পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - ষষ্ঠ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২ ভারতবর্ষ । কাহারও স্তুতি-পরায়ণ নহেন, যিনি অক্ষীণ অথচ র্যাহার কৰ্ম্মভোগ ক্ষীণপ্রাপ্ত, দেবতারাই র্তাহাকেই ব্রাহ্মণ বলিয়া জানেন। কর্মের দ্বারা ব্রাহ্ম:ণর উৎপত্তি । যিনি ব্রহ্মভাব-পরায়ণ, স্বধৰ্ম্মনিরত, শুদ্ধ স্বত্ত্ব, র্ত{হাকেই ব্রাহ্মণ বলা যায় ।” বুদ্ধদেব ব্রাহ্মণর যে সকল লক্ষণ নিৰ্দ্ধারণ করিয়া গিয়াছেন, সে সকল কি, এ সকল লক্ষণ হইতে বিভিন্ন ? কখনই নহে । ভাষার বিভিন্নতা থাকিতে পারে ; কিন্তু ভাবের ঐক্য সৰ্ব্বত্র । * তার পর, বুদ্ধদেব যে স্ৰঃার স্থষ্টি-কর্তৃত্বে বিশ্বাসবান ছিলেন না বলিয়া—তিনি ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করেন নাই বলিয়া—যে একটা কিংবদন্তী আছে, তাহাও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন । বুদ্ধত্ব লাভ করিয়া, তিনি যে প্রথম বাক্য উচ্চারণ করেন, তিনি যে উদান গান করিয়া আত্ম-তৃপ্তি থাপন করেন, তাহাতে স্বষ্টি-কৰ্ত্তার অস্তিত্ব স্পষ্ট স্বীকার করিতেছেন দেখিতে পাই । তিনি যখন BBB S BBBBS BB BB BB BBB B BBtS ieSB BBBBB ( হে স্থষ্টিকর্ষ ) ! আজ আমি তোমাকে দেখিয়াছি ; আর তুমি এ গৃহ-নিৰ্ম্মাণে আমায় ৰন্ধনে সমর্থ হইবে না ; তখনই বুঝা যায়, তিনি স্বষ্টিকৰ্ত্ত ঈশ্বরের অস্তিত্ব মানিয়াছিলেন । হইতে পারে, প্রথমে তিনি স্বষ্টিকৰ্ত্তার স্থষ্টি-নৈপুণ্যে সন্দিহান ছিলেন ; হইতে পারে, প্রথমে নিরীশ্বরবাদ তাহাকে বিভ্রান্ত করিয়া রাখিয়াছিল ; কিন্তু সাধনার পর তিনি যে স্রষ্টাকে সম্যক উপলব্ধি করিয়া শুদ্বারা সিদ্ধিলাভ করিয়াছিলেন ; তাহীর ঐ উক্তিতে তাহা সপ্রমাণ হয়। এইরূপ সৰ্ব্বভুতে সমদৰ্শন-জ্ঞান প্রভৃতির দ্বারাও তিনি যে জগৎ পীত জগৎস্রষ্ট জগদীশ্বরের বিশ্বরূপ দর্শন করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন, তাছাও বুঝিতে পার। যায় । বুদ্ধদেব যে বেদ কখনও অমান্য করেন নাই, পরন্তু তিনি যে বেদের জ্ঞান মার্গের অমুসরণ করিয়াছিলেন, এ বিষয় আমরা পূর্বেই আলোচনা করিয়াছি । সুতরাং সৰ্ব্বপ্রকারেই প্রতিপন্ন হয়,—বৌদ্ধধৰ্ম্ম সনাতন হিন্দুধৰ্ম্মের অঙ্গস্থানীয় । যে বৌদ্ধধৰ্ম্ম ও জৈন-ধৰ্ম্ম ভারতের মৃতকল্প অসার দেহে এক সময়ে নব-জীবন সঞ্চার করিয়া গিয়াছে, সেই দুই ধৰ্ম্ম ও ধৰ্ম্ম-সম্প্রদায় সম্বন্ধে কি ভ্ৰম ধারণ ও ভ্রান্ত বিশ্বাস বদ্ধমূল হইয়াই রহিয়াছে ! ঐ দুই ধৰ্ম্ম সম্প্রদায়ের পৌৰ্ব্বাপেীর্ষ্য লইয়া কতই বাদ-বিতণ্ড ও মতাস্তুর চলিয়াছে। কেহ বলিতেছেন,- “জৈন ধৰ্ম্মই আদি, তাহা হইতেই বৌদ্ধধৰ্ম্মের উৎপত্তি ; “কেহ বলিতেছেন,— বৌদ্ধধৰ্ম্মই আদি, তাহ হইতেই জৈন-ধৰ্ম্মের উৎপত্তি ” প্রধানতঃ উভয় ধৰ্ম্মের সাদৃপ্ত-তত্ত্ব অমুধাবন করিয়াই, এই বিতণ্ড উপস্থিত হয় । অথচ এ বিতগু নিরসনের যে এক প্রকৃষ্ট উপায় আছে, তৎপ্রতি আতি অল্প জনেরই দৃষ্টি আকৃষ্ট হইয়া থাকে। উছাৱা উভয়েই যে মূল-বৃক্ষের কাণ্ডস্থানীয়—প্রধান শাখার অন্তভূত, জানি-না-তৎপ্রতি কয়জনের দৃষ্টিনিপতিত হইয়াছে ! এ বিষয়ে আমরা একজন নিরপেক্ষ পাশ্চাত্য পণ্ডিতের গবেষণা আলোচনা করিয়া দেখিতে পারি। জগতে যখন যে ধৰ্ম্ম-সম্প্রদায়ের ওপ্রাধান্ত বিস্তৃত হয়, তখন সেই ধৰ্ম্ম-সম্প্রদায়ের বা তৎপ্রবর্তিত মত-পরম্পরার আদিমত্ব প্রচারের একটা চেষ্টা ভ্রাপ্ত-বিশ্বাস । निद्भश्ः२ ।। S BBBBB BBBB BBB BBD ggg SBBB BBBttBB BB BBB DDBBS BBB BBB BBSBB नूिच मश्:१ ँ छ१लति श्t२ ।। -