পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - প্রথম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদ-চতুষ্টয় । ... ', ৩৭ ৷ |ਂ ও স্ৰষ্টার সম্বন্ধ মানুষ অবগুই বুঝিতে পারে ; এবং তাহ বুঝিরা, তন্নির্দিষ্ট পথে প্রধাবিত হয় । যাহারা সেই সার সামগ্ৰী উপলব্ধি করিতে না পারেন, তাহারাই ভিন্ন ভিন্ন পথে ঘুরিয়া }বেড়ান। একই বৈদিক-ধর্মের অনুসরণকারী হইয়াও, পরিবৰ্ত্তি-কালে যে বিভিন্ন-সম্প্রদায় ধৰ্ম্মমত লইয়া পরম্পর শত্ৰুতাচরণ করিয়া গিয়াছেন, বৈদিক ধৰ্ম্মের সার মৰ্ম্ম উপলব্ধি না হওয়া —অথবা কোনও বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠান-পদ্ধতির প্রতি অধিকতর আস্থাবান হওয়াই—তাহার প্রধান কারণ বলিয়া মনে হয়। দৃষ্টান্ত-স্বরূপ, শাক্ত-শৈব-বৈষ্ণব প্রভৃতির স্বন্দ্বের বিষয় উল্লেখ করা যাইতে পারে । তাহার। সকলেই হিন্দু —সকলেই বেদের প্রামাণ্য স্বীকার করেন ; অথচ, কৰ্ম্ম-পদ্ধতির এক-এক অংশের প্রতি র্তাহাদের কাহারও কাহারও লক্ষ্য নিপতিত হওয়ায়, অন্ধের হস্তি-দর্শনের ন্যায়, তাহারা সময় সময় দ্রাস্তবুদ্ধিতে পরিচালিত হইয়া থাকেন। প্রকারান্তরে ইহারও মূল-অধিকারিভেদ । অধিকার-ভেদ-তত্ত্বটুকু হৃদয়ঙ্গম হইলে, হিন্দুর সহিত হিন্দুর বিরোধ ঘটিবার সম্ভাবন নাই । বেদে আর দেখিতে পাই—মাৰ্য্য-হিন্দুগণের উচ্চ-সভ্যতার উজ্জ্বল প্রতিকৃতি । অধুনা সংসার, সভা-সমুন্নত জাতির পরিচয়-চিহ্ন বলিয়া যে সকল গুণ-পরম্পরার ........ আরোপ করেন, আর্য্য-হিন্দুগণের তাহার কোন গুণের অতাব আচার-ব্যবহার ছিল ? মহারা বলেন,—ধৰ্ম্মই সভ্যতার পরিচয়-চিহ্ন ; বেদ পশগ "তি গুহাদিগকে দেখাইতে পারেন,—পৃথিবীতে এমন নূতন ধৰ্ম্ম আজি পৰ্য্যন্ত কিছুই হয় নাই, বেদে যাহার উপাদান-সামগ্ৰী বিদ্যমান নাই ! যাহারা বলেন,— বেদে প্রকৃতি-পূজা বা পৌত্তলিক-ধৰ্ম্মের প্রাধান্য আছে ; তাহাদিগকেও নিঃসন্দেহে দেখাইতে পারা যায়,-অদ্বিতীয় ঈশ্বরের অনন্ত মহিম। বেদে বিরত রহিয়াছে । যাহার বলেন,-হিন্দুর মধ্যে উদার বিশ্বজনীন ভাবের অভাব ; বেদ তাহাদিগকেও চক্ষে অঙ্গুলি দিরা দেখাইতে পারেন,—হিন্দুর ন্যায় উদার বিশ্বজনীন প্রাণ কচিৎ দেখিতে পাওয়া যায়। যাহার বলেন,—“বেদ কৃষকের গান ; বেদে কৃষি-কার্য্যের উন্নতির জন্য উপাসনা আছে, SSBBBB BBBB BB SBBB BBBS BBB BBBBBS BBBB BBBB BBB BBB S উহাদের ন্যায় ভ্রান্ত-বুদ্ধি ব্যক্তিকেও বেদ দেখাইতে পারেন,—কৃষির উন্নতির জন্য ভগবানের করুণা-প্রার্থনা উদার বিশ্বজনীন ভাবেরই অতিব্যক্তি মাত্র । কৃষির উন্নতি হইলে, বসুন্ধর শস্ত-সম্পদে পরিপূর্ণ হইলে, জনসাধারণ সকলেরই মুখ-সৌভাগ্যে দেশ সমুন্নত । শ্ৰীবৃদ্ধিসম্পন্ন হইতে পারে ;–আৰ্য্য-হিন্দুগণ মনে প্রাণে তজ্জন্যই কৃষির উন্নতি প্রার্থনা কfরতেন । ইহা উপহাদের স্বদেশ-বাৎসল্য ও স্বজাতি-হিতৈষণারই পরিচায়ক । আর্য্য-ঋষিগণ কৃষির উন্নতির জন্য ভগবানের নিকট প্রার্থনা করিতেছেন * ;--গো-মেযদি পঙর এবং কৃষি-যন্ত্রাদির শুভকামনা করিতেছেন ;-ইহাতে কদাচ তাহাদিগকে কৃষক-পৰ্য্যায়ভুক্ত করিতে পার। ষায় না। যেমন বিভিন্ন ব্যক্তির ধৰ্ম্ম কুষ্ঠান ও উপাসনা-পদ্ধতি বিভিন্ন আকারে বিদ্যমান ছিল, বিভিন্ন প্রকার কৰ্ম্ম-পদ্ধতিও তেমনি বিভিন্ন লোকের বা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জন্য বিহিত হইয়াছিল। একই ব্যক্তি ভূমিকৰ্ষণ করিতেছেন, যজ্ঞ-কৰ্ম্মে ব্ৰতী রহিয়াছেন,

  • স্বদের চতুৰ্থ এবং দশম মণ্ডলে কৃষির উন্নতি-বিষয়ক স্তোত্ৰাদি দেখিতে পাওয়া যায়।