পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - প্রথম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৪৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্বানুস্থতি । 8á१ এ সকল প্রসঙ্গে তাহ বুঝিতে পারা যায় বটে ; কিন্তু ব্ৰাহ্মণ-ক্ষত্রিয়াদির সন্ত্রমগৌরবের যে তারতম্য ছিল, তাহাও স্পষ্টতঃ উপলব্ধি হয়। র্যাহার বলেন,—বৈদিক যুগে জাতিভেদ ছিল না ; তাহারাই আবার বিশ্বামিত্র, গৃৎসমদ প্রভৃতির প্রসঙ্গ উত্থাপন করিয়া ক্ষত্রিয়ের ব্রাহ্মণস্ব-প্রাপ্তির প্রমাণ প্রদর্শন করেন। যদি জাতিভেদই ন। রহিল, তবে বিশ্বামিত্র, গৃৎসমদ প্রভূতির ব্রাহ্মণত্ব-লাভের প্রসঙ্গই বা উঠে কেন ? র্তাহাদের নাম বেদে উল্লেখ আছে ; সুতরাং তাহারা ‘বৈদিক-কালে’ বিদ্যমান ছিলেন বলিয়। স্বীকার করিতে হয়। তাহা হইলে, বৈদিক-কালে জাতিভেদ ছিল,—কি করিয়াই বা অস্বীকার করিতে পারি ? আমরা ঋগ্বেদোক্ত রাজস্তবর্গের আলোচনায় দেখিয়ছি,—দর্ভের পুত্র রাজ রথবাতি গুণবাশ্বের সহিত আপন কস্তার বিবাহ দিতে অস্বীকার করিয়াছিলেন । র্তাহাদের বংশের কন্যাগণ ঋষি-বংশে সমৰ্পিত হয় ; শুীবাশ্ব সে তুলনায় নীচ-বংশজ, সুতরাং তাহাকে কস্তা সম্প্রদান করা যাইতে পারে না ;–তখন এই কথাই উঠিয়াছিল। ইহাতে কি বুঝা যায় ? যদি উচ্চ-নীচ জাতি-ভেদ বিদ্যমান না থাকিবে, তাহা হইলে এ আপত্তি উত্থাপিত হইবে কেন ? কেহ কেহ বলেন,—কবশ ঐসূৰ্য (কবশ ও লুষ ) শূদ্র হইয়াও বৈদিক হুক্ত রচনা করিয়াছিলেন ; সুতরাং বৈদিক-কালে জাতি ভেদ ছিল না। কিন্তু কবশ ঐঙ্গুষ শূদ্র হইয়াও বৈদিক হুক্ত রচনা করিয়াছিলেন, এতদ্বক্তিতেই জাতি-ভেদের আভাস পাওয়া যায়। যদি জাতি-ভেদ না থাকিত, শূদ্র হইয়াও বৈদিক হুক্ত রচনা-কখনও স্পৰ্কার বিষয় হইত কি ? কবশ ঐণুষের বৈদিক স্বল্প রচনা করা, অথবা তিনি পূদ্র ছিলেন কি ব্রাহ্মণ ছিলেন—তাহ নির্ণর করা,--তাহাই তো বিচাৰ্য্য বিষয় ! কিন্তু তাহ মানিয়া লইলেও তাহারই প্রসঙ্গে জাতিভেদের প্রসঙ্গ আসিয় পড়ে না কি ? দেবধানি এবং কচের প্রসঙ্গেও এই ভাব উপলব্ধি হী দেবগুরু বৃহস্পতির পুত্র কচ, সঞ্জীবনী-বিদ্যা শিক্ষার জন্য, দৈত্যগুরু শুক্রাচার্য্যের শিয়ত্ব গ্রহণ করিয়াছিলেন। দেবামুরের যুদ্ধে দেবগণ যে সকল দানবকে বিনাশ করিতেন, শুক্রাচার্য্যের মৃত-সঞ্জীবনী-বিদ্যা-প্রভাবে সেই মৃত দানবগণ পুনৰ্জ্জীবন লাভ কল্পিত । এ দিকে, অসুরগণ সমরে যে সকল সুরগণকে বিনাশ করিত, বৃহস্পতি র্তাহাদিগকে সঞ্জীবিত করিতে পারিতেন না। ইহাতে দেবতার, অতি-মাত্র চিস্তিত হইয়া, বৃহস্পতির জ্যেষ্ঠ পুত্র কচের শরণাপন্ন হন। শুক্রাচার্য্যের আশ্রমে গমন করিয়া, সজীবনী-বিস্কা শিখিয়া আসিয়া, বৃহস্পতি-সুত কচ দেবগণের হিত-সাধন করিবেন,—ইহাই দেবগণের উদ্দেপ্ত ছিল। শুক্রাচার্য্যের আশ্রমে সঞ্জীবনী-বিস্কা শিক্ষার সময় শুক্রাচাৰ্য্য-তনয় দেবধানি, কচের প্রতি আস্থরক্ত হইয়াছিলেন। সঙ্গীবনী-বিস্তাশিক্ষা করিয়া, গুরু-সন্নিধানে বিদায় গ্রহণ পূর্বক কচ যখন ত্ৰিদশালয়ে গমন করিতে অভিলাষী হন ; দেবৰানি তাহাকে পতিত্ত্বে বরণ করিতে অভিলাষ প্রকাশ করেন। কিন্তু শুক্রাচার্য্যের অন্ধুমতি ন পাইয়া, বিশেষতঃ গুরু-পুত্ৰী বলিয়া, কচ দেবযানিকে প্রত্যাখ্যান করিয়াছিলেন । ইহাতে দেবযালি তাহাকে অভিসম্পাত দেন ; বলেন,—“আমার প্রার্থনা তুমি প্রত্যাখ্যান করিলে। সুতরাং আমার অতিসম্পাতে তোমার সঞ্জীবনী-বিদ্যা অসিদ্ধ হইৰে ” কচ তাহাতে উত্তর দেন,-“তুমি

  • بي 4