেন। বঙ্গদত্তের সহিত অর্জুনের ত্রিরাত্র যুদ্ধ চলিয়াছিল। যুদ্ধে বজ্ৰদত্ত পরাজিত হন। অর্জুন তাহার সংহার-সাধন না করিয়া, বজ্ৰদত্তকে অধীন রাজগণ মধ্যে গণ্য করেন ; বলেন,— “তোমার জীবন দান করিলাম। আগামী চৈত্র-পূর্ণিমাতে ধৰ্ম্মরাজের অশ্বমেধ যজ্ঞ হইবে, তৎকালে তোমরা তথায় উপস্থিত থাকিবে ।" নির্জিত বজ্ৰদত্তভাহীতেই সন্মত হন ; প্রাগজ্যোতিষ দেশ পাণ্ডবগণের প্রাধান্ত স্বীকার করিতে বাধ্য হয়। ইহার পর, সিন্ধু-রাজবংশীয়দিগের সহিত কিরাটর যুদ্ধ হয়। সিন্ধুরাজ জয়দ্রথের নিধন-বাৰ্ত্ত স্মরণ করিয়া, সিন্ধুবাসিগণ অৰ্জুনকে আক্রমণ করে। কিন্তু পার্থ তাহদের সকল চেষ্টাই ব্যর্থ করিয়া দেন। এই যুদ্ধে অর্জুনের হস্তে সিন্ধুরাজ-কুল নিৰ্ম্মল হয় দেখিয়া, ধৃতরাষ্ট্র-ছহিত দুঃশলা, নপ্ত সুরথ-সুতের সহিত রথে আরোহণ করিয়া, ধনঞ্জয়ের নিকট কৃপা-প্রার্থী হন । র্তাহার করুণ ক্ৰন্দনে ব্যথিত হইয়া, ধনঞ্জয় ধনুঃ-ত্যাগ করেন । ফলে, সিন্ধুদেশ-–পাণ্ডবগণের অধীনতা-পাশে আবদ্ধ হয়। সিন্ধুদেশ হইতে ধনঞ্জয় মণিপুরাভিমুখে অগ্রসর হন। বহুবাহন তখন মণিপুরের অধিপতি ছিলেন। তিনি অর্জুনের পুল,--চিত্রাঙ্গদার গর্ভ-সস্তৃত। যজ্ঞাশ্বের রক্ষক-রূপে পিতা অর্জুন আসিয়াছেন-সংবাদ পাইয়া, বহু অর্থ উপহার লইয়া, ব্রাহ্মণগণ সমভিব্যাহারে, বক্তবাহন অর্জুনের সহিত সাক্ষাৎ করিলেন ; পাণ্ডবগণের প্রতি আনুগত্য-স্বীকারের অভিপ্রায় জানাইলেন । কিন্তু ক্ষাত্র্য-ধৰ্ম্ম স্মরণ করিয়া, তাহাতে সন্তুষ্ট না হইয়া, অর্জুন বরং বিরক্তির ভাব প্রকাশ করিলেন ; কহিলেন,—“এরূপ ভাবে আত্মসমর্পণে বগুত-স্বীকার-ক্ষত্রিয়ের ধৰ্ম্ম নহে। আমি অস্ত্র-শস্ত্র-সহ সদলবলে যুদ্ধার্থ সমবেত হইয়াছি। তুমি স্ত্রীলোকের ন্যায় আমার প্রতিগ্রহ করিতেছ!” বক্রবাহনের এই অপমানের সংবাদ শ্রবণ করিয়া, নাগরাজ-নন্দিনী উলুপী, বক্রবাহনকে সমর-সজ্জায় সজ্জিত হইতে উৎসাহিত করিলেন। উলুপী—বক্রবাহনের বিমাতা; অর্জুনের অপরা পত্নী ; কৌরব্য-নামক নাগরাজের কন্যা। দ্বাদশ বৎসর বনবাস-কালে অৰ্জুন ইহঁাকে বিবাহ করেন। বক্রবাহনকে উলুপী এমনই ওজস্বিনী ভাষায় উত্তেজিত করিলেন যে, বক্ৰবাহন তখন পিতার বিরুদ্ধে অস্ত্র-ধারণ করিতেও কুষ্ঠিত হইলেন না। পিতা-পুত্রে সছুল সমর আরম্ভ হইল। সমরে অর্জুন হত-চেতন এবং পিতৃ-হত্যাশঙ্কায় বক্তবাহন মূৰ্ছিত হইয়। পড়িলেন। তখন পতি-পুত্রের শোকে অধীর হইয়। চিত্রাঙ্গদা রোদন করিতে লাগিলেন ; উলুপীকে দর্শন করিয়া, পতি-পুত্র কিরূপে চেতন-লাভ করেন—তাহার উপায় নিৰ্দ্ধারণ

  1. .

পীর অধিকারে গান-মনি ছিল। উলুগ সেই মণি পুত্রের সর বক্ষদেশে স্থাপন করিতে দিলেন। অর্জন , , , , ;