পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - ষষ্ঠ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবধৰ্ম্মে নবজীবন । ९¢ . ধৰ্ম্ম উভয়েই এ ক্ষেত্রে সনাতন হিন্দুধর্মেরই অনুসরণ করিয়াছে বলিতে পারি। আপন ধৰ্ম্মপ্রবর্তকের বা ইষ্টদেবতার প্রতিমূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠা ও তদুদেখে মন্দির উৎসর্গীকরণ প্রভৃতি প্রথা নিশ্চয়ই সনাতন হিন্দুধৰ্ম্ম হইতে অন্তান্ত ধৰ্ম্ম-সম্প্রদায় গ্রহণ করিয়াছেন। ফলতঃ, দ্বিতীয় যুক্তির মুলেও হিন্দুধৰ্ম্মেরই প্রাধান্য পরিকীৰ্ত্তিত হয়। বৌদ্ধধৰ্ম্মের ও জৈন-ধৰ্ম্মের মধ্যে তৃতীয় সাদৃগু— পৃথিবীর স্বষ্টিকাল সম্বন্ধে। বৌদ্ধগণের গ্রন্থে যেমন কোট কোট বৎসর পূৰ্ব্বে বহু বহু বুদ্ধের অবতার গ্রহণের উল্লেখ আছে, জৈনদিগের গ্রন্থেও সেইরূপ কোট কোট বৎসর পূৰ্ব্বে বহু বহু জৈন-তীর্থঙ্করের আবির্ভাবের বিষয় বিঘোষিত হয় । * ব্রাহ্মণ্য-ধৰ্ম্মে যুগ-বিবর্তনের, কালপরিমাণের ও অবতারগণের আবির্ভাবের যে বিবরণ লিপিবদ্ধ দেখি, বৌদ্ধ ও জৈন:গ্রন্থাদির কাল-বিবরণ তাহার অনুসরণ ভিন্ন অন্য কোনরূপ মনে হয় না । জৈনগণের মধ্যে উৎসপিণী ও অবসপিণী কাল বিভাগ এবং তদন্তর্গত ষড়বিধ "আড়া’ বা উপবিভাগ আছে । বৌদ্ধগণের মধ্যেও সেইরূপ চারিটি প্রধান এবং আশীটি অপ্রধান ক্ষুদ্র কল্পবিভাগ দৃষ্ট হয় । পৰ্য্যায়ক্রমে বিশ্বের উৎপত্তি ও লয়, নাটকের অঙ্ক ও দৃশু বিভাগের দ্যায়, উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রবর্তিত আছে বুঝিতে পারি। কিন্তু কাল-বিভাগের এ সাদৃশুে কি জৈন, কি বৌদ্ধ কোনও সম্প্রদায়েরই মৌলিকত্ব সুচিত হয় নাই । কেন-না, ব্রাহ্মণ্য-ধৰ্ম্মের যুগ ও কল্প বহু পুৰ্ব্ব হইতেই আদর্শ-ক্ষেত্রে বিদ্যমান রহিয়াছে। এই সকল বিষয় আলোচনা করিয়া মিঃ জ্যাকোবি সিদ্ধান্ত করিয়াছেন,—‘ব্রাহ্মণ্য-ধৰ্ম্মের যুগ-বিভাগ প্রভূতির আদশে বৌদ্ধগণের BBS BBB BBB BBB BBS BBB BBBB BBBBBB BBBBB BBBBB কালের পরিকল্পনা " + বৌদ্ধ-ধৰ্ম্ম হইতে জৈন ধৰ্ম্মের উৎপত্তি-সংক্রান্ত চতুর্গ যুক্তি অহিংসা-মূলক । বৌদ্ধগণ ‘অহিংসা পরম-ধৰ্ম্ম’ নীতি সৰ্ব্বতোভাবে মান্ত করিয়া থাকেন । জৈনগণ অহিংসা-ধৰ্ম্মকে বৌদ্ধগণের অপেক্ষাও যন্ধের সহিত পালন করিয়া চলেন। অহিংসা-ধৰ্ম্ম-পালনে বৌদ্ধগণ অপেক্ষাও জৈনগণের দৃঢ়তা দৃষ্ট হয়। কিন্তু তাহা ইলেও জৈনগণ যে বৌদ্ধগণের নিকট হইতে অহিংসা ধৰ্ম্ম-নীতি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন, তাহা কখনই বলিতে পারা যায় না । কেন-ন, আমরা পূৰ্ব্বেই প্রতিপন্ন করিয়াছি, সনাতন হিন্দু-ধৰ্ম্মে এ পিক্ষ আবাহমানকাল প্রচলিত আছে। "ম হিংসঃ পুরুষং জগৎ"-যজুৰ্ব্বেদের এই উক্তি এবং বৌধায়ন স্থত্রের নীতি যে জৈনধৰ্ম্মের ও বৌদ্ধধৰ্ম্মের মূল, তাহ নানারূপেই প্রতিপন্ন হয় । যাহা হউক, বৌদ্ধগণের মধ্যে এবং জৈন-গণের মধ্যে অহিংসা-ধৰ্ম্ম কি ভাবে প্রচলিত আছে এবং সনাতন হিন্দু-ধৰ্ম্মের সহিত উহ। কিরূপ সম্বন্ধ-সম্পন্ন, তাহা একটু আলোচনা করিলেই বিষয়ট বোধগম্য হইবে । বৌদ্ধ-গণের দশশীল, অষ্টাঙ্গশীল বা পঞ্চশীল প্রভৃতির মধ্যে যে সকল উক্তি দৃষ্ট হয়, জৈনগণের ‘মহাব্ৰত প্রতিজ্ঞা-পঞ্চকের সহিত * পৃথিবীর ইতিহাস, দ্বিতীয় খণ্ড উনত্রিংশ পরিচ্ছেদে अनन्डीदक्श्वब्ररू छठानव जाविडीव-कन्त्र এবং পঞ্চম খণ্ডে ৩১৬ পৃষ্ঠায় বুদ্ধগণের ও তাহদের আবির্ভাবের বিবরণ লিপিবদ্ধ আছে। - f Hermann Jacobi writes in his translation of Gaina Sutras, “I am of opinion that the Buddhists have improved on the Brahmanic system of the Yugas, while the Gainas invented their Utsarpini and Avasarpini eras after the model of the day and night of Brahma.” ૭છે –8